উত্তর কলকাতা
পুর-উদ্যোগ
সাজবে সরণি
পাল্টে যেতে চলেছে ক্যানাল ওয়েস্ট রোডের পরিবেশ। কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে সাজানো হবে খালের দু’ধার।
পুরসভা সূত্রের খবর, এই রাস্তার চেনা ছবিটি বদলাতে চলেছে। বি টি রোড থেকে মানিকতলা থানা পর্যন্ত ক্যানাল ওয়েস্ট রোডের খালপাড়ের সৌন্দর্যায়নের কাজ হবে। তুলে দেওয়া হবে ঝুপড়ি। খালের ধারে তৈরি হবে ছোট ছোট পার্ক। পার্কের বাইরে থাকছে বেড়া দেওয়া বাগান। থাকবে বসার ব্যবস্থা। বিচ্ছিন্ন ভাবে থাকবে ফুড কিয়স্ক। এ ছাড়াও গাড়ি পার্ক করার জন্য তৈরি হবে বেশ কিছু বে। গোটা এলাকা আলোয় সাজিয়ে তোলাও হবে।
কলকাতা পুরসভার ১২ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত ক্যানাল ওয়েস্ট রোড। কাছেই রয়েছে উল্টোডাঙা রোড, গৌরীবাড়ি লেন, নীরদবিহারী মল্লিক রোড, খাসমল স্ট্রিট, আর জি কর রোডের মতো ব্যস্ত রাস্তা। এখন খালের দু’পাশের এবড়োখেবড়ো জায়গায় সার দিয়ে বাস, লরি, ম্যাটাডর দাঁড়িয়ে থাকে। খালের গা ঘেঁষে গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য ঝুপড়ি। পূতিগন্ধময় পরিবেশ। নির্জন সময়ে এই পথ পেরনোর সময় রীতিমতো নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন পথচারীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছেও কার্যত ব্রাত্য এই পথ।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই রাস্তাটির দিকে প্রশাসনের নজর নেই। মাঝেমধ্যে চুরি-ছিনতাইও ঘটে। বদ্রিদাস টেম্পল স্ট্রিটের বাসিন্দা সত্যজিৎ মিত্র বললেন, “এই রাস্তা দিয়ে সহজে আর জি কর হাসপাতাল যাওয়া যায়। একেই রাস্তা খারাপ। তা ছাড়া নিরাপত্তারও অভাব। ফলে রোগী নিয়ে ঘুরপথে যেতে হয়।” যদিও কলকাতা পুলিশের ডিসি (ইএসডি) পল্লবকান্তি ঘোষ বলেন, “সংশ্লিষ্ট থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ থাকতে পারে। আমার জানা নেই। খোঁজ নিতে হবে।”
এই প্রকল্পের আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে প্রায় চার কোটি টাকা। ২৫ শতাংশ করে আর্থিক সহায়তা দেবে রাজ্য সরকার, হিডকো, এইচআরবিসি এবং কলকাতা পুরসভা। আর্থিক যোগান অনুযায়ী কয়েকটি ধাপে কাজ হবে। প্রাথমিক পর্যায়ের জন্য দরপত্র ডাকার কাজ শেষ। পুরসভা সূত্রের খবর, এ বছরের মধ্যেই কাজ শুরু হবে। শেষ হতে এক বছর লাগবে।
১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর স্মরজিৎ ভট্টাচার্যের দাবি, “এখন সারদা মায়ের ঘাট থেকে ধাপা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে জল নিয়ে যাওয়ার জন্য রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি হচ্ছে। তাই কাজ শুরু হতে কিছু দেরি হচ্ছে।” কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ, গাড়ি পার্কিং বন্ধ না হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। তবে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং দুই নম্বর বরোর চেয়ারম্যান সাধন সাহা বলেন, “ওই এলাকায় পার্কিং বৈধ। এর থেকে পুরসভার আয় হয়। তাই পার্কিং বন্ধ করা সম্ভব নয়। ঝুপড়ি উচ্ছেদ করলে পরিবেশের অনেকটা উন্নতি হবে। নতুন করে যাতে ঝুপড়ি না হয় তার জন্য ফেন্সিং দিয়ে খালধার ঘিরে দেওয়া হবে।”
পুরসভার মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমারের কথায়: “খালধারের সৌন্দর্যায়ন পুরসভার কাছে এই মুহূর্তে বড় চ্যালেঞ্জ। আর্থিক সমস্যা থাকলেও প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনও সমস্যা হবে না।”




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.