ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ জোরদার করতে টু-জি কেলেঙ্কারিকেই পাখির চোখ দেখছে বিজেপি।
কংগ্রেস শিবির টু-জি বিতর্ক মিটে গিয়েছে বলে দাবি করলেও, বিজেপি যে বিষয়টি নিয়ে লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে যাবে, তা আজ ফের স্পষ্ট করলেন দলীয় সাংসদ মুরলীমনোহর জোশী। প্রধানমন্ত্রী ও চিদম্বরমের পরে আজ প্রণব মুখোপাধ্যায়ের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে সেই ইঙ্গিতই দিলেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব।
গতকাল কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী সলমন খুরশিদ জানিয়েছিলেন, টু জি স্পেকট্রাম প্রশ্নে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম এবং বর্তমান অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ‘কাজের ক্ষেত্রে মতপার্থক্য’ রয়েছে। কিন্তু তা এমন বড় কিছু নয় যে তা নিয়ে এই মাপের বিতর্ক তৈরি হবে। আজ সলমনের কথার সূত্র ধরে মুরলীমনোহরের দাবিদুই শীর্ষ মন্ত্রীর ‘কাজের ক্ষেত্রে কী পার্থক্য’ রয়েছে তা জানানো হোক। জোশীর কথায়, “কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী স্বীকার করে নিচ্ছেন দু’জনের মতপার্থক্য রয়েছে। প্রণববাবু তা জানান। সাধারণ মানুষের তা জানার অধিকার রয়েছে।” প্রণবববাবু পুজোর জন্য পশ্চিমবঙ্গে তাঁর গ্রামের বাড়িতে রয়েছেন। কংগ্রেসের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
টানা ন’দিন ধরে সরকারের দুই শীর্ষ মন্ত্রীর মধ্যে ‘ইগো’র লড়াইয়ের পরে গত বৃহস্পতিবারই সনিয়া গাঁধীর হস্তক্ষেপে টু-জি বিতর্কের অবসান ঘটে। কিন্তু এ বিষয়ে সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বে যে মতপার্থক্য রয়েছে তা ভাঙিয়ে বিজেপি এখন রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে মরিয়া।
নোট সংক্রান্ত বিবাদে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে বলা হয়েছিল, স্পেকট্রাম বণ্টন নীতিতে কোনও দুর্নীতি ছিল কি না তা দেখার জন্য বিভিন্ন মন্ত্রকের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। অর্থ মন্ত্রকও সে সময়ে একটি নোট দেয়। পরে বিতর্ক শুরু হওয়ার পরে অর্থ মন্ত্রকের বক্তব্য ছিলওই নোটটি তৈরি করেছিলেন এক জুনিয়র অফিসার। যার সঙ্গে প্রণববাবুর মতামতের সম্পর্ক নেই। প্রথম দিন থেকেই প্রণববাবু-ও বলছিলেন, ওই বিতর্কিত নোটে যে উপসংহার টানা হয়েছে, তা তাঁর মত নয়। একই কথা প্রধানমন্ত্রী এবং সনিয়া গাঁধীকেও জানান তিনি। |