হাইকোর্টে রিপোর্ট দু’এক দিনেই
নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলায় লক্ষ্মণকে খুঁজছে সিআইডি
ন্দীগ্রামের ভূমি-কমিটির কয়েক জনের নিখোঁজের ঘটনায় হলদিয়ার একদা ‘দাপুটে’ সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠের খোঁজ করছে সিআইডি। আপাতত ‘আত্মগোপন’ করে থাকা এই সিপিএম নেতার সন্ধান পেলে তাঁকে জেরা করা হবে বলেও গোয়েন্দা সূত্রের খবর।
সিআইডি সূত্রের খবর, দিন কয়েকের মধ্যেই নিখোঁজ-মামলায় হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করা হবে। হাইকোর্টের নির্দেশেই পুজোর আগে এই মামলার তদন্তভার পায় সিআইডি। গত ১৮ নভেম্বর প্রথম দফার রিপোর্ট পেশ হয় হাইকোর্টে। উচ্চ আদালত সিআইডিকে আরও দু’মাস সময় দেয়। সময়সীমার মধ্যেই তদন্ত শেষ হয়েছে বলে দাবি সিআইডি-র। ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন নন্দীগ্রাম-খেজুরির ৭ সিপিএম নেতা-কর্মী। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া পঞ্চায়েতের সদস্য নব সামন্ত এবং খেজুরির প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য অজিত বর। ধৃতেরা রয়েছেন জেলে। ‘প্রত্যক্ষদর্শী’-সহ বেশ কয়েক জনকে জেরার সূত্রে লক্ষ্মণ শেঠ-সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সিপিএমের প্রথম সারির কিছু নেতার নিখোঁজ-কাণ্ডে জড়িত থাকা নিয়ে তথ্য মিলেছে বলে দাবি সিআইডি-র।
খেজুরির সিপিএম নেতা হিমাংশু দাস, বিজন রায়, পূর্ব পাঁশকুড়ার প্রাক্তন বিধায়ক অমিয় সাউ, জেলা কৃষকসভার সম্পাদক অশোক গুড়িয়ার মতো নেতাদের খুঁজছে সিআইডি। এমনকী তাঁদের কয়েক জনের সন্ধানে ইতিমধ্যে ভিন্ রাজ্যেও পাড়ি দিয়েছিল গোয়েন্দা-দল। তবে খোঁজ মেলেনি। লক্ষ্মণবাবু, হিমাংশুবাবুরা দলের সদ্য-সমাপ্ত জেলা সম্মেলনেও উপস্থিত ছিলেন না। যদিও গরহাজির নেতাদের ফের জেলা কমিটিতে পুনর্নির্বাচিত করা হয়েছে। ২০০৭-এর ১০ নভেম্বর সিপিএমের নন্দীগ্রাম ‘পুনর্দখল’-পর্বে গোকুলনগরের করপল্লির কাছে আক্রান্ত হয় ভূমি-উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির মিছিল। নিহত হন মহম্মদপুরের বইচবাড়ি গ্রামের রেজাউল ইসলাম ও কালীচরণপুরের শ্যামলী মান্না। মহেশপুরের পারুলবাড়িতে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হয় কমলপুরের হরেন প্রামাণিকের দেহ। তখন থেকেই নিখোঁজ প্রাক্তন সেনাকর্মী গোকুলনগরের আদিত্য বেরা ও অর্ধেন্দু দাস অধিকারী, সাউদখালির ভগীরথ মাইতি, বলরাম সিংহ ও সত্যেন গোল, সোনাচূড়ার নারায়ণ দাস, সুবল মাজি ও কাজল মণ্ডল ও গাঙড়ার বাবু দাস। চার বছরেও পুলিশ তাঁদের খোঁজ পায়নি। পালাবদলের পরে কিছু ‘নিখোঁজ’-এর পরিজন হাইকোর্টে ‘হেবিয়স কর্পাস’ করেন। তার ভিত্তিতে সিআইডি-তদন্তের নির্দেশ হয়। সিআইডি সূত্রের দাবি, ‘নিখোঁজ’রা কেউই আর বেঁচে নেই। তাঁদের খুন করা হয়েছে। করপল্লিতে ভূমি-কমিটির মিছিলে হামলার পরে নিহতদের দেহ প্রথমে খেজুরিতে নিয়ে যাওয়া হয়। শেরখাঁচকের জননী ইটভাটা এবং স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়। দেহ বহনের কাজে ব্যবহৃত হয় কয়েকটি রিকশা ও একটি অ্যাম্বুল্যান্স। কয়েক জন ভ্যান-চালকের জবানবন্দি নথিভুক্তও করেছে সিআইডি। আটক করা হয়েছে সিপিএম নেতা পরিচালিত ক্লাবের অ্যাম্বুল্যান্স। গ্রেফতার হয়েছেন অ্যাম্বুল্যান্স-চালক। ধৃত অজিত বর কিছু নৌকার মালিক। তাঁর নৌকাতে দেহগুলি বঙ্গোপসাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হয় বলে সিআইডি-র দাবি।

হলদিয়ায় প্রাচীন মুদ্রা-সহ গ্রেফতার ৬
উদ্ধার হওয়া মুদ্রা। নিজস্ব চিত্র।
প্রাচীন মুদ্রার চোরা-কারবারে জড়িত সন্দেহে শুক্রবার রাতে হলদিয়ার চকদ্বীপা অঞ্চল থেকে ৬ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে প্রাচীন একটি ধাতব মুদ্রা। ধৃতদের শনিবার হাজির করানো হয়েছিল হলদিয়া এসিজেএম আদালতে। বিচারক তাঁদের ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। মুদ্রাটির গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ-কে বিষয়টি জানানো হয়েছে। প্রাচীন মুদ্রা চুরি এবং অবৈধ ভাবে তা বিক্রির চক্রে আরও অনেকে জড়িত বলেই অনুমান পুলিশের। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। চকদ্বীপার একটি বাড়িতে চোরাই মুদ্রার কারবারে যুক্ত কয়েক জন জড়ো হয়েছে খবর পেয়ে রাতে হলদিয়ার থানার ওসি বিশ্বজিৎ হালদারের নেতৃত্বে তল্লাশি চালায় পুলিশ। বাড়িটি যাঁর, সেই সনাতন সাহুকে অবশ্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু স্বর্ণকমল দাস, উত্তমকুমার ধাড়া, রামকৃষ্ণ রানা, শম্ভুচরণ ধাড়া, মলয় বাগ ও স্বপনকুমার প্রধান নামে আশপাশের এলাকার ৬ জনকে গভীর রাতে অন্যের বাড়িতে থাকতে দেখে সন্দেহ বাড়ে পুলিশের। শুরু হয় জেরা। স্বর্ণকমলের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয় প্রাচীন ধাতব মুদ্রা। মুদ্রাটি কয়েক লক্ষ টাকায় বিক্রির মতলব আঁটা হয় বলে দাবি পুলিশের। ৬ জনকেই পুলিশ গ্রেফতার করে। সনাতন সাহুর খোঁজেও তল্লাশি চলছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.