পুজোর বোনাস পেলেন না গোঘাটের তারাহাটের একটি হিমঘরের পনেরো জন শ্রমিক। সপ্তাহ খানেক ধরে মালিক পক্ষের সঙ্গে এই নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল তাঁদের। এর মধ্যে এসে পড়ল পুজো। পুজোর তিন দিন হিমঘর বন্ধ। ফলে, পুজোয় বোনাস পাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকল না। এই নিয়ে বিক্ষোভ দানা বেঁধেছে শ্রমিকদের মধ্যে। আগামী শুক্রবার থেকে তাঁরা কর্মবিরতি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন। মালিক পক্ষের তরফে মনোজ শর্মা বলেন, “বহিরাগত রাজনৈতিক দলের মাতব্বরদের অত্যাচারে হিমঘরটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আমাদের একেবারে নতুন ইউনিট (দু’বছরের)। স্থানীয় স্তরে সহযোগিতার বদলে চাপ আসে। প্রচুর লোকসান হচ্ছে। তা সত্ত্বেও ১১ শতাংশ পর্যন্ত বোনাস দেওয়ার কথা বলেছি। কর্মীরা রাজিও হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু রাজনৈতিক দলের উসকানিতে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।”
হিমঘর শ্রমিকদের দাবি, রাজ্যের অন্যান্য হিমঘর কর্তৃপক্ষ যেখানে ১৪ শতাংশ হারে বোনাস দেয় গত দু’বছর ধরে। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের তরফে পরিতোষ গিরি, দয়াল হাজরা, সরোজ দে প্রমুখের ক্ষোভ, গত বছর আমরা ১৪ শতাংশ হারেই বোনাস পেয়েছি। এ বার মালিক পক্ষ জানিয়ে দেয়, ৮.৩৩ শতাংশ হারে বোনাস দেবে। প্রচুর টালবাহানার পরে ১১ শতাংশ পর্যন্ত দিতে চেয়েছে। কিন্তু আমরা ১৪ শতাংশ বোনাসই চাই।”
স্থানীয় তৃণমূল নেতা অরুণ খাঁ বলেন, “আমরা শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছি। বোনাস নিয়ে মালিক পক্ষের অন্যায় জুলুমের প্রতিবাদ করেছি।” হুগলির হিমঘর মালিক সংগঠনের সভাপতি সত্যনারায়ণ মাজির বক্তব্য, তারাহাটের হিমঘরে বোনাস-সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে শ্রমিক বা মালিক কোনও পক্ষই আমাদের জানায়নি। তবে, গত বছর যে হারে বোনাস দেওয়া হয়েছিল, সেই হারে বোনাস না দিলে শ্রমিকদের আন্দোলন অস্বাভাবিক নয়।” তিনি জানান, হিমঘর মালিকদের অবস্থা করুণ। শিল্পটিকে বাঁচিয়ে রাখতে শ্রমিকদের সহযোগিতা জরুরি। |