আজও জল্পনার তুঙ্গে কাস্ত্রো-সেলিয়া
বিতর্কটা বহু পুরনো। তবু বিতর্কটা এখনও চলছে।
কিউবার বিপ্লবী নেত্রী সেলিয়া সাঞ্চেজের সঙ্গে কি সত্যিই প্রেমের সম্পর্ক ছিল সে দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রোর? ১৯৮০ সালে ক্যানসারে মারা যান সেলিয়া। ৩১ বছর পার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কিউবার এই বিপ্লবী নেত্রীকে নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই।
সম্প্রতি সেলিয়াকে নিয়ে প্রবন্ধ বেরিয়েছে একটি ব্রিটিশ দৈনিকে। সেই প্রবন্ধই কাস্ত্রোর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে ফের বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি কাস্ত্রোর কাছাকাছি আসেন সেলিয়া। কিউবার রাজনীতি তখন উত্তপ্ত। ১৯৫২ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দ্বিতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসেন ফুলগেনসিও বাতিস্তা। দেশের মানুষ তখন
ফুটছেন। যে কোনও মূল্যে গদি থেকে সরাতে হবে বাতিস্তাকে। কিউবাকে তখন স্বপ্ন দেখাচ্ছেন দেশের বিপ্লবী নায়ক ফিদেল কাস্ত্রো।
১৯৫৭ সালে সেলিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় কাস্ত্রোর। তখন থেকেই কাস্ত্রোর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছেন সেলিয়া। ১৯২০ সালে পূর্ব কিউবার মেডিয়া লুনায় জন্ম নেন সেলিয়া সাঞ্চেজ ম্যান্ডুলে। শৈশবে মাতৃহারা সেলিয়ার জীবনে বাবা ম্যানুয়েল সাঞ্চেজ সিলভেরার প্রভাব ছিল অনেকখানি। ম্যানুয়েল উদারপন্থী ‘অর্থডক্স পার্টি’র সদস্য ছিলেন। বাবার কাছ থেকেই রাজনীতির পাঠ নিতে শুরু করেন সেলিয়া। ছোট্ট শহরে মানুষ হতে হতে কিউবার সাধারণ মানুষের দারিদ্র বড় কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। বাতিস্তা দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর বাকি সবার মতো সেলিয়াও ঠিক করে ফেলেন, ‘আর না’। যোগ দেন কাস্ত্রোর গেরিলা বাহিনীতে। ১৯৫৭ সালের মে মাসে উভেরোর যুদ্ধে প্রথম অংশ নেন সেলিয়া। তার পর থেকে কাস্ত্রোর সর্বক্ষণের ছায়াসঙ্গী ছিলেন সেলিয়া। যুদ্ধের সময় সঙ্গীদের খাবার, পানীয়, জামাকাপড় জোগাড় করে দেওয়ার দায়িত্বে থাকতেন তিনি। কিউবার প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলি এত ভাল করে চিনতেন যে, খুঁটিনাটি সমস্ত বিষয়ের উপর কাস্ত্রো তাঁর উপরই নির্ভর করতেন।
বিপ্লবী নেত্রী সেলিয়া সাঞ্চেজ
বাতিস্তাকে সরিয়ে কাস্ত্রো যখন দেশের হাল ধরেন, তখনও কিউবার রাজনীতির একটা বড় অংশ জুড়ে ছিলেন সেলিয়া। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত দেশের সেবা করে গিয়েছেন তিনি। অনেকে তো এমনও বলেন, বিভিন্ন সময়ে কাস্ত্রোর নেওয়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের পিছনেও ছিল সেলিয়ার মস্তিষ্ক।
তবে তাঁর সঙ্গে সেলিয়ার সম্পর্ক নিয়ে কোনও দিনও মুখ খোলেননি ফিদেল কাস্ত্রো। তিনি বিয়ে করেছিলেন অন্য এক মহিলাকে। পাঁচ সন্তানও রয়েছে তাঁর। কিন্তু সেলিয়া বিয়ে করেননি। কাস্ত্রোর সঙ্গে তাঁর ‘ঘনিষ্ঠতা’ নিয়ে তিনিও সব সময় নীরব ছিলেন। গেরিলা যুদ্ধের সময় তাঁর আর কাস্ত্রোর বেশ কিছু ছবি নিয়েও সংবাদমাধ্যমে প্রচুর হইচই হয়েছে। কিন্তু ওই পর্যন্তই। সেলিয়া ও কাস্ত্রো বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলা পছন্দ করতেন না।
গেরিলা যুদ্ধের সময় কাস্ত্রো-সেলিয়াকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন হুবের মাটোস। বিরানব্বইয়ের মাটোস বলেছেন, “কাস্ত্রো-সেলিয়া দেখাতেন তাঁদের মধ্যে কিছু নেই। কিন্তু আমার সব সময়ই মনে হত ওঁরা শুধু রাজনৈতিক সহযোদ্ধা নন। তাঁর থেকেও বেশি কিছু। আর সেটা প্রমাণের জন্য তাঁদের একসঙ্গে বিছানায় দেখাটা জরুরি নয়।” তবে ম্যাটোসের কথা উড়িয়ে দেওয়ার মতো লোকও রয়েছেন।
সুতরাং বিতর্কটা চলবেই। তবে তাঁর সঙ্গে ফিদেল কাস্ত্রোর সম্পর্ক নিয়ে যতই দুনিয়া তোলপাড় হোক, কিউবার রাজনীতিতে সেলিয়া সাঞ্চেজের ভূমিকা নিয়ে কিন্তু কোনও বিতর্ক নেই।

কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত ভারতীয় দম্পতি
আমেরিকায় হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় এক ভারতীয় দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। লাস ভেগাসে একটি পাহাড়ের কাছে এই দুর্ঘটনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। লাস ভেগাস স্ট্রিপ ও হুভার বাঁধের কাছে হেলিকপ্টারে ঘোরা পর্যটকদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। বুধবার বিকেলে একটি হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে। ওই ঘটনায় পাইলট সহ পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। মৃত ভারতীয় দম্পতির পরিচয় এখনও প্রকাশ করেনি লাস ভেগাসের করোনারের দফতর। তবে ওই দম্পতির দেহ ভারতে ফেরানোর জন্য নয়াদিল্লিতে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন করোনার।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.