|
|
|
|
|
|
|
বিপুল নিকট |
সমরেশ মজুমদার |
ধর্মতলা থেকে বাস ধরে রামনগরে নেমে অটোয় উঠতে হবে। কিন্তু ফিরে আসতে হল অজয়কে। বাসে উঠেই পকেটে হাত চেপে বুঝল মোবাইলটা নেই। পকেটমার হল? চোখ বন্ধ করে ভাবল সে। তার পর মনে হল, তাড়াহুড়োর সময় বেরোবার আগে ওটার কথা সে ভুলে যায়নি তো? এক বার মনে হল, ঘরে পড়ে থাকলে থাক। ক’দিন পরে এসে দেখবে ব্যাটারি ডাউন হয়ে গেছে, এই তো! তাকে জরুরি ফোন করার মানুষ তো বেশি নেই। এ রকম ভাবলেও মন থেকে খচখচানিটা গেল না। সে নেমে পড়ল বাস থেকে।
দরজার তালা খুলে ভেতরে ঢুকেই সে মোবাইল ফোনটাকে দেখতে পেল। খাটের এক পাশে পড়ে আছে। তুলে দেখল চার বার মিসড কল হয়ে গেছে। চার বারেই একই নম্বর থেকে কল এসেছিল। সে নম্বরটা টিপল। একটু পরেই যে ফোন ধরল, সে জানাল ওটা এসটিডি বুথের নম্বর। ওকে কে ফোন করেছিল তা ছেলেটি জানে না।
ঘড়ি দেখল অজয়। থানা এবং বাস থেকে ফিরে আসতে যে সময় নিয়েছে, তাতে এখন রওনা হলে গ্রামে পৌঁছতে বিকেল হয়ে যাবে। দুপুরের খাওয়া কোথায় জুটবে তার ঠিক নেই। তার চেয়ে ভাতে ভাত ফুটিয়ে খেয়ে বারোটা নাগাদ রওনা হলে সে সন্ধের পরেই পৌঁছে যাবে। কোনও হ্যাপা থাকবে না। জামাপ্যান্ট ছেড়ে পাজামা পরে রান্নার জন্যে কাজে হাত লাগাল অজয়, ঠিক তখনই দরজায় শব্দ হল।
পিছন দিকে না তাকিয়ে অজয় চিৎকার করল, ‘কে?’
ভেজানো দরজা খোলার শব্দ হল। তার পর চুপচাপ। |
|
অজয় পিছন ফিরে তাকিয়ে অবাক হল। অঞ্জনা দাঁড়িয়ে আছে। খুব বিধ্বস্ত দেখাচ্ছে ওকে। চোখাচোখি হতেই মুখ নামিয়ে নিল। উঠে দাঁড়াল অজয়, ‘কী ব্যাপার?’
ঠোঁট কামড়াল অঞ্জনা। তার পর মুখ তুলে জিজ্ঞাসা করল, ‘আপনি আমাকে ফোন করেছিলেন কেন?’
প্রশ্নটা আশা করেনি অজয়। সেই সঙ্গে তার মনে হল মেয়েটাকে পুলিশ খুঁজছে। তার এই ঘরে যদি খুঁজে পায়, তা হলে দেখতে হবে না। হাজারটা ঝামেলায় তাকে জড়িয়ে পড়তে হবে। সে গম্ভীর গলায় বলল, ‘ফোন করেছিলাম কারণ আমি চাই না তুমি এখানে আর আসো। তোমাকে পাইনি বলে জানাতে পারিনি।’ ‘ও। কথাটা তো মাকে জানিয়ে দিতে পারতেন!’ ‘আমি ওঁকে বিব্রত করতে চাইনি।’
অঞ্জনা পাশ ফিরল। অজয় বুঝতে পারল চলে যাওয়ার ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ওর মধ্যে কোনও দুশ্চিন্তা কাজ করছে। ‘তোমাকে দেখে যদি বুঝতে পারতাম তুমি ওই ভাবে উপার্জন করো, তা হলে কখনওই এখানে নিয়ে আসতাম না।’ অজয় বলল।
