মাওবাদী প্রতিরোধে অতন্দ্র প্রহরার ডাক দিলেন শুভেন্দু
স্ত্র সংবরণে মাওবাদীদের যে সাত দিনের সময় দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, শনিবারই সেই সময়সীমা শেষ হয়েছে। রাজ্য সরকার শান্তি আলোচনার পথ খোলা রাখবে নাকি পুরোদমে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু করবেতা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। এরই মধ্যে তৃণমূল নেতৃত্ব জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে ‘প্রতিরোধ’ গড়ে তোলার ডাক দিলেন।
মাওবাদীদের ডাকা বন্ধের মধ্যেই গোয়ালতোড়ের পিংবনিতে শনিবার সভা করে যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর ঘোষণা, “নতুন করে যারা অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে, সেই শক্তিকে (মাওবাদী) আমরা উৎখাত করবই।” দলীয় কর্মী-সমর্থকদের প্রতি তাঁর আহ্বান, “গ্রামে গ্রামে অতন্দ্র-প্রহরীর মতো কাজ করুন। ওদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। সরকারি কাজে সহযোগিতা করুন। আমাদের সরকার উন্নয়নের সব প্রতিশ্রুতিই পূরণ করবে।”
আগের আমলের ‘শাসক’ সিপিএম নেতৃত্ব ‘বিরোধী’ তৃণমূলকে বার বারই মাওবাদী-ঘনিষ্ঠ বলে বিঁধেছেন। এ দিন শুভেন্দু আবার ‘অধুনা বিরোধী’ সিপিএমের দিকে ফিরিয়ে দিয়েছেন সেই তোপ। তাঁর বক্তব্য, “হার্মাদ বাহিনীর (সিপিএমের) আশ্রয়ে থাকা কিছু লোক (মাওবাদী) নতুন করে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। বেআইনি অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর বলছে, তৃণমূল করা যাবে না। ওই খুনি-বাহিনীকে এক ইঞ্চিও জায়গা দেওয়া চলবে না। যারা গণতন্ত্র মানে না, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মানে না, মানুষকে জোর করে মিটিং-মিছিলে নিয়ে যায়, তাদের জনগণের থেকে বিচ্ছিন্ন করতেই হবে।”
মাওবাদীরা নয়, জঙ্গলমহলে আমজনতা যে এখন তাদেরই সঙ্গে, মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন-কর্মসূচিরই পক্ষেএ দিনের সভায় শাসক তৃণমূলের সেটা প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ ছিল। বন্ধের মধ্যেই হাজার দশেকেরও বেশি মানুষের সমাবেশ করে তৃণমূল নেতৃত্ব সেই চ্যালেঞ্জে উতরেছেন সসম্মানে। ভিড় দেখে শুভেন্দু বলেন, “এই জমায়েতই প্রমাণ করছে জঙ্গলমহলের মানুষ শান্তি চান, উন্নয়ন চান।”
গোয়ালতোড়ে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মিছিল। ছবি: কিংশুক আইচ
তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি দীনেন রায়ের দাবি, “এক সময়ে যে মানুষ বলেছেন, বাহিনী চলে যাক, এখন তাঁরাই বলছেন, শান্তি ও উন্নয়নের জন্যই বাহিনী থাকুক।” শালবনির তৃণমূল বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো বলেন, “খুন-সন্ত্রাস চলতে পারে না। আমরা সেই বাহিনী প্রত্যাহারের কথাই বলছি, যারা অত্যাচার করে।”
গত দু’তিন বছরে জঙ্গলমহলে শুভেন্দুই ছিলেন দলের অন্যতম ‘প্রধান মুখ’। নেতাইয়ের ঘটনার পরেও সবার আগে তিনিই ছুটে যান গ্রামে। গত ১৫ অক্টোবর ঝাড়গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সভার মঞ্চে সেই তাঁকেই দেখা যায়নি। এই নিয়ে নানা জল্পনাও চলেছে। ঠিক এক সপ্তাহের মাথায় পিংবনির সভায় দলনেত্রীর বক্তব্যেরই অবশ্য পুনরুচ্চারণ করেছেন শুভেন্দু। সেই সঙ্গে জল ঢেলে দিলেন সব ‘জল্পনা’তেও। আগামী ১ নভেম্বর মাওবাদীদের আর এক ‘ঘাঁটি’ বেলপাহাড়িতে ফের সমাবেশের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

দিঘার কাছে বাংলাদেশের ট্রলার আটক
আন্তঃরাষ্ট্র জলসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে শনিবার বিকেলে দিঘার কাছে একটি বাংলাদেশি ট্রলারকে আটক করেছে উপকূল রক্ষী বাহিনী। তাতে ওই দেশের ২১ জন নাগরিক রয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ট্রলারটিকে ওড়িশার পারাদ্বীপে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। রাতের মধ্যে সে’টি ওই বন্দর-শহরে পৌঁছে যাবে। যে হেতু বঙ্গোপসাগরে পশ্চিমবঙ্গের সীমানার মধ্যে ওই ঘটনা ঘটেছে তাই খুঁটিনাটি জানতে রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশের (আইবি) একটি দল আজ, রবিবার পারাদ্বীপে যাচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, দিন আটেক আগে চট্টগ্রাম থেকে রওনা দিয়ে ট্রলারটি শুক্রবার রাতে এ দেশে ঢোকে। এ দিন দুপুরের দিকে সে’টি পারাদ্বীপের কাছে পৌঁছয়। সেখানে মাছ ধরার জন্য নোঙ্গর করে ছিল কিছু ভারতীয় ট্রলার। ওই মৎস্যজীবীরা পুলিশকে বলেছেন, তাঁদের লক্ষ করে বাংলাদেশি ট্রলার থেকে গুলি ছোড়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে মৎস্যজীবীরা বেতারযন্ত্রের মাধ্যমে উপকূল রক্ষীদের খবর দেন। উপকূল রক্ষীরা বাংলাদেশি ট্রলারটিকে তাড়া করে বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ দিঘার কাছে ধরে ফেলে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.