মনমোহন-সনিয়া ‘বিরোধ’ নিয়ে কটাক্ষ জেটলির
লোকপাল নিয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্যের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী যখন সর্বদল বৈঠক ডেকেছেন, তার আগে বিজেপি নেতা অরুণ জেটলি আজ সুকৌশলে মনমোহন সিংহ ও সনিয়া গাঁধীর মধ্যেই ‘বিভাজন’ উস্কে দিতে চাইলেন। তা-ও সংসদে দাঁড়িয়ে। তাঁর মতে, গুরুত্বপূর্ণ কোনও বিষয়ে সনিয়ার কোনও মত জানা যায় না, আর সরকার দাদাগিরি করে। এ ভাবে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি করা সম্ভব নয়।
রাজ্যসভায় আজ সরকারের খরচ সংক্রান্ত বিলের (অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন বিল) আলোচনায় জেটলি বলেন, “ইউপিএর প্রথম অধ্যায়ে তা-ও কংগ্রেস সভানেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বোঝাপড়া ছিল। কিন্তু এখন তাঁরা সহমত পোষণ করেন না। যার ফলে প্রধানমন্ত্রীরই যখন সব ব্যাপারে শেষ কথা হওয়া উচিত, তিনি শুধু সংস্থার সিইও-র ভূমিকা পালন করেন। যাঁকে বারবার বোর্ডের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়।” জেটলির দাবি, সরকারের প্রশাসনিক দুর্বলতা, বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব, একের পর এক দুর্নীতির মূলে এটাই। অণ্ণা হজারে রাহুল গাঁধীর সমালোচনা করায় কংগ্রেস নেতারা গতকালই রে-রে করে উঠেছিলেন। কিন্তু আজ রাজ্যসভায় জেটলি যখন মনমোহনের ‘কর্তৃত্বহীনতার’ কথা বলছেন বা দু’জনের মধ্যে ‘বিরোধের’ দাবি করছেন, কংগ্রেসের তরফে তাৎপর্যপূর্ণভাবে কোনও প্রতিবাদ করা হয়নি। যদিও আগামিকাল এর জবাব দেবেন প্রণববাবু।
রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, খুচরো ব্যবসায় রাজনৈতিক ঐকমত্য না হওয়ার জন্য বিরোধীদের দিকে আঙুল তোলা হয়। কিন্তু সরকার ইউপিএ শরিকদেরও সঙ্গে নিতে ব্যর্থ হয়েছে। ২০০৭ সালে সনিয়া গাঁধী প্রধানমন্ত্রীকে খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নি নিয়ে সতর্ক হতে বলেছিলেন। এমনকী এনডিএ জমানায় রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা হিসাবে মনমোহন সিংহও লিখিত আকারে বিদেশি পুঁজির বিরোধিতাকে সমর্থন করেছিলেন। এখন সেই মনমোহন সিংহই কারও সঙ্গে আলোচনা না করে বিদেশি লগ্নির এক তরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন। আর সনিয়ারও এখন কোনও প্রকাশ্য মতামত নেই।
রাজ্যসভায় এই আলোচনার সময় উপস্থিত অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের উদ্দেশে জেটলি বলেন, “খুব সঙ্গত কারণেই আপনি পণ্য ও পরিষেবা কর চালু করতে বিরোধীদের সাহায্য চান। কিন্তু বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিকে তো এই সরকারই হেনস্থা করছে। তাদের উন্নয়ন প্রকল্পে কেন্দ্র থেকে বাধা দেওয়া হচ্ছে, সিবিআই-এর অপব্যবহার হচ্ছে। এর পরে এই কর-ব্যবস্থা চালুর ব্যাপারে সরকারের মনোভাব নিয়ে রাজ্যগুলোর সংশয় থাকতেই পারে।”
তবে জেটলি প্রণবের প্রশস্তি করেন। বলেন, “সরকারের কিছু মন্ত্রী ঔদ্ধত্য দেখান, কিছু মন্ত্রী হতাশায় ভোগেন, একমাত্র আপনিই সকলের সঙ্গে আলোচনা করে নিজেকে ব্যতিক্রমী করে তুলতে পেরেছেন।”
জেটলির কটাক্ষ, “এ বছরের গোড়ায় প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছিলেন, বিদেশে ভারতের ভাবমূর্তি যে কতটা উজ্জ্বল, তা জানতে আমি যেন পড়াশোনা করি! কিন্তু এখন তো বিদেশের পত্র-পত্রিকাতেও বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী কী ভাবে নিজের কর্তৃত্ব খুইয়েছেন।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.