অদ্ভুত চোখে তাকাল অঞ্জনা। ‘একটা কথা, তুমি প্ল্যান করে আমার গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েছিলে। জানতে আমি ব্রেক কষবই, তোমাকে অজ্ঞান ভেবে গাড়িতে তুলে নেব। সবই যখন ঠিক ছিল, তখন আমাকে ব্ল্যাকমেল করোনি কেন? টাকা না চেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকার ভান করেছিলে কেন? তার পর যখন এই ঘরে এলে তখনও তো দারুণ সুযোগ পেয়েছিলে। টাকা চেয়ে না পেয়ে চিৎকার করলে পাড়ার লোকেরা আমার বারোটা বাজিয়ে দেবে জেনেও কিছু করোনি। এ রকম তো তোমার করার কথা নয়।’ অজয় বেশ কেটে কেটে কথাগুলো বলল। ‘আমি যাচ্ছি।’ অঞ্জনা নিচু গলায় বলল। ‘আমি তোমাকে আসতে বলিনি। কিন্তু এসেছ যখন তখন জবাব দিয়ে যাও।’ ‘আমার কিছু বলার নেই।’ মাথা নাড়ল অঞ্জনা। ‘থানার বড়বাবু আমাকে ধমকালেন, তুমি এক জন কলগার্ল, তোমাকে কেন আমি গাড়িতে তুলেছি। সত্যি বলছি, তুমি তাই বুঝলে কখনও গাড়িতে তুলতাম না।’ ‘এখন তা হলে বুঝতে পেরেছেন!’ সোজাসুজি তাকাল অঞ্জনা। ‘তুমি বলেছ যে হটরের কাছে থাকো। চাকরি খুঁজতে সল্ট লেকে এসেছিলে। কী চাকরি? না যে সব লম্পট পুরুষ মোটা টাকার বিনিময়ে কয়েক ঘণ্টার জন্যে সঙ্গিনী খোঁজে, তাদের আনন্দ দেওয়ার চাকরি। তাই না?’ ‘ওখানে যে ওই ধরনের কাজ করাবে, তা আমি জানতাম না।’ ‘কাকে বোঝাচ্ছ? সবাই জানে আর তুমি জানো না?’ ‘একটা কথা জিজ্ঞাসা করব?’ হঠাৎ গলায় অন্য সুর বাজল অঞ্জনার।
অজয় কথা না বলে তাকিয়ে থাকল। ‘সিগারেট খেলে ক্যানসার হয়, সিগারেট মৃত্যুকে ডেকে আনে। সরকার এই কথাগুলো হাজার বার প্রচার করছে। কিন্তু সিগারেটের দোকানগুলো বন্ধ করছে না কেন? সিগারেট তৈরি করে যে সব কারখানা, তা উঠিয়ে দিচ্ছে না কেন? জেনেশুনে সাধারণ মানুষকে মরতে সাহায্য করছে না? বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল পাবলিক রিলেশনের চাকরি। কী বুঝব তাতে? কিন্তু খবরের কাগজে ওরা যখন বান্ধবী চাই বলে প্রকাশ্যে ঘোষণা করে টাকা খরচ করে, তখন পুলিশ চোখ বন্ধ করে থাকে কেন? সবাই তো জেনেশুনে অন্ধ হয়। আর আমি বোকার মতো ফাঁদে পা দিয়েছিলাম।’ ‘কিন্তু পুলিশ যে বলল...!’ ‘কী বলল? আমি কলগার্ল? ঠিক আছে, আমি থানায় যাচ্ছি।’ অঞ্জনা দরজার দিকে পা বাড়াতেই অজয় নার্ভাস হয়ে গেল। আগামী সাত দিন যদি পুলিশ অঞ্জনাকে না পায়, তা হলে ওর বিরুদ্ধে কোনও কেস রাখবে না। যদি পায় তা হলে অজয়কে টানাটানি করবে সাক্ষী দেওয়ার জন্যে। সে বেশ কাঁপা গলায় ডাকল, ‘শোনো।’
অঞ্জনা দরজায় হাত রেখে দাঁড়াল। ‘তোমার বাড়িতে পুলিশ গিয়েছিল?’
