|
|
|
|
টাকা কেড়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ডোমকল |
তিনি সরকারি চিকিৎসক। কিন্তু হাসপাতালে প্রেশার মাপার পরেই তিনি আড়চোখে রোগীকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, কাছেই চেম্বার। সেখানেই নিয়ে আসুন রোগীকে।
কী আর করা, অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে মহম্মদ কামাল সেখানে গিয়েছিলেন। মিনিট কুড়ি ধরে মহিলাকে পরীক্ষার পরে এ বার হাসি মুখে নিজের ‘ফি’-র জন্য হাত পেতে ছিলেন ওই চিকিৎসক। কেন? হাসপাতাল থেকে এখানে টেনে এনে আবার টাকা চাওয়া? একটু ঝাঁঝিয়েই উঠেছিলেন কামাল। আর তাতে ফল হয়েছিল উল্টো। প্রথমে তাঁর মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। তারপর খোলাখুলি জানিয়েছিলেন, “একশোটাকা ছাড় না হলে মোবাইল দেব না।” ডোমকল মহকুমা হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের চিকিৎসক বিজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে হাসাপাতাল থেকে নিজের চেম্বারে পাঠিয়ে চিকিৎসা করার অভিযোগ নতুন নয়। বিজয়বাবু অবশ্য এ নিয়ে কোনও আড়ালও রাখছেন না। তিনি বলেন, “আমি চেম্বারে রোগী দেখেছি। ওঁরা ফি দিতে চাননি। এ তো সত্যি কথাই। তবে তা নিয়ে কোনও গণ্ডগোল হয়নি।”তবে ডোমকল জনস্বার্থ রক্ষা সমিতির সম্পাদক আনারুল ইসলাম বলেন, “হাসপাতালের চিকিৎসকেরা কেবল চেম্বারেই পাঠাচ্ছেন না, বিভিন্ন নার্সিংহোমের সঙ্গেও যোগাযোগ করে রোগী পাঠাচ্ছেন এবং মোটা টাকা কমিশন নিচ্ছেন।” ডোমকলের মহকুমাশাসক তথা রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মনোজ চক্রবর্তী বলেন, “ওই চিকিৎসক এমন করে থাকলে তা চরম নিন্দনীয়।” আর ডোমকল মহকুমা হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, “এই ঘটনা চিকিৎসককূলের লজ্জা। পুজোর পরে গোটা ঘটনা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” রবিবার ডোমকল হাসপাতাল থেকে বিজয়বাবুই রেখা বিবিকে নিজের চেম্বারে পাঠান। সেখানে চিকিৎসা করে একশো টাকা দাবি করলে ওই রোগী ও তাঁর স্বামী প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডা শুরু হলে বিজয়বাবু কামালের পকেট থেকে মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেন বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, পরে পকেট থেকে একশো টাকাও তুলে নেন বলে অভিযোগ। ওই চিকিৎসক অবশ্য টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ মানতে চাননি। |
|
|
|
|
|