টুকরো খবর
জোর করে চাঁদা, প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ হাসনাবাদে
জোর করে চাঁদা আদায় নিয়ে গাড়ি চালকের সঙ্গে বচসার জেরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন ব্যবসায়ীরা। অবরোধের জেরে নাকাল হলেন সাধারণ মানুষ। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদের রামেশ্বরপুর হাসপাতাল মোড়ে। দুপুর থেকে শুরু হওয়া অবরোধ চলে প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ হাসনাবাদের কালুতলায় একটি ক্লাবের ছেলেরা রাস্তায় গাড়ি আটকে চাঁদা তুলছিল। সেই সময় ওই রাস্তায় তারা একটি মুরগির বাচ্চা বোঝাই ম্যাটাডর আটকায়। গাড়ির চালক তাদের জানান, তারা যে টাকা চাইছে তা তাঁর কাছে নেই। তিনি পরে এসে দেবেন। কিন্তু তাতে রাজি না হয়ে চাঁদা না পাওয়া পর্যন্ত ওই ক্লাবের সদস্যেরা গাড়িটি আটকে রাখে। অভিযোগ, মুরগির বাচ্চাগুলি মারা যেতে পারে বলে বার বার বলা সত্ত্বেও তারা গাড়ি ছাড়েনি। ইতিমধ্যে বেশ কিছু মুরগির বাচ্চা গরমে মারা যায়। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তাঁরা ওই চাঁদা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান। অবিলম্বে চাঁদার জুলুম বন্ধ ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে তাঁরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অবরোধের ফলে পারহাসনাবাদ থেকে লেবুখালি পর্যন্ত গানি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নাকাল হন যাত্রীরা। সন্ধ্যা নাগাদ পুলিশ গিয়ে চাঁদা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, গ্রেফতার যুবক
বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিবেশী তরুণীর সঙ্গে সহবাসের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার সকালে ক্যানিংয়ের জীবনতলা থানার গৌড়দহের সাঁপুইপাড়ার বাসিন্দা সোমনাথ মণ্ডল নামে ওই যুবককে ধরা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে সোমনাথের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই তরুণীর। তরুণীর দাদা জানিয়েছেন, দু’জনের সম্পর্কের কথা জানাজানি হলে সোমনাথকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু সোমনাথ বোনকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। এর ফলে, বোন মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে। রবিবার গ্রামে সালিশি বসে। সেখানেও সোমনাথকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই সময়ে সোমনাথের মা অর্চনাদেবী পুলিশের কাছে তাঁর ছেলেকে আটকে রাখার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ গিয়ে সোমনাথকে একটি ঘর থেকে উদ্ধার করে থানায় আনে। পরে ওই তরুণীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় সোমনাথকে। সোমনাথের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অর্চনাদেবী। তিনি বলেন, “ছেলের সঙ্গে ওই তরুণীর কোনও সম্পর্ক ছিল না। ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে। মিথ্যা সালিশি সভা ডেকে ছেলেকে একটি ঘরে আটকে রেখে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল।” পুলিশ জানায়, দু’টি অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয়েছে। সাপের ছোবলে মৃত্যু। মাছ ধরতে গিয়ে সাপের ছোবলে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধের। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর নাম নিরঞ্জন বৈদ্য (৬৫)। বাড়ি ক্যানিং থানার মালির ধার এলাকায়। সোমবার বিকেলে তাঁকে সাপে দংশন করলে ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে বাঁচাতে পারেননি।

বিনা টিকিটের যাত্রী ধরায় ব্যারাকে আগুন
টিকিট পরীক্ষকের হাতে বিনা টিকিটের এক যাত্রীর হেনস্থার অভিযোগে ব্যাপক তাণ্ডব চালানো হল বারুইপুর স্টেশনের আরপিএফ ব্যারাকে। সোমবার সকালে বিক্ষোভের সময়েই স্টেশন ম্যানেজারের ঘরে ইটপাটকেল ছোড়ার পাশাপাশি ব্যারাকে আগুন ধরিয়ে দেয় ক্ষিপ্ত জনতা। আগুনে জওয়ানদের বিছানা এবং নথি পুড়ে যায়। দমকলের চারটি ইঞ্জিন পৌনে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে। ঠিক কী ঘটেছিল? পুলিশ জানায়, সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ শিয়ালদহমুখী ডায়মন্ড হারবার লোকাল বারুইপুর স্টেশনে পৌঁছলে আব্দুল শেখ নামে এক যুবক ট্রেন থেকে নামেন। প্ল্যাটফর্মে টিকিট পরীক্ষা করছিলেন বিশ্বজিৎ সেন নামে এক রেলকর্মী। রেল-কর্তৃপক্ষ জানান, আব্দুল বৈধ টিকিট দেখাতে না-পারায় টিকিট পরীক্ষক তাঁর ২৬০ টাকা জরিমানা করেন। আব্দুল প্রথমে বলেন, তাঁর কাছে অত টাকা নেই। পরে বলেন, টিকিট কেটেছিলেন, কিন্তু তা হারিয়ে গিয়েছে। রেল পুলিশ জানায়, টিকিট পরীক্ষক আব্দুলকে ছাড়তে না-চাওয়ায় তিনি চিৎকার শুরু করেন। লোক জড়ো হয়ে যায়। আব্দুল জনতাকে বলেন, বিশ্বজিৎবাবু তাঁকে মারধর করছেন। টিকিট পরীক্ষককে গালিগালাজ শুরু করে জনতা। বেগতিক দেখে রেল পুলিশ বিশ্বজিৎবাবু ও আব্দুলকে সরিয়ে স্টেশন ম্যানেজারের ঘরে নিয়ে যায়। উত্তেজিত জনতা ঘর লক্ষ করে ইট ছুড়তে থাকে। এক দল লোক আরপিএফ ব্যারাকের দিকে ছুটে যায়। তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে আগুন লাগিয়ে দেয়। রেল পুলিশ জানায়, অসুস্থ বোধ করায় আব্দুলকে বারুইপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.