‘হ্যা। আমি তখন ছিলাম না।’ ‘খবর পেয়ে তোমাদের থানায় যাওনি কেন?’ ‘প্রথমে খুব ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। পরে ঠিক করলাম আমার কাছে কী করে গেল, তা হয়তো আপনি জানতে পারেন। তাই এসেছিলাম।’ ‘তুমি ওই খাটে বসো।’ ‘মানে?’ অবাক হল অঞ্জনা। ‘এখনই থানায় যাওয়ার দরকার নেই।’ ‘কেন? ওরা আমাকে কলগার্ল বলবে আর আমি মেনে নেব?’ ‘তুমি প্রমাণ করতে পারবে?’ ‘নিশ্চয়ই। তবে তার আগে ওদের প্রমাণ দিতে হবে।’ ‘তুমি বুঝতে পারছ না। পুলিশ ছুঁলে ছত্রিশ ঘা। ওরা দিনকে রাত করে দিতে পারে এক নিমেষে। বসো।’ ‘এক জন কলগার্লকে জেনেশুনে নিজের বিছানায় বসতে বলছেন?’ ‘কী করব! আমার ঘরে কোনও চেয়ার নেই।’ ‘কী বলতে চাইছেন তা বলুন।’ ‘পুলিশের সঙ্গে ঝামেলা করে কোনও লাভ হবে না। তার চেয়ে দিন সাতেক ওদের এড়িয়ে থাকো, কেস ড্রপ হয়ে যাবে।’ অজয় বলল। ‘তার মানে? আমার ওপর অন্যায় করা হয়েছে অথচ আমাকেই ওরা দোষী করেছে? উঃ, এটা আমি মেনে নেব?’ ‘না মেনে করবেন কী? সব সময় মাথা গরম করে কোনও লাভ হয় না। সাত দিন পরে সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’ অজয় বলল।
মাথা নাড়ল অঞ্জনা। বোঝা যাচ্ছিল প্রস্তাব মেনে নিতে তার অসুবিধে হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত বলল, ‘আমি যাচ্ছি।’ ‘কোথায় যাচ্ছ?’ ‘কোথায় যাব! আমার তো একটাই জায়গা, মায়ের কাছে।’ ‘সর্বনাশ! সেখান থেকে থানায় নিয়ে যেতে পুলিশের সুবিধে হবে। আর কোনও আত্মীয় নেই?’ ‘না। আমার মা ছাড়া কেউ নেই।’ ‘যাচ্চলে।’ চিন্তায় পড়ল অজয়। ‘আপনি এত ভাবছেন কেন?’ অঞ্জনা প্রশ্নটা করা মাত্র দরজায় শব্দের সঙ্গে হাঁক শোনা গেল, ‘অজয় ড্রাইভার আছেন?’
দ্রুত অঞ্জনাকে বাথরুমে টেনে নিয়ে গিয়ে অজয় বলল, ‘এখানে কয়েক মিনিট চুপচাপ দাঁড়াও, প্লিজ।’
বাইরের দরজা খুলতেই সে সকালবেলার পুলিশটাকে দেখতে পেল। লোকটা হাসল, ‘আসুন, বড়বাবু গাড়িতে বসে আছেন।’
বাধ্য হয়ে লোকটাকে অনুসরণ করে গলির মোড়ে এসে বড়বাবুকে দেখতে পেল অজয়। গাড়িতে বসে তিনি বললেন, ‘এখনও গ্রামে যাওনি?’ ‘যাচ্ছিলাম...।’ ‘সমস্যা হয়ে গেল। ওই লোক দুটো বেল পেয়ে গেছে। পিছনে পলিটিক্যাল হাত ছিল। মনে হচ্ছে কিছু প্রমাণ করা যাবে না। কিন্তু ওই মেয়েটাকে যদি পাওয়া যায়, তা হলে ওরা ফেঁসে যাবে। আমরা মেয়েটাকে চাইছি ওরা জানে। ওরা চাইবে না সেটা। খুনটুনও করে ফেলতে পারে। মুশকিল হল, মেয়েটা বাড়ি থেকে হাওয়া হয়ে গিয়েছে। আমাদের কাছে এলে প্রাণে বেঁচে যেত। তোমার সঙ্গে যোগাযোগ হলে বোলো এ কথাটা। তিন দিন পরে কোর্টকে জানাতে হবে। নইলে কেস ড্রপ হয়ে যাবে। আচ্ছা...।’ বড়বাবু পুলিশটাকে নিয়ে চলে গেলেন।
আর এক সমস্যা তৈরি হল। এখন শুধু পুলিশ নয়, ওই মাতাল দুটো লোকও অঞ্জনাকে খুঁজবে। কেস ড্রপ না হওয়া পর্যন্ত মেয়েটাকে লুকিয়ে রাখতেই হবে। নইলে লোক দুটো তাকেও ফাঁসাতে পারে। ওর ঠিকানা তো বের করতে ওদের বেশি দেরি হবে না। ঘরে ফিরে ব্যাগটা তুলে অজয় বলল, ‘চলো।’
বাথরুম থেকে বেরিয়ে এল অঞ্জনা, ‘কোথায়?’ ‘ওই মাতাল দুটো লোক তোমাকে খুঁজছে।’ ‘আমাকে?’
