|
|
|
|
|
খেয়াল রাখুন তথ্য সংকলন: কৌলিক ঘোষ |
|
সৌর, বায়ু বা জল, যা-ই হোক না কেন, বিকল্প বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে দক্ষ কর্মীর চাহিদাও। সে কথা মাথায় রেখেই এই সংক্রান্ত এক বছরের ডিপ্লোমা পাঠ্যক্রম আনছে অর্ক কমিউনিটি কলেজ। এ জন্য তারা জোট বেঁধেছে মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ইগনু এবং অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘সানশাইন কোস্ট টিএএফই’-এর সঙ্গে।
অর্ক-ইগনু কমিউনিটি কলেজের চেয়ারম্যান এস পি গণচৌধুরি জানান, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে চালু হবে পাঠ্যক্রমটি চালু হবে। মোট আসন ২৫টি। তবে বেশ কয়েকটি সংরক্ষিত থাকবে শিল্পমহলের জন্য। উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণরা ইংরেজিতে ৫০% ও অঙ্কে ৬০% নম্বর পেলেই ভর্তির পরীক্ষায় বসতে পারবে। পরের ধাপে আছে ‘পার্সোনাল ইন্টারভিউ’। পাঠ্যক্রমের মোট ফি ৮৫ হাজার টাকা। ভর্তির সময় দিতে হবে ৪৫ হাজার।
শিক্ষকদের মধ্যে ৭০% ভারতীয় এবং ৩০% অস্ট্রেলিয়। তাঁদের নিয়োগ করা হবে বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে। প্রশিক্ষণ শেষে ইগনু-র সার্টিফিকেট পাবেন উত্তীর্ণরা।
|
|
যে কোনও বয়সের মানুষকে ইংরেজি শেখাতে বিশেষ পাঠ্যক্রম আনছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। ভর্তির জন্য নাম নথিভুক্ত করতে শুরু করেছে তারা।
এর পাশাপাশি শুরু হচ্ছে আই ই এল টি এস বা ইন্ট্যারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম পরীক্ষার প্রস্তুতিও। নতুন ক্লাস শুরু ১০ অক্টোবর থেকে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করা যেতে পারে ক্যামাক স্ট্রিটে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির ২২৮২-৫৩৭০ নম্বরে ফোন করে।
|
|
চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে মণিপাল ইউনিভার্সিটি চালু করেছে ম্যানেজমেন্টের একটি দ্বৈত পাঠ্যক্রম। মণিপাল ইউনিভার্সিটি নিজে দেবে স্নাতক ডিগ্রি। অন্য দিকে, চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে করাবে অ্যাডভ্যান্সড ডিপ্লোমা ইন ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টিং। তিন বছরের পাঠ্যক্রম পড়ানো হবে ছ’টি সেমেস্টারে ভাগ করে। ১০+২ বা তার সমতুল যোগ্যতা নিয়ে ভর্তি হওয়া যাবে। |
|
আপনার প্রশ্ন
বিশেষজ্ঞের উত্তর |
|
|
|
প্রশ্ন: উচ্চ মাধ্যমিকের পর পাইলট হওয়ার প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিতে চাই। কোথায়, কী ভাবে সম্ভব?
সঙ্গীতা পাল, হাওড়া প্রশ্ন: ভবিষ্যতে বিমানচালক হতে উৎসাহী। এখন থেকে কী ভাবে প্রস্তুতি নেব?
অপূর্ব মণ্ডল, কালিয়াচক
উত্তর: পাইলট বা বিমানচালকের পেশা চিরদিনই খুব জনপ্রিয়। কাজের রোমাঞ্চ ও সেই সঙ্গে মোটা বেতন সবই মজুত এই পেশাটিতে। তবে এতে যোগ দেওয়ার জন্য কিন্তু কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। প্রথমেই ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন বা ডিজিসিএ কর্তৃক অনুমোদিত ফ্লাইং ক্লাব বা ফ্লাইং অ্যাকাডেমি থেকে কমার্শিয়াল পাইলট-এর লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্যতা
অর্জন করতে হবে।
এ বার এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক দেশের কিছু প্রথম সারির ফ্লাইং ক্লাবের নাম। প্রসঙ্গত, ডিজিসিএ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী দেশে এখন চল্লিশটি ফ্লাইং স্কুল রয়েছে। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য, রাজীব গাঁধী অ্যাকাডেমি ফর অ্যাভিয়েশন টেকনোলজি (তিরুঅনন্তপুরম)। ইন্দিরা গাঁধী রাষ্ট্রীয় উড়ান অ্যাকাডেমি (রায়বেরিলি), মধ্যপ্রদেশ ফ্লাইং ক্লাব, সরস্বতী অ্যাভিয়েশন অ্যাকাডেমি (সুলতানপুর), অ্যালকেমিস্ট অ্যাভিয়েশন অ্যাকাডেমি (ঝাড়খণ্ড)।
উদাহরণ হিসেবে এখানে দু’একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তির পদ্ধতি জানানো হল। ইন্দিরা গাঁধী রাষ্ট্রীয় উড়ান অ্যাকাডেমিতে লিখিত পরীক্ষা, পাইলট অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট এবং ইন্টারভিউ-এর মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই হয়। দু’ঘণ্টার পরীক্ষায় সাধারণ ইংরেজি, অঙ্ক, পদার্থবিজ্ঞান এবং রিজনিং-এর প্রশ্ন থাকে। লিখিত পরীক্ষায় সফলদের ডাকা হয় পাইলট অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট এবং ইন্টারভিউ-এর জন্য। দিল্লি, হায়দরাবাদ, কলকাতা, লখনউ, মুম্বইতে পরীক্ষা নেওয়া হয়। ১০+২ স্তরে ইংরেজি থাকলে এবং পদার্থবিজ্ঞান ও অঙ্ক বিষয় দু’টি মিলিয়ে ৫৫% নম্বর পেলে প্রবেশিকায় বসা যাবে। বয়স হতে হবে ১৭ বছরের কম। প্রতি বছর জুন নাগাদ হয় লিখিত পরীক্ষাটি। বিজ্ঞপ্তি বেরোয় এপ্রিল নাগাদ। মোটামুটি ভাবে ১৫ মাস মেয়াদের এই প্রশিক্ষণের জন্য আসন ১২৫টি। খরচ সাড়ে ছাব্বিশ লক্ষ টাকা।
দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান হিসাবে যদি কেরলে তিরুঅনন্তপুরমের রাজীব গাঁধী অ্যাকাডেমি ফর অ্যাভিয়েশন টেকনোলজিকে বেছে নেওয়া হয়, তা হলে দেখা যাবে যে, এখানে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতার কিছুটা ফারাক রয়েছে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য ১০+২ স্তরে সব মিলিয়ে ৫০% নম্বর চাওয়া হয়। কিন্তু পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং ইংরেজি মিলিয়ে ৬০% নম্বর থাকা আবশ্যিক। মোট আসন ১৫টি। খরচ সাড়ে একুশ লাখ টাকার কাছাকাছি।
রাজীব গাঁধী অ্যাকাডেমি ফর অ্যাভিয়েশন টেকনোলজিতে ভর্তির জন্য যে-লিখিত পরীক্ষা হয়, সেটি পুরোপুরি অবজেকটিভ টাইপের। ফিজিক্স, ম্যাথস, ইংরেজি, জিওগ্রাফি, আই কিউ, সাধারণ জ্ঞানের উপর প্রশ্ন থাকে। |
|
|
|
|
|