চিত্তপ্রসাদের একক প্রদর্শনী
ফিরে পাওয়া
শিল্পী চিত্তপ্রসাদ ভট্টাচার্য, যিনি শুধু চিত্তপ্রসাদ নামেই বেশি পরিচিত, তাঁকে চেনার পথে ছিল নানা জল্পনা। কেউ বলেছেন ‘অসাধারণ এক শিল্পী’, আবার কেউ সখেদে জানিয়েছেন ‘বিস্মৃতপ্রায় চিত্তপ্রসাদ’। চট্টগ্রাম থেকে কলকাতায় এসেই আলোড়ন তুলেছিলেন এই তরুণ। গত শতাব্দীর চল্লিশের দশকে যখন একদিকে তেতাল্লিশের মন্বন্তর, আরেক দিকে রাজনৈতিক বিক্ষোভ সারা বাংলাকে উদ্বেলিত করছিল, তখনই চিত্তপ্রসাদ পালন করছেন শিল্পী হিসেবে তাঁর অনন্য ভূমিকা। শহর ও গ্রামের সুখ-দুঃখে জড়ানো মানুষ ও তার পরিবেশ ফুটে উঠল তাঁর একান্ত নিজস্ব শৈলীতে কালিকলম ও তুলি কিংবা ছাপাই ছবির প্রকরণে। অচিরে রাজনৈতিক দায়বদ্ধতায় চিত্তপ্রসাদকে পাড়ি দিতে হল মুম্বইয়ে, বাকি জীবনটা কাটল সেখানেই কিন্তু সে-জীবন মোটেই সুখের হয়নি। তার পর থেকে অল্প লোকই তাঁকে মনে রেখেছে, কিন্তু নিজের কাজ ছাড়েননি কখনও।
এ দেশে তাঁর চিত্রপ্রদর্শনীর সংখ্যা বেশ সীমিত। ’৪৩-এর সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রামে প্রথম একক, তার পর যৌথ ভাবে কয়েকটি। মুম্বই-পর্বে চিত্তপ্রসাদের ছবির প্রগাঢ় অনুরাগীদের পাওয়া গেল বিদেশে। তাঁদেরই উদ্যমে ’৫৬-য় প্রাগে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ প্রদর্শনী। পরে ডেনমার্ক, রাশিয়া, চিন, জার্মানি ও অন্য দেশে। ১৯৬৪-তে অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস-এ চিত্তপ্রসাদের গ্রাফিক্সের শেষ একক প্রদর্শনী, ১৯৭৮-এ মৃত্যুর পর ১৯৯৪-এ শান্তিনিকেতন কলাভবনে। শিল্পীর জন্মশতবর্ষ আসন্ন মাত্র বছর তিনেক পরেই। সে কারণেই বোধহয় তাঁর ছবি ও শিল্পীসত্তার আলোচনায় কেউ কেউ নড়েচড়ে বসেছেন।
বাংলায় প্রকাশ দাস সম্পাদিত চিত্তপ্রসাদ বইটিই (গাঙচিল) এই সূত্রে প্রধান কাজ। দিল্লি আর্ট গ্যালারি আয়োজন করেছে ওঁর ছবির বৃহত্তম প্রদর্শনী, প্রথমে দিল্লি, এ বার কলকাতার বিড়লা অ্যাকাডেমি-তে, ৩০ অগস্ট থেকে ১১ সেপ্টেম্বর। থাকবে তাঁর ছবির অসামান্য প্রতিলিপি, তথ্য ও আলোচনা নিয়ে পাঁচটি সুদৃশ্য বই, মূলটির লেখক সঞ্জয়কুমার মল্লিক। হুবহু প্রতিমুদ্রণে থাকছে দুর্লভ হাংরি বেঙ্গল-ও। সঙ্গে বাঁ দিকে দুর্ভিক্ষের দৃশ্য, ডান দিকে আত্মপ্রতিকৃতি।

