|
|
|
|
অগ্নিমূল্য থাবা বসিয়েছে শোলাশিল্পে |
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় • রামপুরহাট |
দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে রীতি-নীতি, লোকাচারেও বৈচিত্র এসেছে। বৈচিত্র এসেছে প্রতিমা, মণ্ডপেও। কিন্তু সেই বদলের সঙ্গে সঙ্গে বর্তমানে অনেক জিনিসের বাজার কমতে বসেছে। যেমন কমতে বসেছে শোলার গুরুত্বও। পুজো এলেই মৃৎশিল্পীদের পাশাপাশি শোলা শিল্পীদের ঘরে ঘরে চরম ব্যস্ততা চোখে পড়ে। রামপুরহাটের খরুণ-রাজখণ্ড গ্রামে তিনটি মালাকার পরিবার শোলা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত।
তবে শোলার গুণগতমান দিনের পর দিন খারাপ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ভাল শোলার যোগান বাজারে চাহিদা মতো নেই। এর ফলে অন্য জায়গার শোলা শিল্পীদের মতো খরুণ-রাজখণ্ড গ্রামের তিন পরিবারকে প্রায় শোলার কাজ ছেড়ে দিতে হয়েছে। তাঁদেরকে শোলার পরিবর্তে থার্মোকলের উপরে নির্ভর করতে হচ্ছে। পাশাপাশি জরি, সুতো, কাগজ-সহ নানা সামগ্রী দিয়ে তাঁদেরকে দেবী প্রতিমার সাজ তৈরি করতে হচ্ছে। শিল্পীদের কথায়, বর্তমানে ভাল শোলার যা বাজার মূল্য তার কাজ অনুযায়ী পুজো উদ্যোক্তারা সেই দাম দিতে রাজি হচ্ছেন না। অন্য দিকে খারাপ শোলার কাজ দেখে উদ্যোক্তারা ছি ছি করতে ছাড়বে না। সেই জন্য যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাঁদেরকে প্রায় শোলার কাজ ছেড়ে দিতে হয়েছে। গ্রামের শোলাশিল্পী নিধু মালাকার বলেন, “ভাল শোলার বাজার মূল্য যা, পুজো উদ্যোক্তারা সেই পারিশ্রমিক দিতে পারবেন না।” তাঁর হাতে গড়া রামপুরহাট, মল্লারপুরের কাছে বড়শালের বিভিন্ন পারিবারিক পুজো ছাড়া, সর্বজনীন পুজোর প্রতিমা সাজানো হয়েছে। আর শিল্পী শুকদের মালাকার রামপুরহাটের বিভিন্ন সর্বজনীন প্রতিমার সাজ তৈরির দায়িত্ব পেয়েছিলেন। তেমনই পেয়েছিলেন লোহাপুর, নলহাটি, মাসড়া, কাবিলপুর, তারাপীঠ, উদয়পুর, পাইকপাড়া গ্রামগুলির কয়েকটি পারিবারিক পুজোর প্রতিমার সাজ তৈরির দায়িত্বও। বুদ্ধদেব মালাকার বলেন, “বছর দু’য়েক আগেও এক বান্ডিল শোলার দাম ছিল ৩০০ টাকা। বর্তমানে ১ বাণ্ডিল ভাল শোলার দাম ১২০০ টাকা। শোলার পাশাপাশি প্রতিমা সাজানোর জন্য আরও যে আনুসঙ্গিক জিনিস দরকার হয়, তারও দাম বেড়েছে। তারাপীঠকে ঘিরে আমাদের পৈতৃক ব্যবসা। পুজো ছাড়া, বছরের অন্য সময় মাটি, পিচববোর্ড, কাঠ দিয়ে মা তারা ও বামদেবের মূর্তি তৈরি করা হয়।”
তিনি জানান, জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় শিল্পকর্মেরও দাম বাড়াতে হয়েছে। যে ক্ষেত্রে কেউ রাজি হচ্ছেন, কেউ দাম দিতে পারছেন না। তবুও যখন কেউ বলেন, ভাল কাজ হয়েছে তখন মনে হয়, ‘‘শিল্পের জন্য বেঁচে থাকব।”
|
নিখোঁজের দেহ উদ্ধার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়ূরেশ্বর |
তিন দিন ধরে নিখোঁজ থাকা এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের দাবি। পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাম চন্দন কুণ্ডু (৪৮)। বাড়ি ময়ূরেশ্বর থানার শিবগ্রামে। গত শনিবার থেকে চন্দনবাবুর খোঁজ মিলছিল না। সোমবার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে তাঁর মৃতদেহ ঝুলতে দেখা যায়। দেহের বিভিন্ন অংশে অ্যাসিড দিয়ে পোড়ানোর মতো দাগ ছিল। বিজেপি-র স্থানীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা কমিটির সদস্য ব্রজগোপাল মণ্ডলের দাবি, “চন্দনবাবু এক সময় আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। বর্তমানে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। সম্ভবত তাঁকে খুন করা হয়েছে।” ঘটনার তদন্ত চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। |
|
|
|
|
|