টুকরো খবর
বিস্ফোরণে মৃত ১০০ লিবিয়ায়
দিন রাত লড়াইয়ের শেষে শান্তি খুঁজছেন লিবিয়ার মানুষ। কিন্তু দুর্ভাগ্য এখনও পিছু ছাড়েনি তাঁদের। আজ গদ্দাফির জন্মস্থান সির্তেতে একটি তেলের ট্যাঙ্কে বিস্ফোরণে মারা গিয়েছেন ১০০ জন। অস্তিত্ব রক্ষার শেষ লড়াই সির্তেতেই লড়েছিলেন গদ্দাফি। বিরোধীদের সঙ্গে গদ্দাফি বাহিনীর লড়াই এবং ন্যাটো বাহিনীর বিমান হানায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে সির্তে। শহরের বাসিন্দাদের অধিকাংশই পালিয়ে গিয়েছিলেন। এখন নিজেদের বাড়িঘরের খোঁজখবর নিতে ফিরছেন অনেকে। আজ একটি তেলের ট্যাঙ্ক থেকে নিজেদের গাড়িতে তেল ভরছিলেন তেমনই কয়েক জন বাসিন্দা। হঠাৎ প্রবল বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সামরিক কম্যান্ডার লেইথ মহম্মদ। মহম্মদের মতে, পাশের একটি জেনারেটর থেকে স্ফুলিঙ্গ ছিটকে এসে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পরে রাস্তায় পড়েছিল বেশ কয়েকটি পোড়া মৃতদেহ। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ৫০ জন। সির্তের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। সংগঠনের বক্তব্য, সির্তেতে ৫৩ জনকে খুন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েক জন গদ্দাফি সমর্থক। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত এই ঘটনার তদন্ত করা। তা ছাড়া ওই অঞ্চলে বিপুল অরক্ষিত অস্ত্রশস্ত্রের ভাণ্ডার রয়েছে। সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা উচিত। তা না হলে ওই অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করে নতুন ভাবে গোলমাল শুরু হতে পারে।

অন্ত্যেষ্টি গদ্দাফির
হিমঘর থেকে শেষ পর্যন্ত সরলো তাঁর দেহ। সংবাদসংস্থা এপি জানিয়েছে, হিমঘর থেকে সরিয়ে গোপন একটি জায়গায় আজ সকালে কবর দেওয়া হয়েছে মুয়ম্মর গদ্দাফিকে। মিসরাতার সেনা কাউন্সিলের এক অফিসার আজ এই তথ্য এপি-কে মোবাইল-বার্তায় পাঠান। তাই এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করা এখনও সম্ভব হয়নি বলে এপি-র দাবি। সেনা কাউন্সিলের মুখপাত্র ইব্রাহিম বেইতালমাল ওই বার্তায় দাবি করেছেন, “গদ্দাফিকে কবর দেওয়ার সময় প্রথামাফিক প্রার্থনা করা হয়েছে। আজ শুধু লিবিয়ার প্রাক্তন একনায়ক নন, কবর দেওয়া হয়েছে তাঁর পুত্র মোতাস্সিম এবং প্রাক্তন সেনাপ্রধান আবুবকর ইউনিসের দেহও। তাঁদের কবর দেওয়ার সময় গোপনীয় ওই স্থানে হাজির ছিলেন গদ্দাফির কয়েক জন আত্মীয়।” গন্ডগোল এড়াতে দেহগুলি কোথায় কবর দেওয়া হয়েছে, তা জানানো হয়নি। এমনকী কোনটা কার কবর, তা-ও চিহ্নিত করা হয়নি। গদ্দাফির কবরস্থল যাতে অনুগামীদের কাছে ‘তীর্থক্ষেত্রে’ পরিণত না হয়, তার জন্য এই সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। শুধুই আন্তর্জাতিক কিছু সংস্থাকে কবরস্থল দেখার অনুমতি দেওয়া হবে।