জীবন ও শিল্প
জীবন ও শিল্প যে কত কাছাকাছি, সে কথা মহানগর ভুলে থাকে প্রায়শই। শরতের সূচনায়, গত বেশ কয়েক বছরের মতো সেই কথাটি নতুন করে মনে করিয়ে দিল ‘সিমা’। উপলক্ষ, ‘আর্ট ইন লাইফ’ প্রদর্শনী। ২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু, শেষ পুজোর প্রারম্ভ ছুঁয়ে, ১ অক্টোবর। এ বারেও সম্ভারের মধ্যে নিত্যব্যবহার্য জিনিসে শিল্পের ছোঁয়া। তাতে শাড়ি, নানাবিধ পোশাক, ব্যাগ, সিন্দুক, অন্দরসাজের মূর্তি এবং আরও অনেক কিছু মিলিয়ে বিচিত্র আয়োজন। একেবারে নিম্ন-মধ্যবিত্তের নাগালমাফিকও আছে নানা রকম জিনিস। আবার, যাঁরা অর্থব্যয়ে দরাজ হতে পারবেন, তাঁরাও খুঁজে নেবেন পছন্দমতো বস্তু। দাবি শুধু একটিই। জীবনের সঙ্গে শিল্পকে মিলিয়ে নেওয়ার মানসিকতা।

মানবিক মুখ
আরও একবার খুঁজে পাওয়া গেল এ শহরের মানবিক মুখ। সম্প্রতি এক পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন তরুণ নাট্যকর্মী ও সমাজকর্মী প্রসেনজিৎ সিংহ। সংকটজনক অবস্থায় তিনি এখন মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। এগিয়ে এল বাংলা নাটক ডট কম এবং কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় স্মরণ কমিটি। ২ সেপ্টেম্বর শিশির মঞ্চে বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ৯২তম জন্মদিনের অনুষ্ঠান, বিকেল ৫টায়। থাকবে বীরেন্দ্র পুরস্কার প্রদান ও স্মারক বক্তৃতা এবং প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের গান। এ দিন স্মরণ কমিটি প্রকাশিত কবির কবিতা অবলম্বনে যোগেন চৌধুরীর আঁকা পোস্টার (সঙ্গের ছবিতে) ও কবির কাব্যগ্রন্থ বিক্রির টাকা ব্যয় করা হবে প্রসেনজিতের চিকিৎসায়। যোগাযোগ: ৯৮৩৬৮৩৯৬৬৮।

প্রথম মহিলা
১৯৩৩। বিশুদ্ধ পদার্থবিদ্যা নিয়ে এম এসসি-তে রেকর্ড নম্বর পেয়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হলেন চামেলী বসু। সেই প্রথম কোনও ভারতীয় মহিলার এই সম্মানপ্রাপ্তি। গত ২১ অগস্ট পূর্ণ হল তাঁর জন্মশতবর্ষ। ১৯২৯-এ বেথুন থেকে আই এসসি-তে মেয়েদের মধ্যে প্রথম, সব মিলিয়ে পঞ্চদশ। ১৯৩১-এ স্কটিশ চার্চ থেকে প্রথম মহিলা হিসেবে বিজ্ঞানে অনার্স, বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয়। স্নাতকোত্তরে স্বদেশির সমর্থনে খদ্দর পড়তেন, সূর্য সেনের কিছু অস্ত্রশস্ত্র ও টাকা লুকোন ছিল তাঁর কাছে। ১৯৩৮-এ বেথুনে অধ্যাপনা শুরু, মাঝে লেডি ব্রেবোর্ন ঘুরে বেথুন থেকেই ’৭০-এ অবসর। সুগায়িকা এবং চিত্রশিল্পী হিসেবেও তিনি পরিচিত ছিলেন। ১৯৯২-এ বিজ্ঞান কলেজে এক অনুষ্ঠানে এসে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন, প্রয়াত হন সেই রাতেই। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় যখন তাঁকে বিশিষ্ট শিক্ষক সম্মান জানানোর সিদ্ধান্ত নিল, তখন তিনি আর নেই।

স্মরণ
বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ্ রামশরণ শর্মা চলে গেলেন। ভারত-ইতিহাসের চর্চায় ডি ডি কোসম্বী ও দানিয়েল থর্নারের সঙ্গে তিনিই প্রথম কৃষকদের কথা আনেন। প্রাচীন ও আদি-মধ্যযুগের ভারত সম্পর্কে আলোচনা তাঁকে বাদ দিয়ে আজ আর সম্ভব নয়। তাঁর লেখা শতাধিক বই অন্তত পনেরোটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বাংলায় অনুবাদ হয়েছে ১৫টি। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা ছাড়াও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব হিস্টরিকাল রিসার্চের তিনি প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ ইতিহাস সংসদ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের যৌথ উদ্যোগে আলিপুর ক্যাম্পাসে দশতলার সভাঘরে ৩০ অগস্ট দুপুর তিনটেয় তাঁর স্মরণসভা।

