|
|
|
|
আহত ৩৫ |
সেই সালুয়ায় সংঘর্ষ এ বার দুই বাহিনীর জওয়ানদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সালুয়া (খড়্গপুর) |
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের পরিস্থিতিতে এ বার রাজ্য পুলিশের অন্তর্ভুক্ত দু’টি বাহিনীর জওয়ানেরা নিজেদের মধ্যেই সংঘর্ষে জড়ালেন। খড়্গপুরের সালুয়ায় শুক্রবার রাতে সিআইএফ (কাউন্টার ইনসার্জেন্সি ফোর্স) এবং ইএফআর (ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেল) জওয়ানদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। জড়িয়ে পড়েন ইএফআর পরিবারের সদস্যরাও। জখম হন কমপক্ষে ৩৫ জন। ২০ জনকে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। পরে ৯ জনকে পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যালে। জঙ্গি-দমন এবং শান্তিরক্ষার জন্য বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষিত দু’টি বাহিনীর ‘শৃঙ্খলা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এই ঘটনায়। বিড়ম্বনায় পড়েছেন পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারাও। ডিআইজি (মেদিনীপুর রেঞ্জ) বিনীত গোয়েল জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। ঠিক কী হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সালুয়ায় রয়েছে ইএফআর-এর তিনটি ব্যাটেলিয়নের সদর দফতর। কয়েক দশক হল জওয়ানদের পরিবারের বসতিও গড়ে উঠেছে এলাকায়। আবার বছর দেড়েক আগে এখানেই জঙ্গি-দমনে বিশেষ বাহিনী সিআইএফের দু’টি ব্যারাক তৈরি হয়েছে। শ’দেড়েক জওয়ান থাকেন সেখানে। স্থানীয় সূত্রের খবর, মূলত ইএফআর জওয়ানদের পরিজনেদের উদ্যোগে সালুয়ায় প্রতি বছর শিবরাত্রির সময়ে মেলা বসে। শুক্রবার রাতে গণ্ডগোলের শুরু মেলার মাঠেই। অভিযোগ, রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ মেলায় আসা সিআইএফের এক জওয়ান ইএফআর পরিবারের এক মহিলার প্রতি কটূক্তি করেন। প্রতিবাদ করেন মনোজ লামা নামে এক ইএফআর জওয়ান এবং সুরজ গিরি নামে ইএফআর পরিবারেরই এক যুবক। সুরজকে মারধর করেন সিআইএফের কয়েক জন। তাঁদের পাল্টা মারধর করেন স্থানীয়রা। |
|
ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল |
ব্যারাকে ফিরে গিয়ে দলে ভারী হয়ে ফিরে আসেন সিআইএফ জওয়ানেরা। স্থানীয় বেশ কয়েক জন যুবককে (ইএফআর পরিবারেরই সদস্য) তাঁরা মারধর করেন বলে অভিযোগ। মহিলাদের প্রতি কটূক্তি এবং এই মারধরের জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয়রা। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁরা চড়াও হন সিআইএফ ব্যারাকে। সংঘর্ষ বাধে দু’পক্ষে। ভাঙচুরও চালানো হয়। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে সালুয়ায় পৌঁছন খড়্গপুরের এসডিপিও দীপক সরকার। আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীরেজ খালেদও। শুরুতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমসিম খান তাঁরাও। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায় পুলিশই। রাতেই পৌঁছন ডিআইজি (মেদিনীপুর) বিনীত গোয়েল, সিআইএফের এসপি মনোজ বর্মা, পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠি। ভোরবেলা তাঁরা হাসপাতালে গিয়ে আহত জওয়ানদের সঙ্গেও কথা বলেন। শনিবার দুপুরে সালুয়ায় পৌঁছে সিআইএফের আইজি সিদ্ধিনাথ গুপ্ত পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
সালুয়ার ওই মেলা কমিটির সদস্য রোশন ঘিসিংয়ের অভিযোগ, “সিআইএফের জওয়ানেরা স্থানীয় মহিলাদের সম্পর্কে কটূক্তি করার ফলেই গোলমাল বাধে। পরে ফের ওরা আমাদের ছেলেদের মারধর করে। প্রতিবাদ করতে ব্যারাকে গেলেও ইট-পাথর ছোড়ে।” আহত এক ইএফআর জওয়ানের মা-র খেদোক্তি, “মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া যাদের কাজ, সেই জওয়ানেরাই যদি অশান্তি করে, মেয়েদের সম্পর্কে বাজে কথা বলে, সেটা মেনে নেওয়া যায় না।” অন্য দিকে, আতঙ্কিত সিআইএফ জওয়ানেরাও। হাসপাতালে ভর্তি ২০ জনের মধ্যে সিআইএফের জওয়ানই ১৮ জন। শনিবার দিনভরই উত্তেজনা ছিল এলাকায়। সিআইএফের কয়েক জন জওয়ান ব্যারাকের সামনে ধর্নাতেও বসেন। তার মধ্যেই পুলিশ প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। সিআইএফের এসপি মনোজ বর্মা জানিয়েছেন, মেলায় যাওয়ার ক্ষেত্রে বাহিনীর জওয়ানেরা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েছিলেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
|
নাবালিকা ধর্ষণে গ্রেফতার যুবক
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
বছর সাতেকের এক বালিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবককে উত্তমমধ্যম দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন গ্রামবাসী। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর থানার মহম্মদপুর গ্রামে। অভিযুক্ত ইন্দ্রনীল সিংহকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি মেয়েটির মেডিক্যাল টেস্টের ব্যবস্থা করে পুলিশ। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের খবর, সকালে গ্রামেরই এক মাস্টারমশাইয়ের বাড়িতে পড়তে গিয়েছিল দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীটি। মাস্টারমশাই তখন বাড়িতে ছিলেন না। সে সময়ে মাস্টারমশাইয়ের পাশের বাড়ির ওই যুবক মেয়েটিকে পাখি দেখানোর নাম করে দোতলায় ডেকে নিয়ে যায়। পরে মেয়েটির চিৎকারে মাস্টারমশাইয়ের পরিবারের লোকজন ছুটে গিয়ে দেখেন, মেয়েটি কাঁদছে। পালাচ্ছে ইন্দ্রনীল। গ্রামবাসীরা তাড়া করে তাকে ধরে ফেলে। শুরু হয় পিটুনি। পুলিশ এলে আহত যুবককে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মেয়েটিকে তার বাবা হাসপাতালে নিয়ে যান। থানায় ইন্দ্রনীলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। |
|
|
|
|
|