|
|
|
|
আইএনটিটিইউসি কর্মীকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মার, অবরোধ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
আইএনটিটিইউসি-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে অবরোধে এক ঘন্টার উপর আটকে রইল দুর্গাপুর স্টেশন থেকে শহরে ঢোকার প্রধান রাস্তা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিটেডের (ডিপিএল) এক আইএনটিটিইউসি কর্মী মৈনাক মজুমদারকে দুর্গাপুর গ্যামন ব্রিজ মোড়ে মারধর করা হয়। তার জেরে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত স্টেশন রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তার গোষ্ঠীর কিছু সমর্থক। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাতে লাভ না হওয়ায় র্যাফ নামিয়ে অবরোধ তোলা হয়।
বর্ধমান শহর থেকে শুরু করে দুর্গাপুর, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা নতুন নয়। এ দিনের ঘটনায় ফের তা প্রকাশ্যে চলে এল। আইএনটিটিইউসি-র বর্ধমান জেলা সভাপতি প্রভাত চট্টোপাধ্যায় অবশ্য গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা মানতে চাননি। তিনি বলেন, “শুনেছি, এক দল লোক আমাদের ঝান্ডা ব্যবহার করে রাস্তা অবরোধ করেছিল। আমরা বন্ধ-অবরোধ পছন্দ করি না। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হবে। দলের বা সংগঠনের কোনও ব্যক্তি যদি এর সঙ্গে জড়িত থাকেন, তবে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
|
ছবি: বিশ্বনাথ মশান |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ কারখানায় কাজে যাচ্ছিলেন আইএনটিটিইউসি নেতা দেবদাস মজুমদারের ছেলে, সংগঠনের কর্মী মৈনাকবাবু। অভিযোগ, গ্যামন ব্রিজ মোড়ে হঠাৎ কয়েক জন তাঁর উপরে চড়াও হয়। সামান্য জখম হন তিনি। এরই প্রতিবাদে দেবদাসবাবুর অনুগামীরা স্টেশন রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
আসানসোল-দুর্গাপুরের এডিসিপি শুভঙ্কর সিংহ সরকার বলেন, “অবরোধের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। বুঝিয়ে-সুজিয়ে অবরোধ তোলার চেষ্টা করা হয়। তাতে কাজ না হওয়ায় র্যাফ গিয়ে অবরোধ উঠিয়ে দেয়।”
দেবদাসবাবুর দাবি, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বনাথ পাড়িয়াল ও তৃণমূল নেতা চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বাইরে থেকে উস্কানি দিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। দেবদাসবাবুর অভিযোগ, “ওই দু’জনের প্ররোচনায় আমার ছেলেকে মারধর করা হয়।” অভিযোগ অস্বীকার করে বিশ্বনাথবাবু ও চন্দ্রশেখরবাবু জানান, ঘটনার সময় দলের কাজে তাঁরা বাইরে ছিলেন। তাঁদের পাল্টা দাবি, “এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আসলে বিধানসভা নির্বাচনে আমাদের দল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে কিছু লোকজন সিপিএম থেকে আমাদের সংগঠনে ঢুকে আখের গোছানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। দেবদাসবাবু তেমনই এক জন। তাঁর ছেলে কেন মার খেয়েছেন, সেটা তিনিই ভাল বলতে পারবেন।”
প্রসঙ্গত, ৩ ফেব্রুয়ারি ঠিকা শ্রমিক নিয়োগ নিয়ে বচসার জেরে কারখানার গেটে দেবদাসবাবুর অনুগামীদের উপরে হামলা হয়। সে বারও বিশ্বনাথবাবু ও চন্দ্রশেখরবাবু অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন। বিক্ষোভকারীরা এ দিন এক চিত্রসাংবাদিকের ক্যামেরা ভাঙচুর করেছে বলে সাংবাদিকদের তরফেও থানায় অভিযোগ জানানো হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
|
হাসপাতাল থেকে বাড়ি গেলেন শমীক
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
হাসপাতাল থেকে শনিবার ছাড়া পেয়ে বাড়ি গেলেন বিজেপি-র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক শমীক ভট্টাচার্য। সোমবার গাড়িতে চড়ে বীরভূমের দুবরাজপুরে একটি সমাবেশে যাওয়ার পথে বর্ধমানে দুর্ঘটনায় তিনি, এবং এক বিজেপি কর্মী শুভেন্দু চক্রবর্তী এবং গাড়ির চালক গুরুতর জখম হন। বর্ধমানের একটি নার্সিংহোমে তাঁদের ভর্তি করানো হয়। মঙ্গলবার শমীকবাবু এবং শুভেন্দুবাবুকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এ দিন দু’জনকেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। শমীকবাবুর মাথায় অস্ত্রোপচার হয়েছে। পরে দরকার হলে তাঁর প্লাস্টিক সার্জারি করানো হবে। |
|
|
|
|
|