সাতাশে সরোদে
ছোটবেলায় ক্রিকেট খেলতে ভালবাসতেন। একদিন খেলতে খেলতে বল ঢুকে গেল ঘরের ভিতরে। ঢুকে দেখলেন পড়ে রয়েছে একটি সরোদ। সেই শুরু। ঠাকুমা-র বাজানো সরোদ হাতে তুলে নেন তিনি। পণ্ডিত বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের শিষ্য সৌমিক দত্তের জন্ম অবশ্য লন্ডনে। তবে কলকাতার প্রতি টান রয়ে গিয়েছে। বাবা সৌমিল্য দত্ত ভাল সরোদ আর বেহালা বাজাতেন। কিন্তু বহুজাতিক সংস্থার উচ্চপদে চাকরি-র জন্য তা আর এগোয়নি। ছেলের মধ্যে তাই সঙ্গীতের প্রতি তীব্র অনুরাগ ভরে দিতে পেরেছিলেন তিনি। ট্রিনিটি কলেজ অব মিউজিক থেকে পাশ্চাত্য সঙ্গীত নিয়ে পড়াশোনা শেষ, ইতিমধ্যেই ডোভার লেন সঙ্গীত পুরস্কারও পেয়েছেন সৌমিক। মা সঙ্গীতা দত্তের প্রথম সিনেমা ‘লাইফ গো’জ অন’-এ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজও করেছেন। সরোদের সুরে আজ, সোমবার আইসিসিআর সভাঘর মাতাবেন সাতাশের সৌমিক।

মন্দ্রিতগাথা
‘যে গান করে, গানের সমস্ত আয়োজন তার নিজেরই মধ্যে আনন্দ যার, সুর তারই, কথাও তার কোনওটাই বাইরের নয়। হৃদয় যেন একেবারে অব্যবহিত ভাবে নিজেকে প্রকাশ করে, কোনও উপকরণের ব্যবধানও তার নেই। এই জন্যে গান যদিচ একটা সম্পূর্ণতার অপেক্ষা রাখে, তবু তার প্রত্যেক অসম্পূর্ণ সুরটিও যেন প্রকাশ করতে থাকে।’ চিত্রশিল্পর সঙ্গে গানের এই ভাবেই তুলনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সেই ‘অসম্পূর্ণ সুরটি প্রকাশ’ করার সম্পূর্ণতা নিয়েই একক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হচ্ছেন রাজশ্রী ভট্টাচার্য। ৩১ অগস্ট রবীন্দ্রসদনে, ‘ভাবনা’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে: মন্দ্রিতগাথা। এ-নামেই সম্প্রতি শিল্পীর যে সিডি-টি প্রকাশিত হয়েছে, তারও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন সে দিন।

