|
ঢাকে পড়ল কাঠি |
বাড়ি-ধারা
বারোয়ারির বাইরে বাড়ির পুজোয়
নানা পরিবারের নানা রীতির
সন্ধান দিলেন গৌতম বসুমল্লিক |
|
|
রামকৃষ্ণপুর বসুবাড়ি |
|
এই পরিবারের আদি পুজো ছিল হাওড়া জেলার সিংটি-শিবপুর গ্রামে। ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে
ঈশানচন্দ্র বসু রামকৃষ্ণপুর লেনে ঠাকুরদালান তৈরি করেন। তার পরে এখানে পুজো স্থানান্তরিত হয়।
নন্দ-উৎসবের দিন ‘মাটি তোলা’ দিয়ে আরম্ভ হয় পুজোর কাজ। সাবেক একচালা ডাকের সাজের
মহিষাসুরমর্দিনী প্রতিমা। হাতে থাকে রুপোর অস্ত্র। এখনও বংশানুক্রমে পটুয়ারা প্রতিমার
চালচিত্র আঁকতে আসেন। বিসর্জনের পরে কাঠামোটি ফিরিয়ে আনা হয়। |
|
|
বালি বন্দ্যোপাধ্যায়বাড়ি |
|
শান্তিরাম রাস্তার বন্দ্যোপাধ্যায়বাড়ির পুজোর সূচনা করেন জগৎচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
একচালা মহিষাসুরমর্দিনী প্রতিমা। আগে মাটির সাজ পরানো হত, এখন সোনার
অলঙ্কারে সাজানো হয়। ঠাকুরদালানেই নবপত্রিকা-স্নান হয়। এই
পরিবারের পুজোর সব ধরনের মিষ্টি এখনও বাড়িতে তৈরি হয়। |
|
|
কদমতলা বন্দ্যোপাধ্যায়বাড়ি |
|
এই বাড়ির পুজো হয় ২৪ কালী ব্যানার্জি লেনের ঠাকুরবাড়িতে। সাবেক
একচালা ডাকের সাজের মহিষাসুরমর্দিনী প্রতিমা। নবমীতে চালকুমড়ো
বলি হয়। এখনও বাহকরা কাঁধে করে প্রতিমা নিরঞ্জনে নিয়ে যান। |
|
|
বালির ঘোষবাড়ি |
তর্কসিদ্ধান্ত লেনের ঘোষবাড়ির পুজোর সূচনা করেন হরিবোল ঘোষ। সাবেক একচালা
আনন্দময়ীরূপী প্রতিমা। বাড়ির অলঙ্কারে প্রতিমা সাজানো হয়। প্রতি বছর পঞ্চমীর
দিন বেলুড় মঠের সন্ন্যাসীরা এসে ধর্ম বিষয়ে আলোচনা করেন। সেই সঙ্গে হয়
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ষষ্ঠীতে বোধন। দশমীর দিন কাদামাটি খেলা হয়। |
|
|
বালি দুর্গাপুর রংবাড়ি |
|
একচালা সাবেক ডাকের সাজের মহিষাসুরমর্দিনী প্রতিমা। প্রতিপদে বোধন।
ষষ্ঠী থেকে নবমী বাউলগান, তরজাগান, কীর্তনের আসর হয়। |
|
|