‘হ্যা। খুন করবে বলে। ওদের অপরাধের সাক্ষীকে রাখতে চাইবে না। চলো।’
দরজায় তালা দিয়ে দ্রুত হাঁটতে লাগল অজয়। পিছনে অঞ্জনা।
বড় রাস্তায় পৌঁছে সে জিজ্ঞাসা করল, ‘কোথায় যাচ্ছেন?’ ‘মাথা কাজ করছে না। তোমাকে নিয়ে গ্রামে যাওয়া যাবে না। হাজারটা প্রশ্ন শুনতে হবে। কলকাতায় কোনও আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধব নেই, যার বাড়িতে তোমাকে নিয়ে যাব। চলো, ওই বাসে উঠি।’ হাত নেড়ে বাসটাকে থামাল অজয়।
অঞ্জনা মেয়েদের সিটে, অজয় একেবারে পিছনে। ঝাঁকুনি লাগছে বেশ। বাস যখনই একটু থামছে, তখনই কন্ডাক্টর যাত্রীদের তোলার জন্যে জায়গাগুলোর নাম হাঁকছে। অজয় বুঝতে পারল এই বাস কলকাতা ছাড়িয়ে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় যায়। এখনও টিকিট চায়নি কন্ডাক্টর। চাইলে কোথায় নামার কথা বলবে সে? প্রচণ্ড অস্বস্তিতে পড়ল সে। জানলার লোকটা নেমে যেতে সে সরে বসে রাস্তা দেখতে লাগল। সাইকেল রিকশা চলছে। ‘তোমার কি মাথা স্থির নেই?’ প্রশ্নটা পাশ থেকে ভেসে আসতেই অজয় চমকে উঠল। আড়চোখে পাশের আসনে তাকিয়ে সে খুব হতাশ হল। সেখানে কেউ বসে নেই। নতুন যাত্রী ওঠেনি। অথচ কথাগুলো পাশ থেকেই কেউ বলেছে। সে চার পাশে চোখ বুলিয়ে বুঝল কেউ তার দিকে তাকিয়ে নেই। ‘কোথায় যাচ্ছ, নিজেই জানো না?’ আবার শুনতে পেল অজয়।
চোয়াল শক্ত হল। আশেপাশের কেউ যে কথাগুলো শুনতে পাচ্ছে না, তা মুখগুলো দেখে বোঝাই যাচ্ছে। সে ঠোঁট চেপে জিজ্ঞাসা করল, ‘আপনি কে? আপনি কি এই বাসেই আছেন?’ ‘অবশ্যই। আমি তোমার বুকের ভেতরে বসে আছি হে। সে-দিন তোমার প্রশংসা করেছিলাম, পথ থেকে তুলে মেয়েটিকে বাঁচিয়েছিলে বলে। আজ তুমি পুলিশের ভয়ে সেই মেয়েকে নিয়ে পালাচ্ছ? কোথায় পালাবে? তার চেয়ে নিজের জায়গায় ফিরে যাও, শান্তি পাবে।’
খেপে গেল অজয়, ‘ওঃ, আপনি! আপনার জন্যে আমার এই দুরবস্থা। এখন আপনি আমার ভেতরে ঢুকে বসে আছেন?’ কোনও উত্তর নেই। বুকে হাত বোলালো অজয়, কী মুশকিল। হঠাৎ খুকখুক হাসি কানে এল, ‘ব্রাদার, তোমাকে সাবধান করেছিলাম, ওই বামুনটার কথায় কান দিয়ো না। ও যদি আমার পাশ থেকে সরে না যেত, তা হলে আমি আর একটা মেঘনাদবধ কাব্য লিখতে পারতাম। কিন্তু মেয়েটা ভাল।’ ‘আপনি কোথায়?’ অজয় নীরবে প্রশ্ন করল। ‘তোমার ভেতরে। জায়গাটা ভাল, কিন্তু বামুনটাও এখানে ঢুকে পড়েছে।’
‘মরেছে! আমার ভেতরটা কি ধর্মশালা না আত্মাশ্রম?’ নীরবে চেঁচিয়ে প্রশ্ন করল অজয়। কোনও জবাব এল না। সে জিজ্ঞাসা করল, ‘আর কে কে আছেন? ঠাকুর্দা? সেই এক্সট্রাবাবু? আপনারাও কি আছেন?’ কোনও জবাব না আসায় অজয় বুঝতে পারল আপাতত দু’জনই তার বুকের বাসিন্দা। বাস এখন প্রায় খালি। সে উঠে অঞ্জনার কাছে গিয়ে বলল, ‘কোথায় নামা যায় বলো তো?’ অঞ্জনা উঠে দাঁড়াল, ‘চলুন, সামনেই নেমে পড়ি।’
ভাড়া মিটিয়ে ওরা যেখানে নামল সেখানে তেমন দোকানপাট নেই, রাস্তা শুনশান। হঠাৎ অজয় চেঁচিয়ে উঠল, ‘এই যে বুকের বাসিন্দারা, এ বার কী করব, আর একটু জ্ঞান দিন!’
‘ওমা! আপনার বুকের ভেতরে অনেকে আছে বুঝি? তা হলে আমাকে নিয়ে এলেন কেন? পুরুষমানুষরা বোধ হয় এই রকমই হয়।’ বলে অঞ্জনা হনহন করে হাঁটতে লাগল। দূরত্ব কমাবার জন্যে পা চালাল অজয়। দূরত্ব কমছে।
|
(সমাপ্ত)
ছবি: সায়ন চক্রবর্তী |
|
|
|
|
|