|
|
|
|
|
|
খেলা |
সবার জন্য |
চন্দন রুদ্র |
শুধু শহর নয়, এ বার জেলার প্রত্যন্ত এলাকার মেয়েদের মধ্যেও হকি খেলাকে ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগী হল ‘হাওড়া ডিস্ট্রিক্ট স্কুল স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন’। এই উদ্দশ্যে সম্প্রতি দক্ষিণ দুইল্যার চিত্তরঞ্জন স্মৃতি সংসদের মাঠে স্থানীয় মেয়েদের নিয়ে শুরু হল হকির দীর্ঘ মেয়াদি প্রশিক্ষণ শিবির। এখানে অনূর্ধ্ব ১৪ বছরের এক ঝাঁক স্কুল ছাত্রী শিখে নেবে হকির অ-আ-ক-খ।
স্থানীয় হাওড়া সাউথ পয়েন্ট স্কুলের দুইল্যা শাখার মোট ৩০ জন ছাত্রীকে নিয়ে এই দীর্ঘ মেয়াদি প্রশিক্ষণ শিবির সূচনার আগে এক প্রদর্শনী ম্যাচের আয়োজন করা হয়। ডিস্ট্রিক্ট স্কুল স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে সুমন্ত ভট্টাচার্য বললেন, “জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে নতুন খেলোয়াড় তুলে আনার লক্ষ্যে ডুমুরজলার সঙ্গে এখানেও প্রশিক্ষণ শিবির
চালু হল।” |
|
ডুমুরজলায় সাউথ পয়েন্ট স্কুলের বাকসাড়া শাখা ছাড়াও দেশবন্ধু বালিকা বিদ্যালয়, বেতড় শিক্ষায়তন, সাঁতরাগাছি কেদারনাথ ইনস্টিটিউটশন ও ভানুমতী বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের একটি প্রশিক্ষণ শিবির চালু আছে। জেলার শারীরশিক্ষা ও যুব কল্যাণ আধিকারিক প্রবীরকুমার সাহার কথায়: “স্কুল হকিতে ছেলেদের তুলনায় এই জেলার মেয়েরা অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। এক বছরের এই অনাবাসিক শিবির থেকে উঠে আসা নতুন ভাল খেলোয়াড়রা জেলা দলে সুযোগ পাবে। স্কুল শিক্ষা দফতরের আর্থিক অনুদানে শিক্ষার্থীদের টিফিন ও ক্রীড়া সরঞ্জাম দেওয়ার
ব্যবস্থা হয়েছে।”
চিত্তরঞ্জন স্মৃতি সংসদের মাঠে প্রশিক্ষণ নিতে আসা ছাত্রীরা অধিকাংশই আদিবাসী ও দরিদ্র পরিবারের। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুজিত বৈদ্য বলেন, “মেয়েরা খুবই গরীব ঘর থেকে আসে। আমরা চাই লেখাপড়ার সঙ্গে সঙ্গে খেলাধুলায়ও ওরা সাবলীল হয়ে উঠুক।” এখানে খেলা শিখতে এসেছে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী অনিতা এক্কা। অনিতার বাবা কারখানার শ্রমিক। খেলা শিখছে চতুর্থ শ্রেণির লক্ষ্মী মুর্মু আর কিরণ তিরকিও। লক্ষ্মীর বাবা নেই, দাদা খালাসির কাজ। কিরণের বাবা জোগারের কাজ করেন। এরা প্রথম দেখেই খেলাটি ভালবেসে ফেলেছে। স্বপ্ন বড় খেলোয়াড় হওয়ার। |
|
প্রশিক্ষক দিব্যেন্দু নাগ বললেন, “শিক্ষার্থীরা সবাই নতুন। তাই হকির স্টিক ধরা থেকে ওদের শেখানো হবে। প্রশিক্ষণ শুরুর আগে কাছ থেকে খেলাটার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিতেই নিতু হেমব্রম, অনিতা ওঁরাও, আরতি লাকড়া, সৈয়েতা শর্মার মতো জেলার উঠতি হকি খেলোয়াড়দের নিয়ে প্রদর্শনী ম্যাচের আয়োজন করা হয়। আপাতত প্রতি শনিবার বিকেলে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পরে ডুমুরজলার মতো শনি-রবি দু’দিনই অনুশীলন চলবে।”
|
ছবি রণজিৎ নন্দী |
|
|
|
|
|