মুক্তিপণের জন্য আসা ফোনের সূত্র ধরে ‘অপহৃত’ এক বালককে বারো ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করল পুলিশ। শনিবার গভীর রাতে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার তেলিয়ায় একটি বাড়ি থেকে জাহিরুল নামে বছর দশেকের ওই বালককে উদ্ধার করা হয়। জাহিরুলকে অপহরণের অভিযোগে জামালুদ্দিন নামে আমডাঙার একটি ইটভাটার ঠিকাদারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। জাহিরুলের বাবা মহম্মদ আমিনুদ্দিনও ওই ইটভাটায় ঠিকাদারি করেন। পুলিশের দাবি, জেরায় তাদের কাছে জামালুদ্দিন অপহরণের কথা কবুল করেছে। |
জাহিরুল |
পুলিশ ও জাহিরুলের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ইটভাটায় শ্রমিক সরবরাহের কাজ করেন আমিনুদ্দিন ও জামালুদ্দিন। আমিনুদ্দিনের বাড়ি আমডাঙা থানার নীলগঞ্জের বেড়াবেড়িতে। জাহিরুল নিজেও ওই ইটভাটায় কাজ করত। শনিবার সকালে সে কাজে গিয়ে বিকেলে আর বাড়ি ফেরেনি। সন্ধ্যার পরেও না ফেরায় আমিনদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী আনোয়ারা বিবি আমডাঙা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এ দিন আনোয়ারা বিবি বলেন, “শনিবার রাত ৮টা নাগাদ একটা মোবাইল থেকে ফোন এলে আমি ধরি। ও-প্রান্ত থেকে বলা হয়, ছেলেকে ফিরে |
|
পেতে হলে রবিবার রাতের মধ্যে দেগঙ্গার বিদ্যাধরী নদীর কাছে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যেতে। এর পরেই ফোনটা কেটে যায়। আমরা থানায় সব জানাই।”
কোথা থেকে ফোন এসেছিল, তা জানতে আমডাঙা থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে। দেখা যায়, দেগঙ্গার তেলিয়া এলাকা থেকে ওই ফোন করা হয়েছে। রাতেই আমডাঙা থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী সেখানে হানা দিয়ে একটি বাড়ি থেকে জাহিরুলকে উদ্ধার করে। পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই বাড়িটি ধৃত জামালুদ্দিনের এক আত্মীয়ের। রবিবার সকালে জামালুদ্দিনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, জেরার মুখে জামালুদ্দিন তাদের জানিয়েছে, সে আমিনুদ্দিনের কাছে কিছু টাকা পেত। বার বার চেয়েও টাকা না পাওয়ায় সে জাহিরুলকে অপহরণের ফন্দি আঁটে। আমিনুদ্দিন অবশ্য জামালুদ্দিনের থেকে টাকা ধার নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। |