|
|
|
|
টুকরো খবর |
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বন্যাদুর্গত জেলায় আজ মন্ত্রী-বিধায়করা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে তো শুক্রবার হাওড়ায় বন্যা-পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছেনই, এ বার দলের মন্ত্রীদের নেতৃত্বে সাংসদ, বিধায়ক ও দলীয় পদাধিকারীদের পাঠাচ্ছেন বন্যাকবলিত পাঁচ জেলায়। আজ, শনিবার তাঁরা হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, বীরভূম ও নদিয়ায় বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ও ত্রাণ বিলি সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে কিনা দেখতে যাচ্ছেন বলে এ দিন শিল্পমন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমাদের দলের রাজ্য ও কেন্দ্রের মন্ত্রীদের নেতৃত্বে এক একটি দলে ভাগ হয়ে আমরা পাঁচ জেলায় যাব।” জেলার বন্যা পরিস্থিতি দেখে আসার পরেই বিস্তারিত জানিয়ে প্রতিটি দলকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বন্যায় দুই ২৪ পরগনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জানিয়ে পার্থবাবু বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা-সহ বিভিন্ন এলাকায় আমাদের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চৌধুরীমোহন জাটুয়া এবং জেলা পরিষদের সভাধিপতি শামিমা শেখ ঘুরছেন। ত্রাণের ব্যবস্থা করছেন। জেলা প্রশাসন ত্রাণের ব্যবস্থা করেছে। আমরাও কিছু ত্রাণ নিয়ে যাব। বাঁধ ভেঙে বহু এলাকা বিপন্ন হয়ে পড়েছে। আমাদের প্রতিনিধি দল সেইসমস্ত এলাকা ঘুরবেন।” আজ, জাটুয়ার নেতৃত্বে দলে জেলা সভাধিপতি ছাড়াও রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল মণ্ডল থাকবেন।
হুগলির গোঘাট, খানাকুল ও তারেকশ্বরে পার্থবাবু নিজে, পর্যটন মন্ত্রী রচপাল সিংহরা বন্যা পরিস্থিতি দেখবেন। রাজ্যের যুব কল্যাণ মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের নেতৃত্বে বিধায়কদের একটি দল নদিয়ায় যাবেন। বীরভূমে যাবেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী মণীশ গুপ্ত ও চন্দ্রনাথ সিংহ। উত্তর ২৪ পরগনায় তাঁরা তিনটি দল নিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী-বিধায়ক চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে জেলার তিন বিধায়ক ও নেতারা আজ হাড়োয়া ও মিনাখাঁয় যাবেন। মন্ত্রী মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের নেতৃত্বে অন্য একটি দল যাবে গাইঘাটা, বনগাঁ ও হাবরায়। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সুন্দরবনের লাগোয়া সন্দেশখালিতে বহু নদীবাঁধ ভেঙে গিয়ে সেখানকার অবস্থা ভয়াবহ হয়েছে।” তাঁরা একটি দল নিয়ে সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জে যাবেন। |
দ্রুত জমি-তথ্য পেতে কর্মশালা মহাকরণেই
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্য সরকার ‘ল্যান্ড ব্যাঙ্ক’ বা জমি ব্যাঙ্ক তৈরি করার জন্য প্রতিটি দফতরের অধীনে থাকা জমির ব্যাপারে সম্পূর্ণ তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছিল। কিন্তু রাজ্যের ৫৬টি দফতরের মধ্যে ৪০টি এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট বয়ানে তথ্য জমা দিতে না-পারায় সেই কাজ পিছিয়ে যাচ্ছে। তথ্য পেশে ঢিলেমি দূর করতে ওই ৪০টির মধ্যে ১৬টি বড় দফতরকে বেছে নিয়ে আগামী মঙ্গলবার মহাকরণে একটি জরুরি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
মুখ্যসচিব সমর ঘোষ এই ব্যাপারে চলতি সপ্তাহে মহাকরণে রাজ্যের পূর্ত, পরিবহণ, সেচ, নগরোন্নয়ন, মৎস্য দফতর-সহ ওই ১৬টি দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। রাজ্য সরকার মনে করছে, ওই দফতরগুলির হাতেই সব থেকে বেশি অব্যবহৃত জমি রয়েছে। তাই ওই দফতরগুলিতে যে-সব আধিকারিক জমি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের কাজ করছেন, তাঁদেরই ডাকা হচ্ছে কর্মশালায়। যাতে নির্দিষ্ট বয়ানে তথ্য পেশ করার ব্যাপারে কোনও অসুবিধা থাকলে তাঁরা সেটা স্পষ্ট ভাবে জানাতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে ভূমি দফতর তাঁদের সেই সব সংশয় দূর করার চেষ্টা করবে। জমি সংক্রান্ত তথ্যভাণ্ডারটি দ্রুত তৈরি করে ফেলতে চাইছে রাজ্য সরকার। সব দফতর ও জেলার আধিকারিকেরা সম্পূর্ণ তথ্য পাঠালে তার উপরে ভিত্তি করে জমি ব্যাঙ্ক তৈরি করা হবে। মুখ্যসচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভূমি দফতরের সচিব রামদাস মিনার পাশাপাশি রাজ্য ভূমি সদ্ব্যবহার পর্ষদের অধিকর্তা দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ও ছিলেন। |
