বিজেপি তথা বিরোধী শিবিরের আক্রমণের মুখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের পক্ষে ফের সওয়াল করতে হল সরকারকে।
কেন্দ্রীয় টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী কপিল সিব্বল আজ বলেন, “টু-জি প্রশ্নে ২০০৩ সালে এনডিএ সরকারের নীতি মেনেই এগিয়েছিলেন চিদম্বরম। নীতির প্রশ্নে কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়নি। তাই দল তথা সরকার এই বিষয়ে চিদম্বরমের পাশেই রয়েছে।”
টু-জি মামলায় চিদম্বরমের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেশের জন্য জনতা পার্টির সভাপতি সুব্রহ্মণ্যম স্বামীকে বিশেষ অনুমতি দিয়েছে বিশেষ সিবিআই আদালত। আগামী ১৭ ডিসেম্বর তিনি সাক্ষ্য দেবেন। সিবিআই আদালতের এই রায়ের পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আক্রমণ আরও চড়িয়েছে বিজেপি। আসলে খুচরো বিতর্কের পর চিদম্বরম-এস এম কৃষ্ণের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে টানা আক্রমণ চালাতে চাইছে বিরোধী শিবির। কংগ্রেস বুঝতে পারছে, সোমবার সংসদ শুরু হলে চিদম্বরম প্রশ্নে বিরোধীদের আক্রমণ আরও তীব্র হবে। তাই  আজ মুখ খোলেন কপিল। তার পরেই বিজেপির পাল্টা প্রশ্ন, যদি চিদম্বরম সত্যিই নির্দোষ হন, তা হলে কেন বারবার কংগ্রেস নেতৃত্বকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হয়ে প্রকাশ্যে সওয়াল করতে হচ্ছে? আর কংগ্রেস শিবির বার্তা দিতে চাইছে যে, সরকার সংসদ চালাতে চাইলেও বিরোধীরা তা চালাতে দিতে ইচ্ছুক নন। কপিল আজ সেই অভিযোগই করেন। বিজেপির একাংশ অবশ্য সংসদ অচলের দায় ঘাড়ে নিতে রাজি নয়। দলীয় সূত্রের
খবর, দুর্নীতির প্রতিবাদ জানাতে প্রয়োজনে প্রতীকী ভাবে সংসদ অচল করার কথাও ভাবা হচ্ছে।
সিব্বল এ দিন বলেন, “২০০৩ সালে যে লাইসেন্সের জন্য ১৬৫০ কোটি টাকা ‘এন্ট্রি ফি’ ছিল, তা কেন ২০০৭ সালেও থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন চিদম্বরম। কিন্তু প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী এ রাজা চিঠি লিখে চিদম্বরমকে জানান, টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (ট্রাই) ওই দাম একই রাখার বিষয়ে সুপারিশ করেছে।” এ ক্ষেত্রে রাজার যুক্তি ছিল, ২০০৩ সালে যারা লাইসেন্স পেয়েছে আর ২০০৭ সালে যারা পাবে তাদের মধ্যে সমতা রাখার জন্য দাম একই রাখা হয়েছে। ওই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকেও চিঠি লিখে জানান রাজা। কপিলের যুক্তি, “চিদম্বরম নিজের দায়িত্ব যথাযথ পালন করেছিলেন। স্পেকট্রাম বণ্টন নীতি ঠিকই ছিল। তা রূপায়ণে গাফিলতি হয়েছে।” কিন্তু সিব্বলের যুক্তি খারিজ করে দিয়ে বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, “প্রথমে প্রণব মুখোপাধ্যায় আর এখন কপিল সিব্বল কেন সকলেই চিদম্বরমকে বাঁচাতে এগিয়ে আসছেন? আমাদের দাবি, টু জি কেলেঙ্কারিতে চিদম্বরমের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হোক। ” |