ছেলে চিরাগের ছবিকে জনপ্রিয় করে তুলতে নজিরবিহীন ভাবে ময়দানে নেমে পড়লেন লোকজনশক্তি পার্টির প্রধান রামবিলাস পাসোয়ান। আর নেতার সঙ্গে সঙ্গে পটনার রাস্তায় নেমে পড়ল গোটা দলই। এলজেপি নেতারা রাতারাতি কাল থেকে দখল করে নিয়েছেন পটনার অধিকাংশেরও বেশি হোর্ডিং। তাতে বড় বড় করে প্রচার চিরাগের ছবি ‘মিলে না মিলে হম’। আজ সকাল থেকে হাজিপুর থেকে রওনা দিল এলজেপি-র দলিত সেনার মিছিল। পটনার এক পাঁচতারা হোটেলে দলিত সেনার কর্মীরা এসে ভিড় জমায় সাংবাদিক সম্মেলন শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকেই।
সিনেমা জগতের প্রথম সারির অভিনেতা অভিনেত্রীদের রাজনীতির ময়দানে আসা এখন জলভাত। কিন্তু রাজনীতির ময়দান থেকে সিনেমার জগতে আসার উদাহরণ কম। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিলাসরাও দেশমুখের ছেলে রীতেশ দেশমুখ অবশ্য এখন বলিউডের পরিচিত মুখ। কিন্তু বিলাসরাওকে কখনওই ছেলের জন্য এ ভাবে রাস্তায় নামতে হয়নি। তাই ছেলের সিনেমা হিট করাতে এ ভাবে দল নিয়ে রাস্তায় নেমে কার্যত নজির গড়লেন রামবিলাস।
আগামী ৪ নভেম্বর মুক্তি পাচ্ছে চিরাগ এবং কঙ্গনা রানৌত, মীরা বাজোয়া ও সাগরিকা ঘাটকে-র ছবি ‘মিলে না মিলে হম’। তার আগে আজ ছেলের সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন সস্ত্রীক রামবিলাস। যদিও মুখে কিছুই বলেননি তিনি। যে কোনও প্রশ্নের উত্তরে শুধু বললেন, “আজ চিরাগের দিন। যা বলার ও-ই বলবে।”
আর চিরাগ কী বললেন? প্রত্যাশামতোই সাংবাদিক সম্মেলনে সিনেমার থেকে বেশি এল রাজনীতির প্রশ্ন, ‘‘আপনার তো রক্তে রাজনীতি। নীতীশ কুমার বিহারে কেমন কাজ করছেন?’’ সাবধানী চিরাগ হেসে বললেন, “নীতীশজি ভালই কাজ করছেন। তবে বাবা সুযোগ পেলে আরও ভাল কাজ করতেন।” তবে রাজনীতির কথাবার্তা শুনে ঘাবড়ে গেলেন বলিউডের পোড়খাওয়া অভিনেত্রী কঙ্গনা। একবার তো নীতীশ কুমারের ‘সুশাসন’ শুনে ঘাবড়ে গিয়ে বললেন, “এ সব আমি কিছু শুনিনি। তবে শুনেছি বিহার এখন অনেক পাল্টে গিয়েছে।” |