সুনীল ছেত্রী কি গোলে ফিরবেন? ডিফেন্সের নড়বড়ে ভাব কি আদৌ কেটে যাবে? মাঝমাঠ কি দাপট দেখাতে পারবে?
ম্যাচের দু’দিন আগে এই সব প্রশ্নকে স্রেফ ওভার বাউন্ডারি মারল চোট। চোটের তালিকায় নিজের নাম লিখিয়ে ফেললেন সতীশ কুমার। শুক্রবার বিকেলে অনুশীলনের শুরুতেই মচকে যায় বাঁ পায়ের গোড়ালি। দলের সঙ্গে বরফ ছিল না। বরফের জন্য দৌড়োদৌড়ি করতে হল। বলেওয়াড়ি স্টেডিয়াম নয়, মোহনবাগানের জন্য বরাদ্দ ছিল শিবছত্রপতি স্পোর্টস কমপ্লেক্সেরই মাঠ। স্টেডিয়ামের গায়েই। যে মাঠে বল আস্তে করে গড়িয়ে দিলেও এক হাত উঁচু পর্যন্ত লাফিয়ে উঠছে। এতটাই অসমান।
সতীশ এবং আনোয়ারের চোট কতটা এখনই বোঝা যাচ্ছে না। সুব্রত ভট্টাচার্য অবশ্য আনোয়ারকে রবিবার পাওয়া যাবে না ধরেই এগোচ্ছেন। প্র্যাক্টিসে তাঁর জায়গায় খেলালেন রাকেশ মাসিকে। সঙ্গী কিংশুকই। অসীমও পুরোপুরি সুস্থ নয়। সে ক্ষেত্রে ১৮ জনের দল হয়ে যাচ্ছে কার্যত ১৫ জনের। যার মধ্যে দু’জন গোলকিপার। যার মানে মুম্বই এফসি ম্যাচে বদলি ফুটবলার থাকবে দু’জন।
সুস্থ ফুটবলারদের নিয়েই সুব্রত সিচুয়েশন মুভের অনুশীলন করালেন। যেখানে এক সঙ্গে দু’টি বিভাগের দিকে নজর রাখছিলেন তিনি। মিডফিল্ডার-স্ট্রাইকাররা যখন পাস খেলে এগোচ্ছেন, ডিফেন্ডারদের পজিশন কী হবে বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন। সুনীল-রাকেশদের বোঝাতে কখনও নিজেই হয়ে যাচ্ছিলেন ফরোয়ার্ড, কখনও স্টপার। কার ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে অবশ্য শুক্রবার সকালেই হোটেলের ঘরে বসে পড়েছিলেন গোটা দল নিয়ে।
এ দিনের অনুশীলন দেখে মনে হল সুব্রতর প্রথম এগারোয় জায়গা হবে হাদসন লিমার। সঙ্গে মনীশ, গৌরাঙ্গ এবং জুয়েল রাজা। সামনে জাগতার-সুনীল। আর রক্ষণে ধনরাজন, কিংশুক, রাকেশ, নবি। হাতে অবশ্য বিভিন্ন কম্বিনেশন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখার কোনও সুযোগ ছিল না। সুব্রতর কথায়, “ম্যাচের আগের দিনই চূড়ান্ত দল ঠিক করব।”
এ দিকে শুক্রবারই কলকাতায় মোহনবাগানের কার্যকরী কমিটি প্রশ্ন তুলেছে ফুটবলারদের দায়বদ্ধতা নিয়ে। ক্লাবে নির্বাচন কমিশন গড়ার (যদিও নির্বাচনে বিরোধী নেই) পাশাপাশি দলের পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনা হল। অখুশি কমিটির মন্তব্য, “ডেম্পো ম্যাচের জন্য যে ১৮ জন ফুটবলার গোয়া গিয়েছিল তাদের অনেকেই তারকা। কয়েক জন তো আবার জাতীয় দলে নিজের পজিশনের সেরা। তবু তারা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি।” কমিটির এই মন্তব্যে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি সুব্রত। বলেন, “এ ব্যাপারে এখনও কিছু জানি না।” |