ইরানি ট্রফি জয়ের পথে পার্থিবরা
সংবাদসংস্থা • জয়পুর |
অবশিষ্ট ভারতই ইরানি ট্রফি ঘরে তুলতে চলেছে। শেষ দিনে ইরানি ট্রফি জেতার জন্য রঞ্জি-জয়ী রাজস্থানকে করতে হবে ৫৯০ রান। হাতে আছে দশটি উইকেটই। ৬১৮ রানের লক্ষ্য নিয়ে নেমে চতুর্থ দিনের শেষে রাজস্থান ২৮-০। তৃতীয় দিনের শেষের ৩০৭-৬ থেকে শুরু করে ৪০০ রানে শেষ হয় রাজস্থানের প্রথম ইনিংস। অবশিষ্ট ভারতের ৬৬৩ থেকে তখনও ২৬৩ পিছিয়ে। ফলো-অনের কথা না ভেবে অবশিষ্ট ভারত অধিনায়ক দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। রাজস্থানের যে ম্যাচে ফেরা আর সম্ভব নয় তা নিশ্চিত হয়ে যায় দ্বিতীয় ইনিংসে শিখর ধাওয়ান ও অভিনব মুকুন্দের মারকুটে ব্যাটিংয়েই। ৫৪ ওভারে ৬.৫৫ গড় রেখে ৩৫৪-২ তুলে ডিক্লেয়ার করে দেয় পার্থিব পটেলের দল। দুই ওপেনার মুকুন্দ (১৫৪) এবং ধাওয়ানের (১৫৫) পার্টনারশিপে ওঠে ৩১০ রান। প্রথম ইনিংসে বেশি রান পাওয়া মুকুন্দ ১৫৯ বলে ১৫৪ তুললেও ধাওয়ান ছিলেন আরও আক্রমণাত্মক। |
দেড়শো করে মুকুন্দ। ছবি: পিটিআই |
তাঁর ১৫৫ করতে লেগেছে মাত্র ১২৬টি বল। প্রথম ইনিংসেও ধাওয়ান মাথায় চড়তে দেননি রাজস্থানের বোলারদের। ১৭৭ করেছিলেন ১৬৫ বলে। দু’ইনিংস মিলে মোট ৫৪টি চার মেরেছেন তিনি। বোলিংয়েও অবশিষ্ট ভারত টেক্কা দিয়েছে রাজস্থানের অনিকেত চৌধুরি-দীপক চাহারদের। রাজস্থানকে প্রথম ইনিংসে ভাঙেন প্রজ্ঞান ওঝা। ৮৬ রানে তাঁর সংগ্রহ পাঁচটি উইকেট। বাকি পাঁচটি উইকেট ভাগাভাগি করেছেন বিনয় কুমার (৩-৭৪) এবং উমেশ যাদব (২-৮১)। রবিন বিস্ত (৯৩), রশ্মিরঞ্জন পারিদা (৮৫) এবং অশোক মেনারিয়া (৭৯) বড় রান করলেও সেটা ৬৬৩ তাড়া করার পক্ষে যথেষ্ট ছিল না। ওই তিন ব্যাটসম্যান ছাড়া অন্য কেউই সে রকম রান পাননি রাজস্থান ইনিংসে। |
ত্রিনিদাদের জয়ে বিদায় নিল কেপ কোবরা
সংবাদসংস্থা • চেন্নাই |
গিবসকে ফেরানোর উচ্ছ্বাস। চেন্নাইয়ে মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই |
গ্রপের শেষ ম্যাচে রূদ্ধশ্বাস জয় পেল ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগো। কেপ কোবরাকে ২ উইকেটে হারিয়ে দিয়ে টুর্নামেন্টে এখনও টিকে রইল ডারেন ব্র্যভো-লেন্ডল সিমন্সদের দল। হার্শেল গিবস-জাস্টিন কেম্পদের কেপ কোবরা ছিটকে গেল। ত্রিনিদাদের জয়ে অবশ্য সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। মঙ্গলবার শুরুতেই রিচার্ড লেভি (০) ও গিবসের (২) উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে কোবরা। হাল ধরেন ডেন ভিলাস (৫৪) এবং ওয়াইস শাহ। ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন শাহ। তবে ১৩৭-৪ এর বেশি তুলতে ব্যর্থ হয় দক্ষিণ আফ্রিকার দলটি। জেতার জন্য দরকার মাত্র ১৩৮ রান। সিমন্স (৯) এবং উইলিয়াম পার্কিন্স (৬) আউট হন তাড়াতাড়ি। ব্র্যাভো-রামদিন-কুপারদের মিলিত চেষ্টাতেই জয় তুলে নেন ক্যারিবিয়ানরা। ব্র্যাভো করেন ২৯। রামদিন ২৪। শেষ চার ওভারে ৪০ রান করতে হত ত্রিনিদাদকে। এই সময়ে কেভন কুপারের ১১ বলে অপরাজিত ২৫ ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শেষ ছ’টি বলে নয় রান মাথা ঠান্ডা রেখে তুলে নেন কুপার। বল হাতেও সফল কুপারই ম্যাচের সেরা। চার ওভারে ২৫ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। |
