|
|
|
|
ঐতিহ্যে অনন্য সিংহবাড়ির প্রাচীন পুজো |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
তিনশো বছরেরও প্রাচীন কাঁথির সিংহ বাড়ির পুজোয় আজও ঐতিহ্য অটুট।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রাচীন পুজোগুলির অন্যতম কাঁথি শহরের সিংহবাড়িতে প্রতি বছরই জাঁকজমক সহকারে মাতৃ আরাধনা হয়। মহালয়ার দিন দেবীপক্ষের সূচনাতেই ঘটোত্তলন। প্রতিপদ থেকে ষষ্ঠী পযর্ন্ত চলে টানা চণ্ডীপাঠ। ষষ্ঠীতে প্রতিমাকে স্বর্ণালঙ্কারে সাজিয়ে শুরু হয় আনন্দময়ীর মাতৃ-আরাধনা।
১৬৯২ সালে স্বর্গীয় মদনমোহন সিংহ কাঁথির বাড়িতে রঘুনাথ জিউ ও শিব মন্দির স্থাপন করার পরে দুর্গাপুজোর প্রচলন করেন প্রথমে। পরিবারের বর্তমান সদস্য উৎপল সিংহ জানান, মহালয়ার পর দিন প্রতিপদ থেকেই কার্যত দেবীর পুজো শুরু হয়। ওই দিনই দেবীর বোধনের ঘটপুজো হয়। প্রতিপদ থেকে পঞ্চমী প্রতি দিনই পুজো হয়। ষষ্ঠীতে নবপত্রিকার পুজো হয়। বিল্ব অধিবাসের পর থেকে মূর্তি পুজো শুরু হয়। সপ্তমীতে শহরের কৃষ্ণকান্ত পুকুরে কলা বৌ স্নান করিয়ে আনা হয়। অষ্টমীর দিন সকালে অঞ্জলি ও রাতে সন্ধিপুজো হয়। সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত প্রতি দিনই নিরামিষ ভোগ দেওয়া হয়। সিংহবাড়ির দেবীর অন্নভোগ অরন্ধন অবস্থায় দেওয়াই পরিবারের রীতি বলে জানালেন উৎপলবাবু। দশমীর দিন বিসর্জনের আগে পরিবারের মহিলারা সিঁদুরখেলায় মেতে ওঠেন। সিংহ পরিবারের ছেলে-মেয়েরা কর্মসূত্রে বাইরে থাকলেও পুজোর সময় সকলেই চলে আসেন দেশের বাড়িতে। বংশ পরম্পরায় পাঁচ পুরোহিত পুরোপুরি বৈষ্ণব মতে এই পুজো করে আসছেন।
আগের মতো জাঁকজমক না থাকলেও বনেদিয়ানা আর আভিজাত্যকে সম্বল করেই সিংহবাড়ির প্রাচীন পুজো আজও অনন্য। |
|
|
|
|
|