বেশ কয়েক বছর আগে কান্দি শহরে তৈরি করা হয়েছিল অত্যাধুনিক বাস টার্মিনাস। নাম নেতাজি সুভাষ বাস টার্মিনাস। বর্তমানে ওই বাস টার্মিনাসটির অবস্থা শোচনীয়। সেখানে যাত্রীদের বসার কোনও জায়গাই নেই। নেই পানীয় জলের ব্যবস্থাও। শৌচালয় থাকলেও তা এতটাই নোংরা যে ভিতরে ঢুকলে বমি পায়। অথচ ওই শৌচালয় ব্যবহার করতেও টাকা দিতে হয়। ওই বাস টার্মিনাসে অন্তত ১৫০টি বাস ঢোকে। প্রতিটি বাসের কাছ থেকেই ১০ টাকা করে কর আদায় করা হয়। অথচ যাত্রী পরিষেবার কোনও উন্নতি নেই কেন? সন্ধ্যা নামলেই সেখানে মদ্যপান-সহ বিভিন্ন ধরণের অসামাজিক কাজ-কর্ম শুরু হয়ে যায়। বেশ কিছু গাড়ি দেরি করে কান্দিতে ঢোকে। ফলে তখন ওই বাসগুলি টার্মিনাসের ভিতরে না ঢুকে দ্রুত গতিতে টার্মিনাস এলাকা পার করে দূরে গিয়ে দাঁড়ায়। ফলে নিত্যযাত্রীরা তখন প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বাস ধরতে ওই বাসের পিছনে ছুটতে থাকেন। দুর্ঘটনায় কয়েক জনের মৃত্যুও হয়েছে। তবুও অব্যবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। ফলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমার অনুরোধ, ওই বিষয়গুলির প্রতি নজর দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
অময় চক্রবর্তী, কান্দি, জীবধরপাড়া
|
১৯৯৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০০৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ রাজ্যে যে সব কলেজ শিক্ষক (সরকারি কলেজ বাদে) অবসর নিয়েছেন তাঁদের জন্য বর্ধিত হারে পেনশান দেওয়ার জন্য ২০০৮ সালের ১ এপ্রিল সরকারি নির্দেশ জারি করা হয়। বিকাশভবন থেকে সেই নির্দেশের কপি বিভিন্ন ট্রেজারি, সাব-ট্রেজারিও সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষদের কাছে পাঠানো হয়। তাতে বিভিন্ন ট্রেজারি ও সাব-ট্রেজারির আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়ে সংশোধিত হারে পেনশান দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু ট্রেজারি ও সাব-ট্রেজারি আধিকারিকদের মধ্যে অনেকে ওই নির্দেশ মানছেন না। মুর্শিদাবাদ জেলার লালবাগ মহকুমা ট্রেজারি অফিস থেকে যাঁরা পেনশানের টাকা তোলেন তাঁরা ওই সংশোধাতি হারেই টাকা পাচ্ছেন। অথচ জঙ্গিপুর সাব-ট্রেজারি অফিসে ওই নির্দেশ কার্যকর না করায় সেখানের অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষকরা সংশোধিত অর্থাৎ বর্ধিত পেনশানের টাকা পাচ্ছেন না।
কাশীনাথ ভকত, জঙ্গিপুর
|
লোকাল ট্রেনে কৃষ্ণনগর থেকে শিয়ালদহ যেতে অন্তত আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে। অথচ ওই সব ট্রেনে শৌচালয় না থাকায় যাত্রীদের খুব অসুবিধায় পড়তে হয়। বিশেষত রোগী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, মহিলা ও শিশুদের। ফলে লোকাল ট্রেন গুলির পরিকাঠামোগত পরিবর্তন জরুরি। লোকাল ট্রেনেও শৌচালয় প্রয়োজন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে যাত্রী সংখ্যারও দ্রুতি বৃদ্ধি হচ্ছে। তার উপরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বেহাল দশার কারণেও ট্রেনে যাত্রী সংখ্যার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হয়েছে। অবিলম্বে ওই শাখায় মেমু ট্রেন চালানোর দাবি জানাচ্ছি।
তন্ময় ঘোষ, কৃষ্ণনগর
|
পিচের শত্রু জল। অর্থাৎ জল পড়লে পিচ জমাট বাঁধে না। তার ফলে বর্ষার সময় পিচ দিয়ে রাস্তা সংস্কার করলে তা টেকসই হয় না। বর্ষা পার হয়েছে। শীত পড়তে শুরু করেছে। অথচ এক বছর ধরে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়া ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের মেরামতির কাজ এখনও শুরু হয়নি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে সংস্কার করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশও কার্যকর হয়নি। আমার প্রশ্ন, আর কত দিন প্রাণ হাতে করে দৈনিক লক্ষ লক্ষ যাত্রীকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হবে?
সমরকুমার মৌলিক, ধুবুলিয়া |