দেশের বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে যখন বনাঞ্চল কমছে, তখনই বন সৃজনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের পড়শি রাজ্য বিহারে। ২০১১ সালের কেন্দ্রের বনাঞ্চল সমীক্ষার রিপোর্ট উল্লেখ করে জানানো হয়েছে, বিহারে ৪১ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় নতুন করে বনাঞ্চল সৃষ্টি হয়েছে। এই রিপোর্ট থেকেই জানা যাচ্ছে, দেশের ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে অরণ্য এলাকা ক্ষীয়মান। তবে বিহার-সহ ১৫টি রাজ্য কিন্তু বনাঞ্চল বাড়িয়ে তুলতে সমর্থ হয়েছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের তুলনায় দেশ জুড়ে অরণ্য অঞ্চল ২০১১ সালে ৩৬৭ বর্গ কিলোমিটার কমে গিয়েছে। কিন্তু বিপরীত চিত্র বিহারে। ২০০৯ সালে বিহারে বনাঞ্চল ছিল ৬ হাজার ৮০৪ বর্গ কিলোমিটার। ২০১১ সালে ওই এলাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮৪৫ বর্গ কিলোমিটার। অর্থাৎ বৃদ্ধির পরিমাণ ৪১ বর্গ কিলোমিটার। রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, সারা দেশে ১৫টি রাজ্যে ৫০০ বর্গ কিলোমিটার অরণ্য এলাকা বাড়লেও ১২টি রাজ্যে অরণ্য এলাকা ৮৬৭ বর্গ কিলোমিটার কমে গিয়েছে।” বিহারের প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশায় অরণ্য এলাকা বাড়লেও অন্য দিকের প্রতিবেশী রাজ্য উত্তরপ্রদেশে বনাঞ্চল কমে গিয়েছে। রাজ্যের কৃষি মানচিত্র অনুযায়ী, আগামী দিনে ১৫ শতাংশ এলাকায় নতুন করে বৃক্ষরোপণ করা হবে বলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এর জন্য আগামী পাঁচ বছরে ২১ কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
|
গত বছর জলপাইগুড়ির করলা নদীতে বিষকাণ্ডের পরে অবশেষে তা সংস্কারে উদ্যোগী হয়েছে সেচ দফতর। গত শুক্রবার শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকেই করলা নদী সংস্কারের বিস্তারিত পরিকল্পনা তথা ডিপিআর তুলে দেওয়া হয়েছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের হাতে। সেচ দফতর থেকেই ওই ডিপিআর তৈরি করা হয়েছে। গত বছর করলা নদীতে বিষ কাণ্ডের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করেন। তারপরেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রক এবং সেচ দফতর করলা নদী সংস্কারে উদ্যোগী হন। দুই দফতরের মন্ত্রীই বিষকাণ্ডের পরে দফায় দফায় জলপাইগুড়িতে এসে বৈঠক করেছেন। সেচ দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, যে ডিপিআর তৈরি করা হয়েছে, তাতে নদী খাত খনন করে নাব্যতা বাড়ানো থেকে শুরু করে স্পার তৈরি, মাছ চাষের পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি সৌন্দর্যায়ন এবং পর্যটকদের নদীতে বোটিং করিয়ে আয়ের উৎস তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে। উত্তরবঙ্গ বন্যা নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “প্রায় ২৩ কোটি টাকার পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। করলা নদীর উৎস বৈকুন্ঠপুর থেকে তিস্তার মোহনা পর্যন্ত প্রায় ২৬ কিলোমিটার নদী প্রবাহে সংস্কার করা হবে।” সেচ দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, তৈরি হওয়া ডিপিআরে করলা নদী খাতকে দেড় ফুট খনন করা হবে। এর ফলে নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি পাবে। শহরের যে সব নর্দমা বা খাল করলা নদীতে এসে মিশেছে সেগুলিকে বিজ্ঞানসন্মত ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। মোহনার থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে একটি নিয়ন্ত্রণ বাঁধ তৈরি করা হবে।
|
লোকালয়ে চলে আসা তিনটি বাইসনের একটি শনিবার মারা গিয়েছে। শনিবার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপক্ষেত্র অধিকর্তা (পশ্চিম) বিজয় কুমার সালিমাথ জানান, গত শুক্রবার রাজাভাতখাওয়ার জঙ্গল থেকে তিনটি বাইসন মধ্য ভাইরাগুড়ি ও দমনপুর এলাকায় চলে আসে।
|
কচ্ছপের মাংস বিক্রি করার অভিযোগে শনিবার সকালে বেলেঘাটার একটি বাজার থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, তার নাম সাধন চক্রবর্তী। তিনি ওই এলাকারই বাসিন্দা। ওই যুবকের কাছ থেকে ২১টি কচ্ছপও উদ্ধার করা হয়েছে। |