অন্য বিকেল
ওঁরা কেউ সত্তর, কেউ আশি আবার কেউ বা একশো তিন। দৈনন্দিন টুকিটাকি, পুজোপাঠ, গল্পগুজব, আর টিভি দেখেই কাটে ওঁদের ছকে বাঁধা জীবন। সম্প্রতি এলিয়ট রোড-এর ‘অল বেঙ্গল উইমেনস ওল্ড এজ হোম’-এর পঁচিশ জন বৃদ্ধার জন্য এক অন্য রকম বিকেলের আয়োজন করেছিল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘কনসার্ন ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন’। উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর লেখা অবলম্বনে এঁদের ‘টুনটুনি লো’ নাটক দেখালেন ‘সন্দভর্’ নাট্যগোষ্ঠী। নির্দেশক সৌমিত্র বসুর বক্তব্য ‘এতগুলি বাচ্চাকে এক সঙ্গে পেয়েছি, তাই এই নাটক’। অনুষ্ঠানে সত্তরোর্ধ আরতি মুখোপাধ্যায় সুরেলা গলায় গাইলেন দু’খানি গান। আর ক্ষীণদৃষ্টি আশি পেরনো মায়া বিশ্বাস, বয়সের ভার ভেসে গিয়েছে যাঁর কণ্ঠের উজানে, নিখুঁত ভাব ও সুরে গাইলেন, মন দিল না বঁধু....। টানা দু’ঘন্টার অনুষ্ঠান দেখলেন বর্মা থেকে উদ্বাস্তু হয়ে আসা একশো তিন বছরের অমিয়প্রভা দে। চলে আসার সময় কেউ বিষণ্ণ, কারও প্রশ্ন, আবার আসবে তো?
নন্দন পঁচিশে
২ সেপ্টেম্বর ১৯৮৫। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চলচ্চিত্র কেন্দ্র নন্দন-এর উদ্বোধনী ভাষণে সত্যজিৎ রায় বলেছিলেন ‘এই ধরনের কেন্দ্র বিদেশের কিছু বড় শহরে বেশ কিছুদিন ধরেই রয়েছে। আমরা ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট এবং তার সংলগ্ন ন্যাশনাল ফিল্ম থিয়েটার-এর (যেখানে ছবি দেখানো হয়) কথা জানি। কিন্তু ভারতবর্ষে এই ধরনের প্রতিষ্ঠান এই প্রথম।’ (সঙ্গে সে দিনের ছবি)। ২ সেপ্টেম্বর নন্দন-এর ২৬তম জন্মদিন উপলক্ষে পঁচিশ বছর পূর্তি উদ্যাপনের বিষয়: চলচ্চিত্রে রবীন্দ্রনাথ, জানালেন নতুন অধিকর্তা যাদব মণ্ডল। ৩১ অগস্ট থেকে রোজ দেখানো হবে নীতিশ মুখোপাধ্যায় সুমন মুখোপাধ্যায় ঋতুপর্ণ ঘোষের রবীন্দ্র-কাহিনি নিয়ে তৈরি ছবি। সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বলবেনও সোমেশ্বর ভৌমিক অপূর্ব বিশ্বাস প্রমুখ। এই প্রেক্ষিতে নন্দন-এর নতুন সভাপতি সন্দীপ রায় খেয়াল করিয়ে দিলেন উল্লেখিত ভাষণের শেষে সত্যজিতের ইচ্ছের কথা: ‘যাঁরা এই নন্দনের কমিটির সদস্য তাঁরা এই পরিকল্পনা যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখবেন... ।’

অতুলপ্রসাদী
রবি-কিরণে যেমন ঢাকা পড়েছিলেন সমসময়ের অনেক কবি, তেমনই সার্ধশতবর্ষে রবীন্দ্রসঙ্গীতের এই বিপুল জোয়ারে বাংলা গানের অন্য ধারাগুলি নিয়ে অনুষ্ঠান কমই। তবু তারই মধ্যে কেউ কেউ অতুলপ্রসাদ সেন, রজনীকান্ত সেনের গান গেয়ে চলেছেন। সেই ধারায় নীলা মজুমদারের গাওয়া অতুলপ্রসাদ সেনের গানের একটি সিডি প্রকাশিত হয়েছে গাথানি থেকে, নাম ‘নিঠুর দরদী’। এ দিকে ২৬ অগস্ট ছিল অতুলপ্রসাদের জন্মদিন, সে কথা মনে রেখে নূপুরছন্দা ঘোষ উপস্থাপন করলেন একগুচ্ছ অতুলপ্রসাদের গান। উইভার্স স্টুডিয়োয় ৩১ তারিখ একক অতুলপ্রসাদের গানে ঋ দ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়, কথায় সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়।

বিশ্বায়িত
রবীন্দ্রনাথের গান আজ ‘গ্লোবাল’। এমন বিশ্বাস নিয়েই তাঁর গান নিয়ে অ্যালবাম তৈরিতে মেতে উঠেছেন গায়ক সৌম্যজিৎ ও পিয়ানো-শিল্পী সৌরেন্দ্র। পশ্চিমি জ্যাজ্, ব্লুজ্, কান্ট্রি মিউজিক থেকে শুরু করে হিন্দুস্থানি মার্গ সংগীত কোনও সংঘর্ষে না গিয়ে কী আশ্চর্য পারস্পরিকতায় মিশে যেতে পারে রবীন্দ্রগানের মোহনায়, তা নিয়েই নিরীক্ষা এঁদের। সঙ্গী আরও দু’জন, রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী শ্রাবণী সেন ও জার্মান গিটার-বাদক স্টেফান স্টপক। অ্যালবামটির নাম টেগোর অ্যান্ড উই/ রবীন্দ্রনাথের গান (আশা অডিয়ো, ১২৫.০০), আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন শুভাপ্রসন্ন, দ্য কনক্লেভ-এ ৩০ অগস্ট সন্ধে ৭টায়।

