ভর্তির জন্য ‘ফি’ নেওয়ায় স্কুলে ঘেরাও প্রধান শিক্ষক
রকারি নির্দেশিকায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির সময়ে কোনও ‘ফি’ নেওয়ার উল্লেখ নেই। তা সত্ত্বেও দুর্গাপুর প্রজেক্টস টাউনশিপ বয়েজ হাইস্কুলে ভর্তির সময়ে ফি নেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, নেওয়া হচ্ছে কয়েকশো টাকার অতিরিক্ত অনুদানও। এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার ওই স্কুলে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল। প্রধান শিক্ষক রমাপ্রসাদ কোনার অবশ্য জানান, স্কুল পরিচালন সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই অর্থ নেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভের পরে তিনি সব অর্থ ফেরত দেওয়ার নোটিস টাঙিয়ে দেন।
নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল নেতা সুনীল চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “দীর্ঘ দিন ধরেই ওই স্কুল বেআইনি ভাবে ভর্তির সময়ে পড়ুয়াদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে। আগে যখন সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী ভর্তি ফি নেওয়া যেত, তখন ভর্তির ফি ছাড়াও অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হত পড়ুয়াদের কাছ থেকে। তখনও বিষয়টির প্রতিবাদ করা হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক রমাপ্রসাদবাবু তাতে কোনও কর্ণপাত করেননি।” ২০১০ সাল থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি ফি না নেওয়ার নির্দেশকা জারি করে সরকার। সুনীলবাবু অভিযোগ করেন, তার পরেও এ বার ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়াদের কাছ থেকে ভর্তির ফি বাবদ ৮৫ টাকা এবং অতিরিক্ত ৬৭০ টাকা অনুদান নেওয়া হয়েছে। প্রতিবাদে এ দিন প্রায় জনা পঞ্চাশ তৃণমূল কর্মী-সমর্থক স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। অবিলম্বে ভর্তির সময় নেওয়া অর্থ ফেরত দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা। তৃণমূল নেতা সুনীলবাবু বলেন, “ষষ্ঠ শ্রেণিতে এ বার ১১০ জন পড়ুয়া ভর্তি হয়েছে। প্রধান শিক্ষক তাদের কাছ থেকে ওই অর্থ নিয়েছেন। এ দিন তারই প্রতিবাদ জানিয়েছি আমরা।”
প্রধান শিক্ষক রমাপ্রসাদবাবুর দাবি, “শুধু সরকারি অনুদান দিয়ে স্কুলের কাজকর্ম চালানো সম্ভব নয়। তাছাড়া স্কুলে সাত জন আংশিক সময়ের শিক্ষক রয়েছেন। এক জন কেরানির কাজ করে দেন। তাঁদের বেতন দিতে কাজে লাগে পড়ুয়াদের কাছ থেকে নেওয়া ওই অর্থ।” রমাপ্রসাদবাবুর কথায়, “অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে স্কুল পরিচালন সমিতির বৈঠকে ওই অনুদান নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। অথচ বিক্ষোভকারীরা বলছেন, আমি ওই টাকা আত্মসাৎ করছি। প্রতিবাদে আমি ভর্তির সময় নেওয়া সমস্ত অর্থ ফেরত দেওয়ার নোটিস দিয়েছি।” আজ, শুক্রবার স্কুল পরিচালন সমিতির বৈঠকে এই প্রসঙ্গ তুলে পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক আবদুল হাই বা সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক বংশীধর ধীবরের সঙ্গে বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.