উপাচার্যকে অফিস করতে না দিলে বিশ্ববিদ্যালয় সচল হবে না। অভিভাবকরা যে ক্ষোভ জানাচ্ছেন তাতে দুশ্চিন্তাও বাড়ছে। শিক্ষামন্ত্রী, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে আন্দোলন তুলে আলোচনা দরকার। দেবব্রত মিত্র, বিভাগীয় প্রধান, কর্মাস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট |
উপাচার্যকে অপসারণের দাবি উঠতেই পারে। আন্দোলনও হতে পারে। সে জন্য দিনের পর দিন বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করা হবে কেন? সরকার কিছু করুক।
সন্দীপন ভট্টাচার্য, শিক্ষক, শিলিগুড়ি কলেজ |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ভাবে অচলাবস্থা চলতে পারে না। ছাত্র, শিক্ষক-গবেষক সকলেরই ক্ষতি হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে পরিস্থিতি চলছে, তা ভাল লাগছে না। যে ভাবেই হোক দ্রুত এ সমস্যা মেটাতে হবে।
মিনতি সেন, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ |
শিক্ষামন্ত্রী, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী ডেকেছেন। আলোচনায় আমরা আগ্রহী। সে জন্য কর্মবিরতি শিথিল করা হয়েছে। কিন্তু, উপাচার্যকে অপসারণের দাবি মানতে হবে। না হলে উপাচার্যকে অফিসে ঢুকতে দেওয়া হবে না। প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ চলবে।
দেবীপ্রসাদ বুট, সাধারণ সম্পাদক, কর্মচারী সমিতি |
সকলেরই আন্দোলন করার গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে। কিন্তু ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ বা প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতি করে কিছু লোকের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার আন্দোলনকে গণতান্ত্রিক বলা যায় না। আমি মনে করি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে যে আন্দোলন চলছে তার ধারা সঠিক নয়।
জ্যোর্তিময় ঝম্পটি, অধ্যক্ষ, জলপাইগুড়ি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ |
বাম জমানায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য সন্তোষ ভট্টাচার্যকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এবারেও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যকে অপসারণের দাবি তুলে অচল করে দেওয়া হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম। দ্রুত এই অচলাবস্থা কাটানো না গেলে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হবে।
দিলীপ রায়, শিক্ষক, রাজ্য সহ সভাপতি, তৃণমূল শিক্ষা সেল, আলিপুরদুয়ার মহাবিদ্যালয় |
আলোচনায় নিশ্চয় এই সমস্যা মিটবে। সে জন্য কর্মচারী সমিতিকে আন্দোলন প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য অনুরোধ করেছি। আমি আশা করব, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সার্বিক স্বার্থের কথা ভেবে সমিতি তা করবে।
গৌতম দেব, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী |
|