ওবিসি মুসলিম সংরক্ষণে বদল নয় তালিকায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বামফ্রন্ট সরকার অনগ্রসর মুসলিমদের জন্য সরকারি চাকুরিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ চালু করেছিল। মুসলিম সম্প্রদায়ের ৪২টি জনগোষ্ঠীকে অনগ্রসর তালিকায় ঠাঁই দেয় তৎকালীন রাজ্য সরকার। কংগ্রেস-তৃণমূল পরিচালিত বর্তমান সরকারের পক্ষে অ্যাডভোকেট জেনারেল অনিন্দ্য মিত্র শুক্রবার হাইকোর্টে জানান, রাজ্য সরকার বা রাজ্য অনগ্রসর শ্রেণি কমিশন ওই তালিকায় কোনও পরিবর্তন করছে না। এ ক্ষেত্রে বিগত সরকার যা করে গিয়েছে, সেটাই বহাল থাকবে। বাম সরকারের ওই সংরক্ষণের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আইনজীবী অমলচন্দ্র দাস জনস্বার্থের মামলা করেন। তাঁর বক্তব্য, ২০০৯ সাল পর্যন্ত তালিকায় ১২টি মুসলিম জনগোষ্ঠীর নাম ছিল। কিন্তু বর্তমানে রয়েছে ৪২টি জনগোষ্ঠীর নাম। তড়িঘড়ি কাজ করার জন্য নতুন তালিকায় এমন অনেক জনগোষ্ঠীর নাম এসেছে, ওই তালিকায় যাদের স্থান পাওয়া উচিত ছিল না। এই জনস্বার্থের মামলার শুনানির সময় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জে এন পটেল ও বিচারপতি অসীম রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চায়, রাজ্য সরকার ওই তালিকায় কোনও পরিবর্তন বা পরিমার্জন করছেন কি না। এ দিন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তালিকায় কোনও পরিবর্তন করা হচ্ছে না। আবেদনকারীর আইনজীবী কৌশিক চন্দ বলেন, মামলাটি চলবে। |
বিএডে পাশ ৯৩%
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএড পরীক্ষায় পাশ করলেন ৯২.৮১ শতাংশ ছাত্রছাত্রী। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৭৪৫। শুক্রবার ওই পরীক্ষার ফল বেরিয়েছে। পরীক্ষা শেষ হয়েছিল ১৩ জুলাই। ‘স্পট ইভ্যালুয়েশন’ পদ্ধতিতে মূল্যায়নের ফলে এক মাসের মধ্যে ফল প্রকাশ করা গিয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষের দাবি। পরীক্ষার দিন বদল: বর্ষণে জল জমে যাওয়ায় হাওড়া নরসিংহ দত্ত কলেজে বিএসসি-র রসায়ন, প্রাণিবিদ্যা ও উদ্ভিদবিদ্যার প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার দিন বদল করল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। পরীক্ষা নিয়ামক ওঙ্কারসাধন অধিকারী বলেন, “সেখানে ৮ অগস্টের বদলে প্র্যাক্টিক্যাল শুরু হবে ১৬ অগস্ট।” |
১৫ অগস্টের আগেই ৫০ জন বন্দির মুক্তি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আগামী ১৫ অগস্ট, অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবসের আগেই ৫০ জন রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে রাজ্য সরকার। আরও দু’জনকে মুক্তিদানের কথা ঘোষণা করা হলেও সে ব্যাপারে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা চলছে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার মহাকরণে জানিয়েছেন।
গত ২০ মে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরেই মমতা রাজ্যের বিভিন্ন জেলে আটক রাজনৈতিক বন্দিদের ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কমিটি গড়া হয়। তার পরে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ৫২ জনকে মুক্তি দেওয়া হবে। কিন্তু তালিকার দুই ‘মাওবাদী’ চণ্ডী সরকার ও প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে কেন্দ্র আপত্তি তোলে। দু’জনেই কৃষ্ণনগর জেলে রয়েছেন। ওঁদের ব্যাপারেই আলোচনা চলছে।
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বিভিন্ন জেলে বন্দিদের সাংস্কৃতিক কাজকর্মের প্রশংসা করে বলেন, “ওঁদের অনেকে ভাল কাজ করছেন। ২২শে শ্রাবণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে স্মরণ করে ওঁরা খুব ভাল অনুষ্ঠান করলেন। ভাল লেগেছে।” |
|
|
|
|
|