বৃহস্পতিবার রাতে হাওড়ার আমতার খোড়োপ গ্রাম থেকে একটি বড় কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়। ছাই রঙের কচ্ছপটির ওজন আট কেজির বেশি। গ্রামের বাসিন্দা শেখ লাল্টুকে রাত বারোটা নাগাদ নিজের জরির নক্সা তৈরির কারখানায় কাজ করছিলেন। সে সময়ে কয়েক জন যুবক তাঁকে জানায়, রাস্তায় একটি বড়সড় আকারের কচ্ছপকে ঘুরতে দেখেছে। ওই যুবকেরা কচ্ছপটিকে উদ্ধারের জন্য শেখ লাল্টুর সাহায্য চান। কারখানার লোকেদের নিয়ে গিয়ে কচ্ছপটিকে উদ্ধার করেন। শুক্রবার সকালে স্থানীয় স্কুল শিক্ষক দেবাশিস দীর্ঘাঙ্গিকে কচ্ছপটির বিষয়ে জানান। এরপরে দেবাশিসবাবু আমতা ২ ব্লকের বিডিও এবং বন দফতরে খবর দেন। উলুবেড়িয়া থেকে বন দফতরের কর্মীরা গিয়ে কচ্ছপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। স্থানীয় কোনও জলা থেকে কচ্ছপটি ওই এলাকায় এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
|
ডিপিএলের সি-জোন সাব স্টেশনের উচ্চ পরিবাহী বিদ্যুতের তারে ঝলসে যায় একটি হনুমান। শুক্রবার সকালে প্রায় ৪৫ মিনিট বিদ্যুৎ চলে যায় বিস্তীর্ণ এলাকায়। সাবস্টেশনের কর্মীরা জখম হনুমানটিকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যান। তার দেখভাল শুরু করেন, খাওয়ানোরও চেষ্টা করা হয়। পরের দিকে কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠে হনুমানটি। খবর দেওয়া হয় বন দফতরকে। তবে সন্ধ্যার পরেও বন দফতরের তরফে কারওর দেখা মেলেনি বলে অভিযোগ ওই সাবস্টেশনের কর্মীদের। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বন দফতরের দুর্গাপুর বিভাগের আধিকারিক কুমার বিমল।
|
জন্মের দু’দিনের মধ্যেই নন্দনকাননে একটি সাদা বাঘ-সহ পাঁচটি ব্যাঘ্রশাবকের মৃত্যু হল। শুক্রবার চিড়িয়াখানার সহ-অধিকর্তা এস এন মহাপাত্র বলেন, “রয়্যাল বেঙ্গল দম্পতি বুধবার পাঁচটি বাচ্চার জন্ম দেয়। মনে হচ্ছে মায়ের কাছ থেকে ঠিক মতো দুধ না পাওয়ার জন্যই তাদের মৃত্যু হয়েছে।” তিনি আরও জানান, প্রায় ১১ বছর পর রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার সাদা বাঘের জন্ম দিয়েছিল। যদিও এই শাবকদের ‘ঠাকুরদা’ ও ‘দিদিমা’ ছিল সাদা বাঘ। মহাপাত্র বলেন, “বন্দি অবস্থায় প্রজননের জন্য এই দু’জনকে বাছা হয়েছিল।” এই মুহূর্তে নন্দনকাননে বাঘের সংখ্যা ২৪। তাদের মধ্যে ১০টি সাদা বাঘ। ১৯৮০ সালে চিড়িয়াখানায় প্রথম দু’টি সাদা বাঘের জন্ম দিয়েছিল ‘দীপক’ ও ‘গঙ্গা’ নামে এক ব্যাঘ্রদম্পতি। এর পর সাদা বাঘের জন্ম হয় যথাক্রমে ১৯৯৭, ১৯৯৮ এবং ২০০০ সালে। ২০০০ সালে ১২টি বাঘের মৃত্যুর পর বন্দি অবস্থায় বাঘের প্রজনন বন্ধ করে দিয়েছিল চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এ বার আবার শুরু করা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তাও সফল হল না।
|
গন্ডার মারার আগেই বনরক্ষীদের হাতে ধরা পড়ে গেল চার চোরাশিকারি। ঘটনাটি ঘটেছে কাজিরাঙার কোহরা রেঞ্জে। রেঞ্জার আতিকুর রহমান বলেন, “গত কাল রাতে ২ নম্বর কোহরার মোহমারা জঙ্গলের মধ্যে মানুষের গতিবিধির খবর আসে। আমরা এলাকায় পৌঁছই। কোহরা থানার পুলিশও আমাদের সঙ্গে অভিযানে যোগ দেয়। জঙ্গলের গভীরে আগুন জ্বলতে দেখে শিকারিদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে এলাকাটি ঘিরে ফেলা হয়।” ফরেস্টার রূপক ভুঁইয়া জানান, ফাঁদে পড়েছে বুঝতে পেরেই চোরাশিকারিরা গুলি চালায়। তাদের জঙ্গল থেকে পালাবার পথও বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে পুরো দলটি আত্মসমর্পণ করে। ধরা পড়া শিকারি দলের মধ্যে মূল নিশানাবাজ, জন সাংমা ডিমাপুর থেকে এসেছিল। বাকি দু’জন—অ্যান্ডারসন গনক ও শ্যামল গণক স্থানীয় গ্রামবাসী। অপর ধৃত ব্যক্তি, জাখোনা সাউরার বাড়ি বোকাখাতে।
|
প্রাণিসম্পদ বিকাশ সপ্তাহ উপলক্ষে দেশপ্রাণ ব্লকের চণ্ডীভেটিতে শুক্রবার তিন দিন ব্যাপী মেলার উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী শিশির অধিকারী। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন, দেশপ্রাণ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তরুণ জানা, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মাধ্যক্ষ বুদ্ধদেব ভৌমিক প্রমুখ। |