স্পনসরদের ভিড় এখন ফর্মুলা ওয়ানে
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
ভারতের মাটিতে ফর্মুলা ওয়ান রেস হওয়া নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা থাকলেও স্পনসররা কিন্তু টাকার ঝুলি নিয়ে এগিয়ে আসতে কসুর করছে না। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রেসিং টিমগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংস্থার নাম। এমনকী আরও স্পনসর এগিয়ে আসছে বিভিন্ন টিম এবং ভারতের প্রথম ফর্মুলা ওয়ান রেসের সঙ্গে নিজেদের নাম যুক্ত করতে। আরও শোনা যাচ্ছে ভারতীয় গ্রাঁ প্রি থেকে রেসিংয়ের দলগুলি স্পনসরশিপ বাবদ ৮০০-৮৫০ কোটি টাকার মতো তুলে নেবে বলে ধারণা করছেন এই রেসের সংগঠকরা। যে ভাবে স্পনসররা ভারতে অনুষ্ঠেয় এফ ওয়ান নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে, তাতে সংগঠকদের আশা ভবিষ্যতে এ দেশে ক্রিকেটের সঙ্গে পাল্লা টানতে পারবে ফর্মুলা ওয়ান।
|
অলিম্পিকের যোগ্যতা পেলেন মনোজ, দেবেন্দ্ররা
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
লন্ডন অলিম্পিকের যোগ্যতা পেয়ে গেলেন দুই ভারতীয় বক্সার মনোজ কুমার এবং এল দেবেন্দ্র সিংহ। দু’জনেই আজারবাইজানের বাকুতে বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে এই যোগ্যতা পেলেন। এ ছাড়া যোগ্যতা অর্জন করেছেন জয় ভগবানও (৬০ কেজি)।
কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জেতা মনোজ কুমার চিনের কিং গুকে ১৭-১৫ হারালেন। লন্ডনে তাঁকে ৬৪ কেজি বিভাগে নামতে দেখা যাবে। তবে বিশ্ব বক্সিংয়ের শুরু থেকেই নজর কেড়েছেন দেবেন্দ্র। ১৯ বছরের দেবেন্দ্র শেষ আটে ওঠার পথে ছিটকে দিলেন সাত নম্বর বাছাই ইকুয়েডরের কার্লোস কুইপোকে। ১৮-১২ পয়েন্টে জিতলেন দেবেন্দ্র। ৪৯ কেজি বিভাগের যোগ্যতা পেয়েছেন তিনি। মনিপুরী দেবেন্দ্র জেতার পরে বলেন, “এই বাউটে নামার আগে বেশ চাপে ছিলাম। কারণ, জিতলেই নামতে পারব অলিম্পিকে। তবে এই সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাইনি।” মনোজের পরের বাউটের প্রতিদ্বন্দ্বী পঞ্চম বাছাই ইংল্যান্ডের টমাস স্টকার। দেবেন্দ্র নামবেন কোরিয়ার শিন জং হুনের বিরুদ্ধে। অলিম্পিকে যাওয়ার যোগ্যতা অবশ্য পেলেন না এশিয়ান গেমসে রুপো জয়ী এবং ১২ নম্বর বাছাই দীনেশ কুমার। অস্ট্রেলিয়ার ড্যামিয়েন হুপার তাঁকে হারিয়ে দেন ১৬-৭ পয়েন্টে। |
বৃষ্টিই এখন বাঁচাতে পারে নাইটদের
নিজস্ব প্রতিবেদন |
ক্রিস গেইলের একটা বিধ্বংসী ইনিংসে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে যাওয়ার পথে নাইটরা! যা অবস্থা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে উঠতে গেলে বৃষ্টিই এখন ভরসা গম্ভীর-বাহিনীর। নবমীর রাতেই ঠিক হয়ে যাচ্ছে নাইটদের সেমিফাইনাল-ভাগ্য। পরিস্থিতি যা, রাতের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বনাম সাউথ অস্ট্রেলিয়ান রেডব্যাকস ম্যাচ যদি বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়, তা হলেই একমাত্র নাইটরা শেষ চারে উঠতে পারে। নইলে ছিটকে যেতে হবে টুর্নামেন্ট থেকে। গ্রুপে নাইটরা এই মুহূর্তে দু’নম্বরে। