|
|
|
|
মণ্ডপে উঠে এসেছে গ্রামবাংলা |
রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় • বাঁকুড়া |
পাশাপাশি সুউচ্চ দু’টি তোরণ। তার উপরে মাচায় মাদল বাজাচ্ছেন কয়েকজন আদিবাসী যুবক। তোরণের নিচে ঘাসের পথ চলে গিয়েছে গ্রামের ভিতরে। সামনে খড়ের ছাউনির বড় আটচালা। আর কিছুটা এগোলে পড়ে সামনে দুর্গা মণ্ডপ। পাশে শিব মন্দির। দু’টি মন্দিরই খড়ের ছাউনির কাঁচা ঘর। এক পাশে খড়ের চালার মাটির ঘর। দু’পাশে ধানের মড়াই। দুর্গা মন্দিরের ভিতরে দেবী দুর্গার পুজো হচ্ছে। |
|
মধ্য কেন্দুয়াডিহির পূজা-প্রাঙ্গণ।- নিজস্ব চিত্র। |
বাঁকুড়া শহরের ভিতরে ছোট্ট এই গ্রাম উঠে এসেছে। মধ্য কেন্দুয়াডিহি আদি সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি তাঁদের পুজো মণ্ডপ ‘আমার বাংলা’ থিমে গড়ে তুলেছে। এই মণ্ডপ নির্মানের দায়িত্বে থাকা শিল্পী অসিত দহরি বলেন, “বাঁশ, চট, খড়, মাটি ও শোলা দিয়ে মন্দির, কুটির, আটচালা তৈরি করা হয়েছে।” অপর শিল্পী ভদ্রেশ্বর বায়েন জানান, বৃষ্টির জন্য সমগ্র ভাবনা ফুটিয়ে তুলতে খুব বেগ পেতে হয়েছে। পুজো কমিটি জানিয়েছে, গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি তুলে আনাই তাঁদের লক্ষ্য। শহরের দম বন্ধ করা পরিবেশের বাইরে সবুজে ঘেরা প্রকৃতির কোলে দুর্গাপুজো দেখাতেই এই ভাবনা নেওয়া হয়েছে।
শহরের অন্য প্রান্তে, কমরারমাঠ সিনেমা মোড় সর্বজনীনের পুজোর ‘থিম’ ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ের জঙ্গী হামলার স্মৃতি। ওই জঙ্গী হামলার কবলে পড়া মুম্বইয়ের ভিক্টোরিয়া টার্মিনাস স্টেশনের আদলে তাঁরা মণ্ডপ তৈরি করেছেন। মণ্ডপের পাশে তাজবেঙ্গল ও ওবেরয় হোটেল, নরিম্যান হাউসে জঙ্গি হামলার ছবিও থাকছে। পুজো কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, জঙ্গি হামলা বন্ধ করার বার্তা ছড়িয়ে দিতেই তাঁরা মুম্বই হামলার স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছেন। প্রায় ৮০ ফুট উচ্চতার এই মণ্ডপটি থার্মোকলের উপর কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এদের পুজো এ বার ১৭ বছর পূর্ণ করল। |
|
|
|
|
|