দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত • পুণে |
দেশের অধিকাংশ গাড়ি সংস্থা যখন বাজার দখলের লক্ষ্যে ছোট গাড়ির উপরেই বাজি ধরছে, তখন উল্টো পথে হেঁটে বাজিমাত করতে চাইছে মহীন্দ্রা।
এখন হোন্ডা, হুন্ডাই, জেনারেল মোটরস বা মারুতির মতো বেশির ভাগ সংস্থাই জোর দিচ্ছে ছোট গাড়ি তৈরিতে। অথচ বোলেরো ও স্করপিও-র পর মহীন্দ্রা ফের একটি নতুন এসইউভি গাড়ি আনল বাজারে। অবশ্য সংস্থার দাবি, নতুন এই ‘এক্সইউভি-৫ওও’ (৫০০-কে এ ভাবেই বলতে উৎসাহী সংস্থা) শুধু ভারত নয়, আন্তর্জাতিক দুনিয়ার কথা মাথায় রেখেই তৈরি করেছে তারা। এবং সে জন্য বিভিন্ন দেশের বাজারের চাহিদা সম্পর্কে তথ্যও সংগ্রহ করা হয়েছিল।
বস্তুত, শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বের এসইউভি গাড়ির বাজারই এখন অন্যতম নিশানা মহীন্দ্রা গোষ্ঠীর। সংস্থার চিফ এগ্জিকিউটিভ রাজেশ জেজুরিকর জানান, এ দেশে এই গাড়ির বাজার মোট যাত্রীবাহী গাড়ির ১৫%। যার ৬০%-ই মহীন্দ্রার দখলে। আর বিশ্ব বাজারের প্রায় ৪০% রয়েছে এসইউভি গাড়ির দখলে। উভয় বাজারই তাঁদের লক্ষ্য। প্রসঙ্গত, দেশের বাজারে যখন ছোট ও মাঝারি যাত্রীবাহী গাড়ির বিক্রির হার গত মাসে কমেছে (১.৩%), তখন একই সময়ে এসইউভি গাড়ির বিক্রি বেড়েছে ১৫%।
গত চার বছর ধরে মহীন্দ্রার কাছে ‘প্রজেক্ট ডব্লিউ২০১’ হিসেবেই পরিচিত ছিল এক্সইউভি-৫০০ গাড়ি তৈরির প্রকল্প। আনন্দ মহীন্দ্রা, পবন গোয়েন্কা-সহ সংস্থার শীর্ষ কর্তারা জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ে ১ অক্টোবর থেকেই মুম্বই, দিল্লি, পুণে, বেঙ্গালুরু ও চেন্নাইয়ের বাজারে মিলবে গাড়িটি। দ্বিতীয় পর্যায়ে কলকাতা-সহ আরও কিছু শহরে।
সম্প্রতি জোহানেসবার্গেও গাড়িটির উদ্বোধন হয়েছে। ছ’মাসে এর গন্তব্য অস্ট্রেলিয়া, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা, পশ্চিম ইওরোপ এবং সার্ক দেশগুলিতে।
সংস্থার দাবি, লিটার প্রতি ১৫.১ কিমি যেতে সক্ষম এই গাড়ি। থাকবে ছ’টি এয়ারব্যাগ। মৌখিক নির্দেশেই বদলানো যাবে সিডি-র ট্র্যাক বা এফএম রেডিও-র চ্যানেল, কমানো-বাড়ানো যাবে আওয়াজও। চাকনের কারখানায় এই গাড়িটি তৈরি করতে ৬৫০ কোটি টাকা ঢেলেছে সংস্থা। চেন্নাই-এর গবেষণা কেন্দ্রে তৈরি হয়েছে গাড়িটির নকশা। সংস্থার কতার্রা জানান, যে প্ল্যাটফর্মে এই গাড়িটি তৈরি হয়েছে সেখানে ভবিষ্যতে স্যাংইয়ং সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে নতুন গাড়ি তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে। |