|
|
|
|
ডাকঘর |
|
মাঠ বাঁচাতে উদ্যোগী হন |
ব্যারাক স্কোয়ার ময়দানের চার পাশের সৌন্দর্যায়নের উদ্যোগের জন্য বহরমপুর পুরসভা কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি মাঠটির ভিতরের উন্নয়নের জন্য কয়েকটি প্রস্তাব পেশ করছি।
(১) নানা ধরনের সভা, মেলা ও হেলিপ্যাডের কারণে চোরাগোপ্তা গর্তে ও কাঁকরে মাঠটি ভরে গিয়েছে। ওই গর্তগুলি বুজিয়ে মাঠটি সমতল করা খুবই দরকার।
(২) যুগ যুগ ধরে সংস্কার না করায় মাঠটি অসমতল হয়ে পড়ছে। তার ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই বিশাল ওই মাঠের বিভিন্ন এলাকায় জল জমে যায়। ফলে নীচু এলাকায় মাটি ফেলে মাঠটি সমতল করা দরকার।
(৩) সিপাহি বিদ্রোহের ইতিহাস মাখা ওই মাঠটির আয়তন প্রায় ৭২ বিঘা বা ১৬ হাজার বর্গ মিটার। বহরমপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহাসিক ওই মাঠটির চারদিকে রয়েছে জল নিকাশির জন্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে তৈরি পরিখা। মাটির তলা দিয়ে ওই পরিখার জল চলে যেত লালদিঘিতে। সেখান থেকে একই ভাবে জল চলে যেত ধোপঘাটিতে। ব্রিটিশ শাসকদের তৈরি ওই সব পরিখাগুলি ভরাট হয়ে গিয়ে সুষ্ঠু ব্যবস্থা এখন অকেজো হয়ে গিয়েছে। ফলে বর্তমানে অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে থাকে মাঠের মধ্যে। ওই পরিখাগুলি সংস্কার করে জল নিকাশি সমস্যার দ্রুত সমাধান দরকার।
(৪) পূর্ব দিকে মাঠের প্রায় মাঝ বরাবর একটি নাতিদীর্ঘ কুলগাছ রয়েছে। সেটি কেটে ফেলা দরকার।
(৫) শহরের মধ্যে থাকা বিশাল স্টেডিয়াম ও লাগোয়া বিশাল মাঠ ছাড়াও রয়েছে আরও ২টি বিশাল মাঠ। মেলা, সভা ও হেলিপ্যাডের পীড়ন থেকে ব্যারাক স্কোয়ার মাঠটিকে রেহাই দিতে ওই সব কাজের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে অন্য মাঠ।
(৬) ব্যারাক স্কোয়ার মাঠের ভিতরে কোনও রকম যানবাহন ঢোকানো কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ করা দরকার। কেবল ঘোষণায় নয়, করা দরকার বাস্তবে।
সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়, বহরমপুর
|
একই দিনে দুই পরীক্ষা |
|
আমার পুত্র অর্কদীপ্ত সরকার W B C S পরীক্ষা এবং স্টাফ রিক্রুটমেন্ট মুর্শিদাবাদ সিটি সিভিল কোর্ট পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন করেছে। প্রথম পরীক্ষার জন্য ফিজ বাবদ ২০০ টাকার পোস্টাল অর্ডার এবং দ্বিতীয় পরীক্ষার জন্য ১০০ টাকার পোস্টাল অর্ডার জমা দিতে হয়েছে। দু’টি পরীক্ষারই অ্যাডমিড কার্ডও এসেছে। কিন্তু ওই দু’টি অ্যাডমিড কার্ডের লেখা অনুসারে পরীক্ষা দু’টি একই দিনে ও প্রায় একই সময়ে রয়েছে। ওই দু’টি পরীক্ষাই হবে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি। W B C S পরীক্ষা হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। স্টাফ রিক্রটমেন্ট পরীক্ষাটি হবে দুপুর ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বেলডাঙার হিরামতী হাইস্কুলে। কেবল আমার ছেলের ক্ষেত্রেই নয়, চাকরি প্রার্থী শত শত বেকারের ওই এক সমস্যা দেখা দিয়েছে। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে ওই সমস্যার সমাধানের জন্য আবেদন জানাই।
দীপঙ্কর সরকার, বহরমপুর
|
পুরসভার দাবি |
নদিয়া জেলার বেথুয়াডহরি পুরসভা হবে বলে অনেক দিন আগে ঘোষণা করেছে বিগত বামফ্রন্ট সরকার। ওই ঘোষণার ফলে বেথুয়াডহরির মানুষ আশান্বিত হয়েছিল। কিন্তু তার পর অনেক দিন অতিবাহিত হলেও বেথুয়াডহরিকে পুরসভা করার বিষয়ে সরকারের তরফে আর কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। ফলে নিকাশি ব্যবস্থা ও রাস্তার আলো-সহ নাগরিক পরিষেবার বিভিন্ন বিষয় বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে সেই তিমিরেই। এ কারণে বেথুয়াডহরিকে দ্রুত পুরসভায় উন্নীত করার জন্য নতুন রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানাই।
দেবাশিস ঘোষ, বেথুয়াডহরি
|
নিষ্ঠুর হবেন না |
লাঠি, ঝাটা, ইট, পাথর, উনুন খোঁচানোর লোহার গরম শিক, গরম জলযে যে রকম ভাবে পারছে আঘাত শানিয়ে যাচ্ছে। অসহায়, খেতে না পাওয়া, লোম ঝরা পথ-কুকুরগুলোর উপর। কৃষ্ণনগর শহরে এ রকম অত্যাচারিত, ক্ষত-বিক্ষত পথ-কুকুরের সংখ্যা অজস্র। শীতকালে ওই কুকুরগুলো ৫-৭টি বাচ্চা নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। বাচ্চাগুলির মধ্যে অনেকগুলিই গাড়ি চাপা পড়ে মারা যায়। কৃষ্ণনগর পুরসভার কাছে আবেদন, ওই কুকুরগুলির জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য টিকাকরণের ব্যবস্থা করুন। আর সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন, ওই কুকুরগুলির প্রতি আপনারা সদয় নাই বা হলেন, কিন্তু নিষ্ঠুর হবেন কেন!
তন্ময় ঘোষ, কৃষ্ণনগর
|
দমকল চাই জঙ্গিপুরে |
মুর্শিদাবাদ জেলার প্রাচীন মহকুমা শহর জঙ্গিপুর বিভিন্ন কারণেই সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ১৪২ বছরের প্রাচীন ওই পুরসভা এলাকায় রয়েছে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ১০-১১টি ব্যাঙ্ক, সরকারি বিভিন্ন দফতর ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়। পুরসভা লাগোয়া এলাকায় রয়েছে বিড়ি ও প্লাস্টিক শিল্পের কারাখানা ও গুদামঘর। অথচ ঘনবসতির ওই শহরে নেই দমকল কেন্দ্র। দমকল কেন্দ্র রয়েছে ৩৫ কিলোমিটার দূরে ধুলিয়ানে এবং ৬০ কিলোমিটার দূরে বহরমপুরে। তাই জঙ্গিপুর শহরে দ্রুত দমকল কেন্দ্র তৈরি করা খুবই জরুরি। কাশীনাথ ভকত, জঙ্গিপুর |
|
|
|
|
|