রাজ্যের ক্ষুদ্র সেচের জন্য বড় ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাঙ্ক
রাজ্যের ১৮টি জেলায় ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের জন্য ১২৩০ কোটি টাকা (২৫ কোটি ডলার) ঋণ মঞ্জুর করেছে বিশ্বব্যাঙ্ক। মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাঙ্ক এই কথা ঘোষণা করেছে। বুধবার নবমীর দিনে এই খবর এসে পৌঁছনোয় স্বভাবতই খুশি রাজ্য প্রশাসন।
বিশ্বব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাকসিলারেটেড ডেভেলপমেন্ট অফ মাইনর ইরিগেশন প্রজেক্ট (অ্যাডমিপ)-এর জন্য এই ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে। রাজ্যের ১৮ জেলার প্রায় ১ লক্ষ ৩৯ হাজার হেক্টর সেচসেবিত জমিতে মোট ৪৬৬০টি প্রকল্পের জন্য এই ঋণ দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে প্রায় ১ লক্ষ ৬৬ হাজার ছোট ও ক্ষুদ্র চাষি উপকৃত হবেন।
বিশ্বব্যাঙ্কের ঋণ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব বেণু রাজামণি এ দিন বলেন, “কৃষিতে উন্নত রাজ্যগুলির তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের কৃষিক্ষেত্রে গড় উৎপাদনের হার এখনও অনেক কম। এ জন্য গ্রামাঞ্চলে বছরভর উপার্জনের সুযোগ তৈরি করা এবং সেচ-নির্ভর কৃষির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এ কাজে সাহায্যের জন্যই ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
বিশ্বব্যাঙ্কের পর্যালোচনা, পশ্চিমবঙ্গে কৃষিজ উৎপাদন কম হওয়ার কারণ শুধু উপযুক্ত সেচের অভাবই নয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উন্নতমানের বীজ, সার ইত্যাদির অভাবও। এই ঋণের মাধ্যমে সেই অভাবগুলি পূরণ করার চেষ্টা হবে বলে মনে করে তারা।
এ রাজ্যে ক্ষুদ্র সেচ দফতরটি বর্তমানে নাম পাল্টে হয়েছে জলসম্পদ ও অনুসন্ধান দফতর। দফতরের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমরা বিশ্বব্যাঙ্কের ঋণ পাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জোর তদবির চালাই। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রও এ নিয়ে দিল্লিতে দরবার করেন। তারই ফলশ্রুতিতে রাজ্যের এই ঋণপ্রাপ্তি।”
দফতরের কারিগরি বিভাগের প্রধান বিশ্বনাথ মজুমদার এ প্রসঙ্গে বলেন, “২০০৮ সালে এই প্রকল্পগুলির রূপরেখা তৈরির কাজ শুরু হয়। কিন্তু রাজ্যে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত ২৬ অগস্ট দিল্লিতে আয়োজিত এক বৈঠকে বিশ্বব্যাঙ্কের প্রতিনিধিদের সামনে আমরা প্রকল্পগুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। বৈঠকে কেন্দ্রীয় জলসম্পদ এবং কৃষি মন্ত্রকের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।”
ঋণের অর্থে কী ধরনের প্রকল্প হবে? বিশ্বনাথবাবু জানান, জঙ্গলমহল এলাকার শুষ্কতার কথা মাথায় রেখে সারা বছর সেচ ও পানীয় জল সরবরাহের জন্য বেশ কিছু কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করা হবে। এ ছাড়া, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও বীরভূম জেলার জন্য জলের উৎস বের করে তা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করার কাজ হবে। উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকায় ছোট ঝোরা সংরক্ষণ করার পাশাপাশি কুয়ো-সেচ প্রকল্পের কাজ করা হবে।
তিনি আরও জানান, যে সব নদীজল উত্তোলন প্রকল্প (রিভার লিফট ইরিগেশন) অচল হয়ে পড়ে রয়েছে, সেগুলি উন্নত করা হবে। ক্ষুদ্র সেচ ব্যবস্থায় মিনি ডিপ টিউরওয়েল, শ্যালো ও মাঝারি নলকূপ বসানোর জন্য ভূগর্ভস্থ কাঠামো তৈরি করা হবে। সেই সঙ্গে নতুন নলকূপ বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.