|
|
|
|
ডোমকলে আশ্বিনের বিশ্বকাপ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ডোমকল |
মাঠের এক প্রান্তে রয়েছে কয়েক ফুট উচু ওয়ার্ল্ড কাপ। সামনে উইকেট। তারই এক প্রান্তে সচিন দাঁড়িয়ে, অন্য প্রান্তে বোলার। বিশ্বকাপ জয়ের টানটান মুহূর্ত ফিরে এসেছে ডোমকলের ২৪ পল্লির মণ্ডপে। জনকল্যাণ মাঠে ঢুকলেই দেখা যাবে ক্রিকেটারদের। কিন্তু প্রতিমা কোথায়? বিশ্বকাপের ভিতরে! দর্শনার্থীদের টানতে মাঠে নেমে পড়েছেন ডোমকল মহকুমার পুজোর উদ্যোক্তারা।
ডোমকল শহরের পাশের গ্রাম বাজিতপুর। সেখানে মণ্ডপ হয়েছে অমৃতসরের স্বণর্মন্দিরের আদলে। আরও একটু এগিয়ে গেলে লক্ষ্মীনাথপুর। সেখানে ধান দিয়ে তৈরি হয়েছে চোখ ধাঁধানো মণ্ডপ। গ্রামের বাইরে বা অন্য কোনও জায়গা থেকে অভিজ্ঞ কারিগর দিয়ে নয়। গ্রামের ছেলেরা নিজেরাই তৈরি করেছেন ওই মণ্ডপ। তবে শুধু ডোমকল শহর নয়, মহকুমার প্রত্যন্ত গ্রাম নবিপুর, রানিনগর, নরসিংহপুর ও গৌরীপুরের মণ্ডপে এ বার নতুন নতুন ভাবনার ছোয়া। প্রায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্থানীয় যুবকেরা মণ্ডপ তৈরির ক্ষেত্রে নতুন কিছু ভাবার চেষ্টা করেছেন। কোথাও পুরনো মন্দিরের আদলে, কোথাও আবার দালানবাড়ির অনুকরণে মণ্ডপ হয়েছে। |
|
২৪ পল্লির বিশ্বকাপ ময়দান। ছবি: বিশ্বজিৎ রাউত। |
মণ্ডপসজ্জাতেও রয়েছে চমক। থার্মোকল, বাঁশ, চট, মাদুর, মাটির সরা, ঝুরি এমন নানা জিনিস দিয়ে মণ্ডপ সাজানো হয়েছে। আবার চট, মটির সরার উপরেও আঁকা হয়েছে নানা নকশা, দেবী দুর্গার নানা রূপ। রানিনগরের নবিপুরের মণ্ডপে এ বার দেখা যাবে মাদুরের কারুকার্য। সাগরপাড়া কালীতলা সর্বজনীনের মণ্ডপে থার্মোকলের কাজ যেমন নজর কাড়বে। চটের উপর সুন্দর কাজ হয়েছে নরসিংহপুরের মণ্ডপ। আবার রানিনগরের ডাকবাংলোর পুজো কমিটির থিম যেমন রবীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্র জন্ম সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান পুজো কমিটির কর্তারা। এর উপরে রয়েছে চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা। সব মিলিয়ে ডোমকলের পুজোয় থিমের রমরমা। মহকুমায় থিমের প্রতিযোগিতা চললেও ইসলামপুরের বেশ কিছু জায়গায় নিজস্ব ঠাকুর দালানেই হয় পুজো। চক ইসলামপুরে ‘বুড়িমা’র পুজোর যেমন বেশ নামডাক আছে। ‘বুড়িমা’র গায়ে মাটি না পড়া পর্যন্ত এলাকার অন্য কোনও প্রতিমা তৈরি হয় না। বিসর্জনের সময়েও সবার আগে ঘাটে নামানো হয় ‘বুড়িমা’কে। তেমনই সাবেকি পুজো হলেও ইসলামপুরের ২২ পুতুল নজর কাড়ে সকলের। কারণ এখানে দেবী দুর্গার সঙ্গে মহাদেব এবং চার ছেলে মেয়ে ছাড়াও থাকে ব্রহ্মা, বিষ্ণু এমনকি নন্দী-ভৃঙ্গীও। রানিনগরের মালিপাড়ায় আবার মহিলারাই পুজোর উদ্যোক্তা। পুজোর আয়োজন থেকে সন্ধ্যায় মণ্ডপে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সবকিছুর দেখভাল করছেন পাড়ার মহিলারাই। পুজোর ক’দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে মহকুমার বেশিরভাগ পুজো কমিটি। সাগরপাড়ার কালীতলা সর্বজনীন যেমন ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি এলাকার মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা দিয়েছে। |
|
|
|
|
|