|
|
|
|
একশো দিনের প্রকল্প |
কাজ করেও মেলেনি মজুরি, নালিশ চন্দ্রিতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
একশো দিনের প্রকল্পে মাটি কাটার কাজ করেও প্রাপ্য মজুরি পাননি ১১০ জন দরিদ্র গ্রামবাসী। তাঁদের অভিযোগ, টানা ৯ দিন কাজ করেও মজুরি পাননি তাঁরা। পঞ্চায়েতের নির্মাণ-সহায়ক মজুরির টাকা দিতে গড়িমসি করছেন। অথচ কাজে যোগ নেওয়া বাকিদের মজুরি মেটানো হয়েছে। ঘটনাটি ঝাড়গ্রাম ব্লকের চন্দ্রি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার। মজুরি না-পেয়ে ঝাড়গ্রামের বিডিও সুদীপনারায়ণ ওঝা-র কাছে মঙ্গলবার লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই শ্রমিকেরা। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও।
চন্দ্রি পঞ্চায়েতটি সিপিএমের দখলে। তৃণমূলের অঞ্চল-সভাপতি বাপি সাউয়ের অভিযোগ, “তৃণমূল সমর্থক হওয়ার কারণেই ওই ১১০ জন শ্রমিকের মজুরির টাকা আটকে রেখেছেন পঞ্চায়েত-কর্তৃপক্ষ।” অভিযোগকারীদের বক্তব্য, চন্দ্রি পঞ্চায়েতের আস্তি থেকে আউশপাল পর্যন্ত একটি নতুন মাটির রাস্তা তৈরির জন্য স্থানীয় আস্তি, প্রতাপপুর, নাঘাটা, তালডাঙা, পাথরডাঙা ও আউসপাল গ্রামের কয়েকশো বাসিন্দা একশো দিনের প্রকল্পে সম্প্রতি ৯ দিন মাটি কাটার কাজ করেন।
অভিযোগকারীদের দাবি, কাজ শুরুর সময়ে পঞ্চায়েতের তরফে গ্রামবাসীদের দৈনিক মজুরি দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ৯ দিন কাজ করার পর দেড়শো জনকে মজুরির টাকা দেওয়া হলেও বাকি ১১০ জনকে মজুরি দেওয়া হয়নি। অভিযোগকারী নারায়ণ মাহাতো, পরিতোষ মাহাতো, শেফালি মাহাতো, বাসন্তী মাহাতো, কল্পনা মাহাতোদের আক্ষেপ, “আমরা গরিব দিনমজুর। কাজ করেও মজুরি পেলাম না।”
চন্দ্রি পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক কঙ্কন দাস বলেন, “ওই কাজের দেখভালের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় স্ব-সহায়ক গোষ্ঠীর তথ্য অনুযায়ী প্রথম পর্যায়ে ১-৯ জানুয়ারি ন’দিনে ৭৮০ শ্রমদিবস সৃষ্টি হওয়ায় প্রত্যক্ষ ভাবে মাটির কাটার কাজে অংশ নেওয়া ৭৫ জন মহিলা-সহ দেড়শো জনকে মজুরি দেওয়া হয়েছে। মজুরি বাবদ মোট এক লক্ষ এক হাজার চারশো টাকা (১,০১,৪০০ টাকা) খরচ হয়েছে।” চন্দ্রি পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের দুলাল মাদুলি-র দাবি, “পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ভিত্তিহীন।” ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক সুদীপনারায়ণ ওঝা অবশ্য অভিযোগ খতিয়ে দেখে কার্যকরী পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন। |
|
|
|
|
|