জাতীয় সড়কের দু’ধার জুড়ে বসছে বাজার। অভিযোগ, ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়ে রাস্তার পাশ দিয়ে কার্যত হাঁটার জায়গা থাকে না। রাস্তা দিয়ে তীব্র গতিতে গাড়ি চলাচল করে। ফলে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দা ও নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, বাজারটি অবৈধ। কিন্তু পুরসভার বা পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এ ছবি ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে বারাসত পুরসভার তিন ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝে ন’পাড়া হাউসিং বাস স্টপের বাজারের।
ক্রমবর্ধমান জনবসতির প্রয়োজনে প্রায় বছর পাঁচেক আগে স্থানীয় একটি ক্লাব প্রাঙ্গণে এই বাজার শুরু হয়। তার পর বাড়তে বাড়তে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের (স্থানীয় নাম কৃষ্ণনগর রোড) দু’ধারে ছড়িয়ে পড়ে। রাস্তার দু’পাশ জুড়ে তৈরি হয় অসংখ্য অস্থায়ী দোকানপাট। এ ছাড়াও রাস্তার দু’ধারে পলিথিন বিছিয়ে অনেক বিক্রেতা বসেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে এখানে প্রায় একশোটির মতো দোকান রয়েছে। |
বাজার শুরু হয় সকাল ৭টায়। চলে বেলা ১২টা পর্যন্ত। সকালের দিকে ক্রেতাদের ভিড় খুব বেশি হয়। অভিযোগ, এ সময়ে ন’পাড়া বাস স্টপ থেকে উত্তর দিকে মসজিদ বাড়ি রোডের আগে পর্যন্ত প্রায় ১০০মিটার অংশে কার্যত হাঁটার উপায় থাকে না। তা ছাড়া অনেকেই রাস্তা পারাপার করেন। দুই লেনের জাতীয় সড়ক দিয়ে দূরপাল্লার গাড়ি দ্রুত বেগে চলাচল করে।
ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। অভিযোগ, হাতের কাছে সব পাওয়া যায় বলে বাসিন্দাদের একাংশ এই বাজারে আসেন।
স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, দিন দিন বিপদ বাড়লেও পুরসভা বা পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। পথচারী শম্ভুনাথ আচার্য বলেন, ‘‘রাস্তায় গাড়ি, আর রাস্তার পাশে বাজার। চলার উপায় নেই। প্রতি মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। পুরসভা বা পুলিশ দেখেও দেখে না।’’ স্থানীয় ব্যবসায়ী মান্টু রায়চৌধুরী বললেন, ‘‘এক সময় বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য বাজার কমিটি ছিল। এখন ওই কমিটি ভেঙে গিয়েছে। পারাপারের সময় মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ছেলেরা তদারকি করে। কিন্তু প্রশাসনের সহযোগিতা প্রয়োজন।’’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, “অনেক দিন ধরেই এখানে বসছি। কেউ কখনও নিষেধ করেনি। স্থানীয় বাসিন্দারাই বাজার করতে আসেন।” |
বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওই বাজার পুরসভার বাজার নয়। সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে দখল করে জাতীয় সড়কের ধারে বসে গিয়েছে। সব কাউন্সিলরকে মৌখিক ভাবে বলা ছিল যাতে রাস্তার ধারে বাজার না বসে। কাউন্সিলরদের সঙ্গে আবারও কথা বলব।”
উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার চম্পক ভট্টাচার্য বলেন, “অবৈধ দখলদারি তুলে দেওয়া পুরসভার কাজ। পুরসভা উদ্যোগী হলে পুলিশ সাহায্য করবে।”
|