প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সেনার বোমায় সিরিয়ায় নিহত হলেন ৫১জন। শুধুমাত্র হোমস শহরেই মৃত্যু হয়েছে ২২জনের। এই পরিস্থিতিতে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বিরোধীদের পাশে দাঁড়াল আমেরিকা। বিরোধী সংগঠন ‘সিরিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিল’কে (এসএনসি) শুধু সমর্থনই নয়, প্রেসিডেন্ট বাশার অল আসাদকেও এক হাত নিলেন মার্কিন বিদেশসচিব হিলারি ক্লিন্টন। বললেন, বাশারের জমানায় দেশে শান্তি ফেরা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এসএনসি-ই সিরিয়ার সাধারণ মানুষের একমাত্র ‘বৈধ’ প্রতিনিধি হয়ে উঠতে পারে বলেও দাবি হিলারির। সিরিয়ার বন্ধু দেশগুলিকে নিয়ে তিউনিশিয়ায় সম্মেলন চলছে। সেখানে সিরিয়ার মানুষকে ১ কোটি ডলার অর্থসাহায্যের ঘোষণাও করেছেন ক্লিন্টন। রাশিয়া ও চিনের প্রসঙ্গ টেনে ক্লিন্টন বলেন “যে সব দেশ আসাদের সাম্রাজ্যকে সাহায্য করছে, ক্রমাগত রক্ষা করছে তাদেরও এক পরিণতি হবে।”
|
বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে হতাশার কথা জানিয়েছিলেন ফেসবুকে। স্ত্রী তাঁর জীবন শেষ করে দিয়েছেন। এমনকী কেড়ে নিয়েছেন তাঁর সন্তানকেও। ফেসবুকে এই ক্ষোভই উগড়ে দিয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মার্ক বায়রন। এই ব্যবস্থাও করে রেখেছিলেন যাতে স্ত্রী নিজে দেখতে না পান লেখাটি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। অন্যদের থেকে জানতে পারেন মার্কের স্ত্রী। শেষ পর্যন্ত তাঁদের সংঘাত গড়ায় আদালতে। আদালত সম্প্রতি এই মামলার রায়ে জানিয়েছে, ষাট দিনের জেল হাজত ও ৫০০ ডলার জরিমানা এড়াতে ফেসবুকেই স্ত্রী’র কাছে ক্ষমা চাইতে হবে তাঁকে। ক্ষমা চাওয়ার বয়ানটিও লিখে দিয়েছেন বিচারক স্বয়ং। তবে এই রায় বাক্-স্বাধীনতার উপর সরাসরি হস্তক্ষেপ বলে আপত্তি জানিয়েছেন অনেকেই।
|
কুড়ানকুলাম পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে মনমোহন সিংহের পাশে দাঁড়াল রাশিয়া। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন কুড়ানকুলামের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের পিছনে কিছু মার্কিন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাত রয়েছে। অভিযোগকে সমর্থন জানিয়ে প্রকল্পের অংশীদার রাশিয়া আজ জানিয়েছে, এই সন্দেহ তাদের বহু দিনের। এ বার তা প্রতিষ্ঠিত হল। ভারতে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার এম কাডাকিন বলেন, “আমাদের সন্দেহ হয়েছিল কারণ আশ্চর্যজনক ভাবে ফুকুশিমা-কাণ্ডের ছ’মাস পরেই কুড়ানকুলামের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। ছ’মাস ধরে বিক্ষোভকারীরা ঘুমোচ্ছিলেন, তার পর হঠাৎ করে জেগে উঠে তাঁরা বিশ্বের সব চেয়ে নিরাপদ প্রকল্পের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে শুরু করেন।”
|
কড়া নিরাপত্তায় ভাঙা হল ওসামা বিন লাদেনের অ্যাবটাবাদের বাড়ি। পাক সেনা ছাউনির অদূরে ওই বাড়িতেই দীর্ঘদিন লুকিয়ে ছিলেন ওসামা। গত বছর সেখানেই অভিযান চালিয়ে তাঁকে হত্যা করে মার্কিন বাহিনী। পাক প্রশাসনের নাকের ডগায় কী ভাবে ওসামা লুকিয়ে ছিলেন, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। আজ রাতে এলাকার সমস্ত রাস্তা আটকে দিয়ে কম্পাউন্ডটি ঘিরে ফেলে পাক বাহিনী। রাত ন’টা থেকে শুরু হয় বাড়ি ভাঙার কাজ। পরে টুইটারে পাক রেডিও থেকে বার্তা দেওয়া হয়, “বিলাল শহরের অ্যাবটাবাদ এলাকায় ওসামার বাড়িটি ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।”
|
বেনজির ভুট্টো হত্যা মামলায় মুশরফকে ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিস পাঠানোর উদ্যোগ শুরু করল পাক প্রশাসন। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রেহমান মালিক জানিয়েছেন আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই এই উদ্দেশ্যে ইন্টারপোলে আবেদন জানানো হবে। ২০০৯ সাল থেকে দুবাই ও লন্ডনে গা-ঢাকা দিয়ে আছেন তিনি। |