অন্ধকারের ভাষা
শাঁওলী মিত্র সেই অভিনেত্রী যিনি রবীন্দ্রনাথের ‘রাজা’ নাটকে সুদর্শনা ও সুরঙ্গমা দু’টি চরিত্রেই অভিনয় করেছেন, বহুরূপী ও পঞ্চম বৈদিক-এর ব্যানারে। শ্রোতাদের সামনে পাঠও করেছেন নাটকটি অনেক বার, বইও লিখেছেন এ নিয়ে। নাটকটি তাঁকে নাড়া দেয় খুব, জানাচ্ছিলেন শাঁওলী, ‘এ আসলে আত্ম-আবিষ্কারের নাটক। যখনই নিজের ভিতরের দিকে তাকাই, আমি আর আমার অন্তর্গত সত্তা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে পড়ে। যে সমস্ত অহংকার আর তুচ্ছতা আমাদের জড়িয়ে থাকে, সে-সব ঝরে পড়তে থাকে। যেন অন্ধকারে ডুব দিয়ে আলোর পথনির্দেশ পাই।’ সেই ‘অন্ধকার’-এর নাটক ‘রাজা’ একক পাঠ করবেন শাঁওলী, শম্ভু মিত্র নির্দেশিত-সম্পাদিত ‘টেক্সট’টিকে মেনেই। জ্ঞানমঞ্চে ১০ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধে সাড়ে ছ’টায়। রবীন্দ্র-সার্ধশতবর্ষে সপ্তর্ষি প্রকাশনের নিবেদন: অন্ধকারের ভাষা। শাঁওলীর এই ‘রাজা’ নাটক পাঠ এ-অনুষ্ঠানের অব্যবহিতে রেকর্ডও করা হবে নতুন প্রজন্মের জন্যে শ্রুতি-সাক্ষ্য হিসেবে। এ ছাড়াও ওই দিন সন্ধ্যায় রবীন্দ্রনাথের ‘অন্ধকার’-এর গান গাইবেন রঞ্জিনী মুখোপাধ্যায়, আর সে-সব গানের প্রাসঙ্গিক কবির রচনা পাঠ করবেন অর্পিতা ঘোষ, বিন্যাসে সুমিতা সামন্ত।
 
‘নন্দিনী’

ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য
ও পারের মঞ্চে তিনি রক্তকরবীর নন্দিনী। আর সম্প্রতি ‘পূর্ব পশ্চিম’-এর আয়োজনে এ শহরের মঞ্চে তিনি নিয়ে এসেছিলেন ‘শেষের কবিতা’। তিনি নুনা আফরোজ। তাঁর নির্দেশনায় ‘রক্তকরবী’ বাংলাদেশে সাড়া ফেলে। ‘প্রাঙ্গণে মোর’ দলের এই প্রযোজনায় নন্দিনীর ভূমিকায় অভিনয় করেন নুনা। সে দল গঠনের পরিকল্পনা হয় এই শহরেই, আট বছর আগে। শুরুতে নির্দেশক ছিলেন অনন্ত হিরা, প্রথম প্রযোজনা ‘শ্যামা’ অবলম্বনে ‘শ্যামা প্রেম’। নাট্যরূপ চিত্তরঞ্জন ঘোষ। প্রযোজনা সমন্বয়কারী ছিলেন নুনা। দলের পক্ষে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘আমাদের নাট্যচর্চায় আমরা রবীন্দ্রনাথের নাটককে সর্বাধিক গুরুত্ব দেব। কারণ আমরা বিশ্বাস করি শুদ্ধ নাট্যচর্চার ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাটকের বিকল্প নেই।’ আর সেই বিশ্বাসেই একের পর এক রবীন্দ্রনাটক প্রযোজনা করেছে ‘প্রাঙ্গণে মোর’। ওদের দ্বিতীয় প্রযোজনাই ছিল ‘স্বদেশী’, ‘চার অধ্যায়’ অবলম্বনে। সে নাটকের নাট্যরূপকার ও নির্দেশক নুনা বলছেন, ‘আমাদের নূতন দল। অতীনের মতো চরিত্র কোনও দক্ষ এবং অভিজ্ঞ অভিনেতা ছাড়া করা সত্যিই কঠিন। আমি একেবারেই নতুন ছেলেদের দিয়ে কাজটা করেছি।
অভিজ্ঞতার ঘাটতি তো অভিজ্ঞতা ছাড়া অন্য কোনও কিছু দিয়েই পূরণ করা সম্ভব নয়।’ এ বার ‘শেষের কবিতা’ প্রযোজনাও সেই নতুন ছেলেমেয়েদের নিয়েই।
   


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.