প্রথা ভেঙে এ বছর রামকৃষ্ণ মিশনের ধাঁচে পুজো শুরু করল আলিপুরদুয়ার দুর্গা বাড়ি। ১১৪ বছরের পুরানো পুজোয় এতদিন একজন পুরোহিতই মন্ত্রোচ্চারণ থেকে সমস্ত কাজকর্ম করতেন। এ বার দুর্গা বাড়িতে একজন পুরোহিত কেবল মন্ত্রপাঠ করলেন। অন্যজন পুজোর অন্যান্য কাজকর্ম করলেন। আলিপুরদুয়ার দুর্গা বাড়ির কর্মকর্তা সুবল সাহা বলেন, “এ বার আমরা রামকৃষ্ণ আশ্রমের ধাঁচে পুজোয় দু’জন পুরোহিত নিয়োগ করেছি। একজন কেবল মন্ত্রোচ্চারণ করবেন, অন্যজন দেবীর পুষ্পাঞ্জলি থেকে শুরু করে আরতি করবেন।”
তবে প্রথা মেনে এ বারও হরিদ্বারের গঙ্গাজল, কলকাতার একটি দোকান থেকে প্রতিমার বেনারসী আনা হয়েছে। মহাষ্টমীতে কয়েক হাজার ভক্তের জন্য মহাভোগের খিচুড়ি ও সবজির সঙ্গে মিষ্ঠান্ন ও লুচির বদলে থাকছে, মালপোয়া। দুর্গা বাড়ির কর্মকর্তারা জানান, দুধ সংগ্রহ করতে সমস্যা হওয়ায় মিষ্টান্ন ও লুচির বদলে মালপোয়া করার সিধান্ত নেওয়া হয়েছে। সপ্তমীর দুপুর থেকেই অষ্টমীর মহাভোগ রান্নার তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রায় ২৫ মন চাল ও মুগের ডালের খিচুড়ি, ২০ মণ সবজির তৈরি হবে। লাবড়ার জন্য আলু, ফুলকপি, টমেটো, কচু, মুলো, বেগুন-সহ বিভিন্ন সবজি থাকবে।
অষ্ঠমীর দিন ভোর চারটে থেকে মন্দিরের ছয়টি উনানে ১০-১২ জনের রাঁধুনির দল কয়েক হাজার লোকের জন্য ভোগ রান্না শুরু করবেন। দুপুর ১টা নাগাদ দেবীর সামনে মহাভোগ রাখা হবে। বেলা ৩টের পরে তা বাঁশের তৈরী বিশেষ ঝুড়িতে ভক্তদের মধ্য বিলি শুরু হবে। আলিপুরদুয়ার, ফালাকাটা, কালচিনি, কামাখ্যাগুড়ি, রাজাভাতখাওয়া, শামুকতলা-সহ আশপাশের বহু এলাকার কয়েক হাজার মানুষ মহাভোগের প্রসাদ পাবেন। নবমীর সন্ধ্যায় পুজো দেখতে আসা সকল দর্শনার্থীদের মণ্ডপে বসিয়ে ভোগ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। |