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, তারা গ্রুপের চারটে ম্যাচই খেলে ফেলেছে। পয়েন্ট ৪, নেট রান রেট +০.৩০৬। দুপুরে সমারসেট বনাম ওয়ারিয়র্সের ম্যাচ। ওই ম্যাচ থেকে একটা টিম চলে যাবে সেমিফাইনালে। কারণ ৩ ম্যাচে ওয়ারিয়র্সের পয়েন্ট ৪। সমারসেটের ৩ ম্যাচে ৩। রেডব্যাকসের আবার ৩ ম্যাচ খেলে পয়েন্ট ৩। বেঙ্গালুরুর ৩ ম্যাচ খেলে ২। কিন্তু বেঙ্গালুরুর নেট রান রেট (+.০৪৩৮) ভাল নাইটদের চেয়ে। বেঙ্গালুরু যদি শেষ ম্যাচে জেতে রেডব্যাকসের বিরুদ্ধে তা হলে নাইটদের সঙ্গে পয়েন্ট সমান হলেও নেট রান রেটের বিচারে গম্ভীরদের টপকে যাবেন গেইলরা। আর রেডব্যাকস জিতলে এমনিই তাদের পয়েন্ট দাঁড়াবে ৫। এত ঘোরালো অবস্থায় পড়তেই হত না যদি ক্রিস গেইল সমারসেটের বিরুদ্ধে ঝড় না তুলতেন। ওই একটা ইনিংসের জেরেই বেশ ভাল জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে বেঙ্গালুরুর নেট রান রেট। নাইটদের একমাত্র ভরসা এখন বৃষ্টিতে বেঙ্গালুরু-রেডব্যাকসের পয়েন্ট ভাগাভাগি। সে ক্ষেত্রে বেঙ্গালুরুর হবে ৩। রেডব্যাকসের ৪। তবে রেডব্যাকসের নেট রান রেট নাইটদের থেকে খারাপ। কিন্তু সমস্যা হল, বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাষ নেই। |
সব সিরিজেই ডিআরএস চান দার
সংবাদসংস্থা • করাচি |
আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা বা ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমের সমর্থনে এগিয়ে এসে মুখ খুললেন গত বছরের সেরা আম্পায়ার আলিম দার। তৃতীয় বারের জন্য আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ারের পুরস্কার পাওয়া দারের কথায়, “ডিআরএসের সুবিধা থাকা উচিত সব সিরিজে। কোনও সিরিজে এটা থাকে। কোনওটায় থাকে না। এতে আম্পায়ারদেরই অসুবিধা হয়। তা ছাড়া ডিআরএসের ধারাবাহিক ব্যবহার ক্রিকেটের জন্যও ভাল।” প্রসঙ্গত পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড রিভিউ সিস্টেমের পক্ষে থাকলেও ভারতীয় বোর্ডের তীব্র প্রতিবাদেই ভারতের সিরিজগুলিতে ডিআরএস ব্যবহার করা হয় না। ডিআরএসের ব্যবহার সর্বাত্মক হোক চাইলেও আলিম দার মনে করেন, আম্পায়ারদের রিভিউ সিস্টেমের উপর অতিরিক্ত নির্ভর করা উচিত নয়। “ডিআরএস টেকনোলজি ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ভালই হয়েছে। তবে আমাকে বা অন্য আম্পায়ারদের খেয়াল রাখতে হবে ঘনঘন যেন সেটা ব্যবহারের কথা না ভেবে ফেলি,” বলেন দার। ১ অক্টোবর থেকে চালু হয়েছে একাধিক নতুন নিয়ম। একদিনের ম্যাচে এক ইনিংসে দু’বার নতুন বল নেওয়া, রানার নেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা, পাওয়ার প্লে-র নিয়মের পরিবর্তন এবং ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’-এর জন্য ব্যাটসম্যানের পেনাল্টি। দার জানাচ্ছেন, এতে দায়িত্ব বাড়বে আম্পায়ারদেরই। তাঁর বক্তব্য, “আমার মনে হয়, আমাদের দায়িত্ব বেড়ে গেল কয়েকগুণ। আরও ফোকাস্ড থাকতে হবে।” |