তেলেঙ্গানা সমস্যা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করার প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। কিন্তু, তাঁর আশ্বাসে খুশি নন তেলেঙ্গানার দাবিতে আন্দোলনকারীরা। আজ পৃথক রাজ্যের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির নেতা কে চন্দ্রশেখর রাও। আলোচনার পরে রাও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আমাদের আন্দোলন তুলে নিতে বলেছেন। আমরা জানিয়ে দিয়েছি সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। মানুষ অত্যন্ত ক্রুদ্ধ।” নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনের কথা ঘোষণা করা না হলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে বলে হুমকি দিয়েছেন রাও। বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আজ এই বিষয়ে কথা বলেন তেলেঙ্গানা থেকে নির্বাচিত বেশ কয়েক জন কংগ্রেস জনপ্রতিনিধিও। বৈঠকের পরে অন্ধ্রপ্রদেশের মন্ত্রী জে গীতা রেড্ডি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী তেলেঙ্গানার দাবি নিয়ে সচেতন। প্রতিনিধি দলের সব দাবি নিয়ে তিনি কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে আলোচনা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর মতে, এই বিষয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন। পৃথক রাজ্যের দাবিতে অন্ধ্রপ্রদেশের তেলেঙ্গানা অঞ্চলে লাগাতার সাধারণ ধর্মঘট চলছে। আলাদা রাজ্যের দাবি নিয়ে কেন্দ্রের উপরে চাপ বাড়াতে তাই দিল্লিতে গত কয়েক দিন ধরে হাজির রয়েছেন তেলেঙ্গানার বহু রাজনৈতিক নেতা। তেলেঙ্গানার জনপ্রতিনিধিদের দাবি, আলাদা রাজ্যের দাবিতে আন্দোলনের পিছনে ওই অঞ্চলের সব স্তরের মানুষের সমর্থন রয়েছে। এ বার দশেরা সহ কোনও উৎসবে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্ষুব্ধ তেলেঙ্গানাবাসী।
|
স্বামীকে খুন করা হতে পারে বলে দু’দিন আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন শ্বেতা ভট্ট। মোদী বিরোধী আইপিএস অফিসার সঞ্জীব ভট্টের নিরাপত্তার জন্য আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের হস্তক্ষেপ দাবি করলেন সঞ্জীবের স্ত্রী শ্বেতা। ইতিমধ্যে সঞ্জীবের জামিনের আবেদন নিয়ে আলোচনার জন্য গুজরাত সরকারকে আজ নোটিস পাঠিয়েছে দায়রা আদালত। আগামিকাল এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছেন বিচারক ভি কে ব্যাস।
|
শিলচর থানার লিঙ্ক রোডে স্বামী-স্ত্রীর পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। নিঃসন্তান ওই দম্পতি নিজেদের বাড়িতেই খুন হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হলেও এ পর্যন্ত দোষীদের চিহ্নিত করা যায়নি। খুনের কারণও স্পষ্ট নয়। মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার ডি এম গোস্বামী জানিয়েছেন, অখিল বণিক (৫৭) ও শিপ্রা বণিক (৫৬)-কে বেশ ক’দিন থেকে দেখা যাচ্ছিল না। বাড়ির গেট বন্ধ ছিল। কিন্তু গত কাল সকালে আশপাশে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবেশী স্বপন রায়ের গাড়ির চালক বেড়া ডিঙিয়ে ভেতরে ঢোকেন। একতলার মেঝেতে মানুষের পা দেখা যাচ্ছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেখে একটি নয়, দু’টি মৃতদেহ।
|
পথ দুর্ঘটনায় আট জনের মৃত্যু হল অসমে। গত কাল সন্ধ্যায় কামরূপের বকোতে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, গুয়াহাটি থেকে ধুবুরিগামী একটি গাড়ি ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে তীব্রবেগে যাচ্ছিল। কেন্দুগুড়ির কাছে গাড়িটির টায়ার ফেটে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টোদিক থেকে আসা একটি ট্রাকে মুখোমুখি ধাক্কা মেরে দুমড়ে-মুচড়ে যায় গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই তিন জনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে ৫ জন মারা যায়। |