|
|
|
|
পুজো সংক্ষেপে |
• দশভূজা তিনি। তবে চেনা রূপে নয়। ময়নাগুড়ির আমগুড়ি গ্রামে দেবী আবির্ভূত হয়েছেন সাধারণ রাজবংশী বধূ সাজে। ঝলমলে পোশাক নেই। তাঁতের শাড়ি, সাধারণ ব্লাউজ। গাঁয়ের বধূকে ঠিক যেমনটা দেখা যায়। অঙ্গে নেই মণিমূক্তো খচিত মুকুট, মালা, চুড়ি, বালা। অলঙ্কার বলতে রয়েছে রাজবংশী সমাজের বিলুপ্তপ্রায় ‘শেহেরা’। কয়েক দশক আগেও বিয়ের আসরে রাজবংশী মেয়েরা ওই অলঙ্কারে সাজতেন। দেবীর গঠন দেখেও মনে হতে পারে তিনি বুঝি তিস্তাপাড়ের কোনও চাষির বধূ। টিকালো নাক, পটল চেরা চোখ। দৈহিক গড়নে মঙ্গোলীয় জনজাতির ছোঁয়া। ডুয়ার্সের অন্যতম প্রাচীন ওই পুজোর আয়োজক আমগুড়ি গ্রামের বসুনীয়া পরিবার। এ বার পুজো ২০১ বছরে পদার্পণ করেছে। বসুনীয়া পরিবারের সদস্য সুনীলবাবু জানান, রাজবংশী সমাজে দেবীকে ঘরের মেয়ে কল্পনা করা হয়।
• হেঁসেলের কাজ সামলেও দেবী আরাধনায় মেতেছেন ময়নাগুড়ির গৃহবধূরা। ক্লাব গড়ে প্রতিমার বায়না থেকে চাঁদা আদায়, মণ্ডপসজ্জার তদারকি সবই করেছেন তাঁরা। ময়নাগুড়ির সার্ক রোডের পাশে পুজোর আয়োজন করেছেন ‘শ্মশান মোড় মহিলা ইউনিট’। ওই পুজোর সদস্য ৩৫ জন। প্রত্যেকে গৃহবধূ। মহিলা ইউনিটের যুগ্ম সম্পাদক মায়া দে ও মঞ্জু সেন জানান, পুজোর দিনগুলিতে খিচুড়ি ভোজের আয়োজন থাকছে। অন্যদিকে, চূড়াভাণ্ডার হাসপাতাল পাড়ায় পুজো আয়োজনে মেতেছেন ২২ জন গৃহবধূর ‘মহিলা মহল’। পরদিন মেলার পরে ভাসান হয় দুই দেবীর।
• পোলাও নয়, নিছক পান্তাভাত। সঙ্গে বোয়াল মাছের পাতুরি। দশমীর বিদায় লগ্নে ওই মেনুতে ভোজন করে দেবী বিদায় নেবেন কৈলাসে। রীতি মেনে ময়নাগুড়ি ইয়ূথ ক্লাব এ ভাবেই দেবীর বিদায়সূচি তৈরি করেছে। ওই পুজোর অর্ধ্বশত বর্ষে মহানবমীর সন্ধ্যা মেতে উঠবে অসমের বিহু নৃত্যের ছন্দে। প্রাচীন শিব মন্দিরের আদলে তৈরি প্রায় ৫০ ফুট উঁচু ৩৪ ফুট চওড়া মণ্ডপে চলছে আরাধনা। মেদিনীপুরের শিল্পীদের হাতের ছোঁয়ায় মণ্ডপ সেজেছে। |
উৎসবের দিন
|
|
|
কোচবিহার ও মোহিতনগরে ছবিদু’টি তুলেছেন হিমাংশুরঞ্জন দেব ও রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়। |
|
• দেবী আরাধনায় মেতেছে ময়নাগুড়ির তালুকদার পরিবার। ওই পুজোর প্রধান আকর্ষণ নিষ্ঠা। রথের দিন কাঠামো পুজোর পর থেকে তালুকদার পরিবারকে ছুঁয়ে যায় শিশির ভেজা আগমণীর স্নিগ্ধ গন্ধ। এর পরে বাড়ির পাকা মণ্ডপে গড়ে ওঠে প্রতিমা। এখানে দেবী ডাকের সাজে। এ বার পুজো ২৮ বছরে পা রাখছে। পুরানো রীতি মেনে পুজো চলছে। তালুকদার পরিবারের কর্তা বীরেন তালুকদার জানান, পুজোর দিনগুলিতে খিচুড়ি ভোজের আয়োজন রয়েছে।
• শারদোৎসব উপলক্ষে দুঃস্থদের পোশাক বিলি করলেন রায়গঞ্জের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পবিত্র চন্দ। সোমবার এলাকার প্রায় ২ হাজার দুঃস্থ বাসিন্দাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ধুতি, শাড়ি, লুঙ্গি, ছোটদের জামাকাপড়।
• পুজো মণ্ডপে ঢাক বাজাচ্ছেন খোদ পুলিশ সুপার। সোমবার রায়গঞ্জের শাস্ত্রী সঙ্ঘ কিংবা সুদর্শনপুর ক্লাবের পুজো মণ্ডপে হাজির দর্শনার্থীরা যেন নিজেদের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। জেলার পুলিশ সুপার দীপঙ্কর ভট্টাচার্য এদিন শহরে নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে বার হয়ে বিভিন্ন মণ্ডপে ঘোরেন। শাস্ত্রী সঙ্ঘ, সুদর্শনপুর, অমর সুব্রত ক্লাবের পুজো মণ্ডপে দক্ষ হাতেই ঢাকও বাজান।
• সপ্তমীতে পুজো গাইড ম্যাপ প্রকাশ করল উত্তর দিনাজপুর জেলা পুলিশ। এদিন কালিয়াগঞ্জ থানায় ওই ম্যাপ প্রকাশ করেন পুলিশ সুপার দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। হাজির ছিলেন পুর চেয়ারম্যান অরুণ দে সরকার। শহরের ১৭টি পুজো মণ্ডপে যাওয়ার পথের হদিশ ছাড়াও রয়েছে পুলিশি হসায়তা কেন্দ্র, ট্রাফিক কন্ট্রোল এবং জরুরি পরিষেবার নানা তথ্য।
• আজ, মঙ্গলবার মহাষ্টমীতে নররক্তে পুজো হবে কোচবিহারের বড় দেবীর। কোচবিহারের রাজ পরিবারের এই পুজোয় মহাষ্টমীতে নররক্তে পুজো দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য। আজও তা মেনে চলা হয়। নররক্তে ভেজানো পুতুলও বলি হবে।নিজের বুক চিরে রক্ত দেবেন ওই পুজোর প্রধান পুরোহিত।
• মহাষ্টমীতে ১০ কুইন্টাল চাল ও ডালের খিচুড়ি হবে তুফানগঞ্জের আদি বারোয়ারি পুজো মণ্ডপে। ৭ কইন্টাল চাল ও ৩ কুইন্টাল ডাল দিয়ে ওই খিচুড়ি হবে। পুজো কমিটির সম্পাদক ভবতোষ পাল জানান, দীর্ঘদিন ধরেই অষ্টমীতে খিচুড়ি প্রসাদ বিলি করছেন তাঁরা। |
|
|
|
|
|