কোর্ট কথা
২০০৮ সালে রাজার আমলে দেওয়া ১২২টি টুজি লাইসেন্স বাতিল। কোর্টের মতে, সেগুলি একতরফা এবং অসাংবিধানিক। নিলামের নয়া নির্দেশিকা তৈরির নির্দেশ ট্রাই-কে।
চিদম্বরমের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত শুরু হবে কি না, দায়রা বিচারক ও পি সাইনিকে দু’সপ্তাহের মধ্যে তার রায় দিতে নির্দেশ।
নিজেদের অংশ বিক্রি করে দেওয়ায় টাটা, ইউনিটেক, সোয়ানকে ৫ কোটি করে জরিমানা।
স্পেকট্রাম বণ্টনে সিদ্ধান্ত নেন রাজা। জানাননি চিদম্বরমকে। মানেননি মনমোহনের পরামর্শও।

কার ক’টি লাইসেন্স বাতিল
ইউনিনর ২২
লুপ ২১
সিস্টেমা-শ্যাম ২১
ভিডিওকন ২১
এটিসালাত-ডিবি ১৫
আইডিয়া
এস টেল
স্পাইস
টাটা টেলিসার্ভিসেস
এটা শুধু এক জনের সিদ্ধান্ত
নয়, গোটা সরকারের সিদ্ধান্ত।

নীতিটি এনডিএ আমলের। বিজেপির
উচিত দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া।



অতঃপর

আইডিয়া, ভিডিওকন, ইউনিনর, লুপ টেলিকম এবং সিস্টেমা শ্যাম।


ট্রাইয়ের দাবি, ‘না’। কারণ, রায় কার্যকর করতে ৪ মাস সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তার মধ্যে নতুন করে নিলাম করতে হবে টুজি স্পেকট্রাম। তখন ফের তা কিনে নেওয়ার সুযোগ পাবে টেলি সংস্থাগুলি। ফলে এখনই ব্যাঘাত ঘটছে না মোবাইল পরিষেবায়।


সে ক্ষেত্রে বাধ্য হয়েই অন্য সংস্থার সংযোগ নিতে হবে গ্রাহককে। তবে এখন মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি চালু হয়ে যাওয়ায়, নম্বর এক রেখেও সংস্থা পাল্টানোর সুবিধা পাবেন তাঁরা।


বিশেষজ্ঞদের অনেকেরই মতে, তেমন সম্ভাবনা ষোলো আনা। কারণ, এক দিকে আর্থিক শক্তিতে এঁটে উঠতে না পেরে হয়তো ব্যবসা ছেড়ে বেরিয়ে যাবে কিছু সংস্থা। ফলে প্রতিযোগিতা কমবে। আবার অন্য দিকে, নিলামে বেশি দামে স্পেকট্রাম কেনার খরচের কিছুটা গ্রাহকদের উপর চাপাতে চাইবে সংস্থাগুলি। তবে এ বিষয়ে নজরদারি রাখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে ট্রাই।

অগস্ট, ২০০৭
এ রাজা তখন টেলিকম মন্ত্রী। আগে এলে আগে পাওয়ার ভিত্তিতে টুজির লাইসেন্স বিলির প্রক্রিয়া শুরু করল টেলিকম দফতর।
২ নভেম্বর, ২০০৭
স্বচ্ছতার সঙ্গে এই কাজ করার জন্য রাজাকে চিঠি প্রধানমন্ত্রীর। প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টা চিঠি লিখে তাঁর অধিকাংশ প্রস্তাব খারিজ টেলিকম মন্ত্রীর।
২২ নভেম্বর, ২০০৭
লাইসেন্স বিলির পদ্ধতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে টেলিকম দফতরকে চিঠি অর্থ দফতরের। নীতি পুনর্বিবেচনার দাবি খারিজ।
২০০৯
একাধিক অভিযোগ পাওয়ার পর সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ সিভিসি-র।
২১ অক্টোবর, ২০০৯
টেলিকম দফতরের বেশ কিছু অফিসার এবং ব্যক্তিগত সংস্থার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা দায়ের সিবিআইয়ের।
৩১ মার্চ, ২০১০
স্পেকট্রাম বিলির ক্ষেত্রে বড় রকমের দুর্নীতি হয়েছে বলে জানাল সিএজি।
৬ মে ২০১০
রাজা এবং নীরা রাডিয়ার টেলিফোন-সংলাপ প্রকাশ্যে আনল সংবাদমাধ্যম।
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১০
৭০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে, এই অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজাকে নোটিস পাঠাল শীর্ষ আদালত।
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১০
রাজার বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি দাবি করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।
৮ অক্টোবর, ২০১০
দুনীর্তি নিয়ে সিএজি রিপোর্টের উপর কেন্দ্রীয় সরকারের জবাব তলব শীর্ষ আদালতের।
২১ অক্টোবর, ২০১০
শীর্ষ আদালতে জমা পড়ল সিএজি রিপোর্ট।
১০ নভেম্বর, ২০১০
সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দিল সিএজি। রিপোর্ট অনুযায়ী দুর্নীতির পরিমাণ ১.৭৬ লাখ টাকা।
১৪ নভেম্বর, ২০১০
টেলিকম মন্ত্রী এ রাজার পদত্যাগ।
২৯ নভেম্বর, ২০১০
দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ সিবিআইয়ের।
১৪ ডিসেম্বর, ২০১০
রাজার আমলে বিলি হওয়া নতুন লাইসেন্স খারিজের আর্জি জানিয়ে শীর্ষ আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের।
১৫ ডিসেম্বর, ২০১০
টুজি মামলায় সরকারি কৌঁসুলি হওয়ার আর্জি জানিয়ে দিল্লির এক আদালতে আবেদন স্বামীর।
৪ জানুয়ারি, ২০১১
টুজি লাইসেন্স বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে গেলেন স্বামী।
২ ফেব্রুয়ারি, ২০১১
রাজা, প্রাক্তন টেলিকম সচিব সিদ্ধার্থ বেহুড়া এবং রাজার প্রাক্তন ব্যক্তিগত সচিব আর কে চান্দোলিয়া গ্রেফতার।
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১১
তিহাড় জেলে পাঠানো হল রাজাকে।