কলকাতায় জলাভূমি বলে যে আর বিশেষ কিছুই অবশিষ্ট নেই, এ ব্যাপারে একমত রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দল।
শনিবার কলকাতা পুরসভার অধিবেশনে শহরের জলাভূমি সংরক্ষণে দু’পক্ষের ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি সর্বসম্মত প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। ঠিক হয়েছে, শহরে জলাভুমি এবং পুকুরের ওয়ার্ড ভিত্তিক তালিকা তৈরি করা হবে। যাচাই করে দেখা হবে, তালিকাভুক্ত জলা এবং পুকুরের বর্তমান চেহারা কী অবস্থায় আছে। শহরে মূলত যাদবপুর, বেহালায় আবাসনের কর্মযজ্ঞ শুরু হওয়ার পর গত চার দশকে কত পুকুর এবং জলা ভরাট হয়েছে, তদন্ত করে দেখা হবে তা-ও। সরকারি বিধি অগ্রাহ্য করে মহানগরীর বিভিন্ন অংশে জলাভুমি ভরাট হচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে এ দিন কলকাতা পুরসভার অধিবেশন একটি প্রস্তাব আনেন তৃণমূল কাউন্সিলর রত্না শূর। তাঁকে সমর্থন করেন বিরোধী দলনেত্রী সিপিএমের রূপা বাগচী-সহ একাধিক কাউন্সিলর। প্রস্তাবটি সর্বসম্মত ভাবে গৃহীত হয়।
রত্নাদেবীর বক্তব্য, “জলা ভরাটের পিছনে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর ছাড়াও পুরকর্মীদের একাংশের জড়িত থাকার অভিযোগ শোনা যায়। এর তদন্ত করুক পুরসভা। তদন্তে দোষী প্রমাণিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা হোক।” জলা ভরাট করে শহরে যে সব নির্মাণ হয়েছে, তা-ও ভেঙে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
রূপাদেবী বলেন, “ভরাট হয়ে যাওয়া জলাভুমি পুনরুদ্ধারের চেষ্টার পাশাপাশি শহরে এখনও যেটুকু জলা আছে, তা রক্ষার ব্যবস্থা করা জরুরি। এই প্রশ্নেও পুরসভার উদ্যোগী হওয়া দরকার।” |