ধ্বংসস্তূপ থেকে ফোনে বাঁচার আর্তি
যত সময় যাচ্ছে জীবিতদের উদ্ধারের আশাও তত কমছে। গত রবিবারের ৭.২ মাত্রার ভূকম্পনে তুরস্কের কয়েক হাজার বহুতল একেবারে মাটিতে মিশে গিয়েছে। সেই ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নিখোঁজের সন্ধান করতে সময় লাগছে অনেক। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে আজ এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬৬। আরও অনেকে এখনও চাপা পড়ে আছেন। তাই মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়ার আশঙ্কা। তবে এই অবস্থায় মোবাইল এবং ফেসবুক বা টুইটারের মতো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট অনেকের কাছে আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়েছিলেন এমন অনেকে তাঁদের অবস্থান আত্মীয়দের জানানোয় উদ্ধারকাজ সহজ হচ্ছে। এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, সাহায্যের জন্য তিনি টুইট করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আশ্রয় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি এসেছে ১৭ হাজার। অর্থ সাহায্যের আশ্বাসও এসেছে বহু।

যুদ্ধাপরাধের মামলা রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে
অস্ট্রেলিয়ায় শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা করেছেন এক প্রবাসী তামিল। কিছু দিনের মধ্যেই কমনওয়েলথ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির শীর্ষ সম্মেলন হওয়ার কথা। ওই সম্মেলনে যোগ দেবেন রাজাপক্ষেও। তার ঠিক আগে এই মামলায় শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অস্বস্তিতে পড়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। শ্রীলঙ্কায় দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের সময়ে সে দেশের সেনাবাহিনী ও জঙ্গি সংগঠন এলটিটিই-র বিরুদ্ধে বার বার মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ শোনা গিয়েছে। রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এলটিটিই সমর্থক জগন ওয়ারান। তিনি পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। ২০০৭ সালে তিনি তামিলদের হাসপাতাল, স্কুল ও উদ্বাস্তুদের আশ্রয়ে কাজ করার জন্য শ্রীলঙ্কায় ফিরে যান। তাঁর দাবি, শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনী অনেক ক্ষেত্রে বেছে বেছে স্কুল বা উদ্বাস্তু শিবিরে হামলা চালিয়েছে। রাজাপক্ষের অস্বস্তি বাড়িয়ে শ্রীলঙ্কায় মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড। গিলার্ড বলেছেন,“শ্রীলঙ্কায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। অস্ট্রেলিয়া ও অন্য অনেক দেশ এই অভিযোগগুলির তদন্ত করতে শ্রীলঙ্কা সরকারকে অনুরোধ করেছে। ভবিষ্যতেও আমরা শ্রীলঙ্কা সরকারের সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে কথা বলব।”

দীপাবলিতে জ্বলবে ‘অনলাইন’ প্রদীপ
কম্পিউটারের স্ক্রিনের সামনে বসে মাউসে একটা ক্লিক। পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুন, আপনার বাড়িতে জ্বলে উঠবে দীপাবলির প্রদীপ! গোটা ব্যাপারটাই অবশ্য হবে ‘অনলাইন’-এ অর্থাৎ ইন্টারনেটের মাধ্যমে। দীপাবলির সময় দেশের বাইরে রয়েছেন যে সব ভারতীয়, তাঁদের জন্য এই অভিনব ব্যবস্থা করেছে একটি ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইটে নিজের বাড়ির ঠিকানা লিখলে গুগল্ ম্যাপের সাহায্যে তা খুঁজে বের করবে ওয়েবসাইট। এর পর ওয়েবসাইটের নির্দিষ্ট একটি স্থানে ক্লিক করলেই জ্বলবে প্রদীপ। পরিকল্পনাটি যার মস্তিষ্কপ্রসূত, সেই তানিয়া দে বললেন, “অনাবাসী ভারতীয়দের মধ্যে ব্যাপারটা খুব জনপ্রিয় হয়েছে।” এর মধ্যেই জ্বলেছে প্রায় সাড়ে সাত হাজার প্রদীপ।

উপগ্রহের টুকরো বঙ্গোপসাগরে, দাবি
বিকল হয়ে ভেঙে পড়া জার্মান উপগ্রহ রোস্যাটের টুকরো বঙ্গোপসাগরের উপরে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে জার্মান মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র। তবে, টুকরোগুলি বঙ্গোপসাগরে পড়েছে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি তারা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.