রাতভর হাঙ্গামা লন্ডনের রাস্তায়, হত ১
পুলিশের গুলিতে এক যুবকের মৃত্যু, তার প্রতিবাদে মিছিল এবং সেই মিছিল থেকে উন্মত্ত হাঙ্গামা। শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত জনতা-পুলিশ সংঘাতে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল উত্তর লন্ডন।
উপর্যুপরি ছোড়া হল পেট্রোল বোমা, পাথর। জ্বলল দোতলা বাস, টহলদার ভ্যান। আক্রান্ত হল আশপাশের ভবনগুলিও। আহত আট জন পুলিশ অফিসারকে ভর্তি করাতে হল হাসপাতালে। গত ডিসেম্বরের পর আরও এক বার ব্যাপক দাঙ্গা-হাঙ্গামার সাক্ষী থাকল ব্রিটেনের রাজধানী শহর। রবিবার সকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও অশান্তি পুরো থামেনি। টটেনহ্যাম এলাকার কিছু কিছু বিন্দুতে তার পরেও মাঝে মাঝেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৪২ জনকে। আহত পুলিশ কর্মীর মোট সংখ্যা ২৬।
গোলমালের পর টটেনহ্যাম হাই রোডে দমকলকর্মীরা। এএফপি
বৃহস্পতিবার পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছিল ২৯ বছরের যুবক মার্ক ডুগ্গানের। মার্ক একটি ট্যাক্সিতে যাচ্ছিলেন। সশস্ত্র পুলিশ তাঁকে আটকায়। তখনই পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন মার্ক। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। মার্কের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে টটেনহ্যাম এলাকায় বিক্ষোভ জমছিলই। শনিবার একটি প্রতিবাদ মিছিল বেরোয়। মিছিলটি অবশ্য প্রথমে শান্তিপূর্ণই ছিল। তার পর ৩০০ জনতা টটেনহ্যাম থানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। সেখান থেকেই শুরু হয় পুলিশের গাড়ি জ্বালানো আর পেট্রোল বোমা ছোড়া। তার পর থেকেই গোটা ঘটনাটা ক্রমশ দাঙ্গার রূপ নিতে থাকে। বাস-গাড়িতে
আগুন লাগানো, দোকানপাট লুঠতরাজ এবং পুলিশকে লক্ষ করে আক্রমণে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয় টটেনহ্যাম হাই রোড।
শনিবার সারা রাত ধরে চলে এই তাণ্ডব। রবিবার সকাল থেকে পরিস্থিতি ক্রমে নিয়ন্ত্রণে আসে। মেট্রোপলিটন পুলিশ কম্যান্ডার স্টিফেন ওয়াটসন জানিয়েছেন, এলাকায় যথেষ্ট পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
মার্কের মৃত্যুর তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আইপিসিসি-কে (দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট পুলিশ কমপ্লেনস কমিশন)। টটেনহ্যামের এমপি ডেভিড ল্যামি সকলের প্রতি শান্তির আবেদন জানিয়ে বলেছেন, ‘‘বৃহস্পতিবার ঠিক কী ঘটেছিল, তা জানার জন্য সকলকে ধৈর্য করে অপেক্ষা করতে হবে।”
গত ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের টুইশন ফি বাড়ানোর সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছিল লন্ডন। সে বার রক্ষা পায়নি প্রিন্স চার্লসের গাড়ি। কাল রাতের ঘটনা লন্ডনকে আরও এক বার পুড়িয়ে দিয়ে গেল জনরোষের উত্তাপ।

সিরিয়ায় হত ৫২জন, দাবি বিদ্রোহীদের
আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সিরিয়ায় সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত। রবিবারের অভিযানে সেনাবাহিনী ট্যাঙ্ক দিয়ে কমপক্ষে ৫২ জনকে খুন করেছে বলে দাবি বিদ্রোহীদের। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, সেনাবাহিনী আল জুরা জেলার দিয়ের এজোর শহরে ৪২ জনকে এবং হুলা শহরে ১০ জনকে হত্যা করেছে। যদিও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল-আসাদ এই ঘটনার দায় চাপিয়েছেন আন্দোলনকারীদের উপরেই। প্রেসিডেন্ট জানান, চরম ‘বিশৃঙ্খলা’ থামাতেই নিরাপত্তারক্ষীদের এই পদক্ষেপ করতে হয়েছে। প্রেসিডেন্টের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিক্ষোভকারীদের এক নেতা আবদেল করিম রিহাহি বলেন, “এ দিন সেনাবাহিনীর মূল আক্রমণের লক্ষ্য ছিল আল জুরা জেলা। সেখানে সেনাবাহিনী নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে।” এর আগে শুক্রবার রাতে সেনাবাহিনীর অভিযানে ২৪ জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছিল বলে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল। সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব বান কি মুন।
First Page First Page



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.