নবম থেকে বৃত্তিশিক্ষা আগামী শিক্ষাবর্ষেই
দীর্ঘদিন ধরেই বৃত্তিমূলক পড়াশোনার ব্যবস্থা রয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকে। রাজ্যের নতুন সরকার এ বার মাধ্যমিক স্তর (নবম-দশম শ্রেণি) থেকে বৃত্তিমূলক পড়াশোনা চালু করতে চলেছে। আগামী বছর থেকেই নতুন ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে।
উদ্যোগটি মূলত কেন্দ্রের। আপাতত ‘পাইলট প্রজেক্ট’ হিসেবে এই ব্যবস্থা শুরু হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ ও হরিয়ানায়। সাধারণ বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গেই বৃত্তিমূলক বিষয়ের ছাত্রছাত্রীদের পৃথক ভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং পশ্চিমবঙ্গ বৃত্তিমূলক শিক্ষা সংসদ যৌথ ভাবে এই পাঠ্যক্রম পরিচালনা করবে। রাজ্যের কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় সোমবার বলেন, “২০১২ থেকেই অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীরা নবম-দশমে বৃত্তিমূলক পাঠ্যক্রম নিয়ে পড়াশোনা করতে পারবে।”
আগামী বছর থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় থাকবে মোট ৭০০ নম্বর। বৃত্তিমূলক শাখার মাধ্যমিকে ইংরেজি, বাংলা, অঙ্ক, ইতিহাস ইত্যাদি বিষয়ে পরীক্ষায় মোট ৫০০ নম্বর থাকবে। আর লিখিত ও প্র্যাক্টিক্যাল মিলিয়ে বৃত্তিমূলক বিষয়ে পরীক্ষা হবে ২০০ নম্বরের। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রের খবর, মাধ্যমিকের প্রাণিবিজ্ঞান ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের পাঠ্যক্রম মিলিয়ে বিজ্ঞানের একটি এবং ইতিহাস-ভূগোল মিলিয়ে সমাজবিজ্ঞানের একটি পত্র তৈরি করা হয়েছে। বৃত্তিমূলক বিষয়ের মধ্যে থাকছে তথ্যপ্রযুক্তি, অটোমোবাইল, খুচরো ব্যবসা ও নিরাপত্তা। এর মধ্যে একটি পছন্দসই বিষয় নিয়ে পড়তে পারবে ছাত্রছাত্রীরা। পড়ুয়াদের স্বনির্ভর মানসিকতা তৈরির উদ্দেশ্যেই কেন্দ্র-রাজ্যের এই যৌথ উদ্যোগ বলে সরকারি কর্তারা জানিয়েছেন।
পাঠ্যক্রমের খসড়া তৈরি হলেও এক মাসের মধ্যে কী ভাবে নতুন বই ছেপে, বিতরণ করে পাঠ শুরু হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। পর্ষদের সভাপতি চৈতালি দত্ত বলেন, “নভেম্বরে সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে পরের বছর জানুয়ারিতে পাঠ্যক্রম শুরু করা খুবই কঠিন। তবে পর্ষদের উপসচিব (শিক্ষা)-সহ অন্যান্য আধিকারিক এবং কর্মচারীদের উদ্যোগে খসড়া পাঠ্যক্রম তৈরি করা গিয়েছে।”

এ রাজ্যের যুব নেতাদের গুরুত্ব
রাহুল গাঁধীর ডাকা যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় কনভেনশনে আজ দৃশ্যতই গুরুত্ব পেলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিরা। রাজ্যে যুব কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচন হয়েছে এ বছর। বিধানসভা সভা স্তর থেকে রাজ্য স্তরের নির্বাচিত নেতা-নেত্রীদের ডাকা হয়েছিল এই অধিবেশনে। এসেছিলেন অন্যান্য রাজ্যের যুব প্রতিনিধিরাও। তবে অধিবেশন শুরু করার আগে রাহুলকে অভিবাদন দেওয়ার জন্য ডাকা হয় মেদিনীপুরের গরিব পরিবারের মেয়ে সাবিনা খাতুনকে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নতুন প্রজন্মের যে পাঁচ জনকে বক্তৃতা দিতে ডাকা হয়, তার মধ্যে তিন জন্যই পশ্চিমবঙ্গের। এঁরা হলেন রাজ্য যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নুর, বিধায়ক তথা রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ও বিধায়ক সৌমিত্র খান। কদিন দিন আগেই আসানসোলের যুব কংগ্রেস নেত্রী ইন্দ্রাণী মিশ্রকে সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেসের সচিব পদে নিয়োগ করেছেন রাহুল। যুব কংগ্রেস সূত্রে বলা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসকে মজবুত করতে চান রাহুল। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট থাকলেও প্রতিটি রাজনৈতিক দলই চায় নিজেদের শক্তি বাড়ুক। পশ্চিমবঙ্গ সফরে গিয়ে সেই বার্তা আগেই দিয়েছেন রাহুল।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.