সব সংগঠনকে ডাক ব্রাত্যর
ছাত্রভোটে হিংসা রুখতে রাজ্যে এ বার নতুন বিধি
রায়গঞ্জ ও মাজদিয়া কলেজে অধ্যক্ষ-নিগ্রহের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে কলেজে কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচনে সন্ত্রাস বন্ধ করার জন্য নতুন নিয়মবিধি তৈরি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু নিজেই রবিবার এ কথা জানিয়েছেন।
রাজ্য সরকার যে বিষয়টিকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছে, তা বোঝাতে ব্রাত্যবাবু জানান, আজ, সোমবার তিনি রাজ্যের উচ্চশিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সুগত মারজিতের সঙ্গে বৈঠক করবেন। কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচনে হিংসা রুখতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, সেই বিষয়ে দু’জনের মধ্যে আলোচনা হবে। শিক্ষামন্ত্রীর প্রশ্ন, কলেজে পুলিশ ঢুকবে কেন? তার পরে মন্তব্য করেন, ছাত্রদের এমন পরিবেশ সৃষ্টি করা উচিত নয়, যার ফলে কলেজে পুলিশ ঢুকবে।
শিক্ষামন্ত্রী যে শুধু শিক্ষাবিদ বা বিভিন্ন সরকারি কমিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গেই বৈঠকে বসছেন, তা নয়। পরিস্থিতির মোকাবিলায় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাদের সঙ্গেও সরাসরি কথা বলতে চান ব্রাত্যবাবু। রবিবার টাকী বয়েজ স্কুলের পুনর্মিলন উৎসবে যোগ দিতে গিয়েছিলেন ব্রাত্যবাবু। মূল অনুষ্ঠানের ফাঁকে শিক্ষামন্ত্রী বলেন “আমি ছাত্র সংগঠনগুলিকে আমার সঙ্গে মুখোমুখি বসে কথা বলার আহ্বান জানাচ্ছি। আমার কাছে এসএফআই কিংবা টিএমসিপি-র মধ্যে কোনও বিভেদ নেই। এক জন ছাত্রের কাছে তার ছাত্রসত্তার থেকে রাজনৈতিক সত্তা বেশি গুরুত্বপূর্ণ, এটা বিশ্বাস করি না।”

ব্রাত্য বসু

সুগত মারজিত
পরিস্থিতির মোকাবিলায় শিক্ষামন্ত্রী যে-ভাবে সব ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদের কথা বলার জন্য ডেকেছেন, তাকে স্বাগত জানিয়েছে রাজ্যের সব ক’টি প্রধান ছাত্র সংগঠনই। এসএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্র বলেছেন, “মন্ত্রী আমাদের ডাকলে আমরা যাব এবং গঠনমূলক প্রস্তাব দেব।” ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি রাহুল রায় জানিয়েছেন, বৈঠকের প্রস্তাব এবং তার আলোচ্যসূচি এলে তাঁরা বিবেচনা করবেন। তিনি বলেন, “যদি সরকার আন্তরিক ভাবে এই ধরনের ঘটনা ঠেকাতে চায়, তা হলে অবশ্যই বৈঠকে যাব।” তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা বলেন, “ব্রাত্যবাবুর উদ্যোগ স্বাগত।” সেই সঙ্গেই তাঁর বক্তব্য, ছাত্র সংসদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সঙ্গে শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদেরও নির্দিষ্ট ভূমিকা থাকে। তাই শঙ্কুদেববাবুরা চান, শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলুন মন্ত্রী।
তবে এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলির মনোভাব না-পাল্টালে সরকারি উদ্যোগ কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রাক্তন ছাত্রনেতাদের কেউ কেউ বলছেন, কলেজের ছাত্র সংসদ দখল করার জন্য রাজ্যের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলির অনেকেই মরিয়া। এ ব্যাপারে দলগুলির মধ্যে এক ধরনের দখলদারি মানসিকতা কাজ করে। ছাত্রনেতাদের মাধ্যমে মূল রাজনৈতিক দলের মনোভাবটাই স্পষ্ট হয়। তাই এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলির মানসিকতা বদলানোটাই সব থেকে বেশি জরুরি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.