|
|
|
|
উইপ্রোর জন্যও একই পরিকল্পনা |
রাজ্য ইনফোসিসকে জমি দিতে চায় অক্টোবরের মধ্যেই |
গার্গী গুহঠাকুরতা • কলকাতা |
অক্টোবরের মধ্যে ইনফোসিসের হাতে জমি তুলে দিতে হিডকোর কাছে ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ চাইল তথ্যপ্রযুক্তি দফতর। এই সময়সীমা মাথায় রেখে ন্যূনতম পরিকাঠামোর কাজ দ্রুত শেষ করতে হিডকোকে তাড়াও দিয়েছে তারা। যাতে এ বার অন্তত ‘সময়ে’ জমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে আর বাধা হয়ে না দাঁড়ায় পরিকাঠামোর অভাব। সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, একই সময়ে আর এক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা উইপ্রো-র হাতেও জমি তুলে দিতে চায় রাজ্য। যে কারণে ওই জমিতেও পরিকাঠামোর বাকি কাজ তারা শেষ করতে চায় অক্টোবরের আগেই।
মার্কিন মুলুকের টালমাটাল অর্থনীতি এবং ইউরোপের ঋণ সঙ্কটের জেরে ফের এক বার মন্দা ঘাড়ে এসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ব। তেমন হলে, হয়তো ফের অনির্দিষ্ট কালের জন্য পিছিয়ে যাবে এই জোড়া বিনিয়োগের রাজ্যে পা রাখা। আর এই অনিশ্চয়তা এড়াতেই রাজ্য সরকার তড়িঘড়ি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা দু’টির হাতে জমি তুলে দিতে চাইছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। যাতে জমি পেয়ে দ্রুত প্রকল্পের কাজে হাত দিতে পারে তারা।
ইনফোসিসের প্রকল্পের জন্য গত নভেম্বরেই রাজারহাটে ৫০ একর জমি বরাদ্দ করেছিল পূর্বতন বাম সরকার। ‘অ্যালটমেন্ট লেটার’ হাতে পেয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই জমির দাম বাবদ প্রথম কিস্তির টাকা মিটিয়ে দিয়েছিল সংস্থাটি। কিন্তু তা সত্ত্বেও এখনও জমি হাতে পায়নি তারা। কারণ চুক্তি অনুযায়ী, জমি হস্তান্তরের আগে খাল কাটা, বিদ্যুতের তার সরানো, রাস্তা তৈরি-সহ ন্যূনতম পরিকাঠামোর কাজ করে দেওয়ার কথা রাজ্য সরকারেরই। যা শেষ হয়নি এখনও।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, ইনফোসিসের জমি পুরোপুরি হস্তান্তরের উপযুক্ত করতে মূলত তিনটি কাজ জরুরি
এক, ৬ লেনের একটি রাস্তা তৈরি। যার কাজ আপাতত শেষ। দুই, ইনফোসিসের জমির পরেই রয়েছে জনবসতি। তাই প্রকল্পের জমি ও জনবসতির মধ্যে সীমারেখা হিসেবে একটি খাল কাটা জরুরি। এখন ওই খাল কাটার কাজ চললেও, বর্ষার কারণে কাজের গতি কম। এবং তিন, জমির উপর দিয়ে যে ‘লো-টেনশন’ বিদ্যুতের তার গিয়েছে, তা সরানোর ব্যবস্থা করা।
মূলত এই তিনটি কাজ মিটে যাওয়ার পরই ইনফোসিসের ওই জমি হস্তান্তরযোগ্য হয়ে যাবে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি।
বর্ষা শুরুর আগেই প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ শুরু করে দিতে চেয়েছিল উইপ্রো-ও। সংস্থা সূত্রে দাবি, আশা ছিল মে মাসের মধ্যেই জমি মিলবে। কিন্তু তা হয়নি। কারণ, প্রকল্পের জমির মধ্যে নালা সরিয়ে দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ হয়নি এখনও। বরং তার জল দিয়েই চাষ করেছেন স্থানীয় মানুষ। যদিও সম্প্রতি কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে এসে সংস্থার চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার সুরেশ সেনাপতি জানান, পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরির জন্য জমি হাতে পেতে নয়া সরকারকে সময় দিতে রাজি তাঁরা। আগামী ৩ মাসের মধ্যেই নিকাশি ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ সংযোগ, জল, রাস্তা ইত্যাদি পরিকাঠামো-সহ জমি পাওয়ার বিষয়েও আশাবাদী তাঁরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে দাবি, ইনফোসিসের মতো উইপ্রোর হাতেও অক্টোবরের মাঝামাঝি জমি তুলে দিতে চায় রাজ্য। |
|
|
|
|
|