নেপথ্যে জমি |
|
কেন্দ্র যা চেয়েছিল |
মমতা যা চেয়েছেন |
•৭০ ভাগ জমি কিনতে হবে বেসরকারি শিল্প সংস্থাকে। সরকার সর্বাধিক ৩০ ভাগ অধিগ্রহণ করতে পারবে। |
•বেসরকারি শিল্পকে পুরো জমিই বাজার থেকে কিনতে হবে। |
•উর্বর কৃষিজমি যথাসম্ভব এড়াতে হবে। একান্ত নিতে
হলে সেই পরিমাণ পতিত জমিকে উন্নত করা বাধ্যতামূলক। |
•দো-ফসলি, বহু ফসলি বা বনাঞ্চলের জমিতে
যাতে শিল্প গড়ে উঠতে না পারে, সে জন্য ‘নো ইন্ডাস্ট্রি জোন’। |
•পাঁচ বছরে প্রকল্পের কাজ শুরু না হলে জমির মালিককে জমি ফেরত। |
• শুধু সরকারি উন্নয়নমূলক কাজে অধিগ্রহণ। মাথায় রাখতে হবে জমিদাতাদের জীবিকার বিষয়টিও। |
•সামাজিক পরিকাঠামো, জাতীয় নিরাপত্তাই জনস্বার্থ। এ ক্ষেত্রে ষোলো আনা অধিগ্রহণ করবে সরকার। প্রয়োজনে বেসরকারি শিল্পকেও ‘জনস্বার্থের’ তকমা। |
•জনস্বার্থের দোহাই দিয়ে জোর করে জমি অধিগ্রহণ নয়। |
নতুন খসড়া |
• বেসরকারি সংস্থার জন্য কতটা জমি অধিগ্রহণ, তা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের উপর ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। |
• জনস্বার্থের সংজ্ঞা সুনির্দিষ্ট। সেই তালিকায় থাকছে, জাতীয় নিরাপত্তা, পরিকাঠামো ও শিল্প (যেখানে জনগণের স্বার্থে কাজ হবে) ইত্যাদি। |
•উচ্ছেদ হওয়া পরিবারই নয়, নির্ভরশীলদের জন্যও পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ। |
• পুনর্বাসনের দিকটি যাতে অবহেলিত না হয়, তাই জুড়ে দেওয়া হল অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন বিল দু’টি। |
|
অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ |
জমি অধিগ্রহণ |
• সরকার নিজের জন্য জমি অধিগ্রহণ করতে পারে |
• সরকারি কাজ বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে করালে সে জন্য অধিগ্রহণে জমি মালিক ও নির্ভরশীলদের ৮০%-এর সম্মতি প্রয়োজন |
• বেসরকারি সংস্থা ক্ষতিপূরণের শর্ত মেনে ১০০ একর বা ততোধিক জমি পুরোটাই কিনতে পারে বা কিছুটা অধিগ্রহণে সরকারকে আর্জি জানাতে পারে |
• বেসরকারি প্রকল্পে বেসরকারি সংস্থার জমি অধিগ্রহণ করবে না সরকার |
•বহু ফসলি ও সেচযুক্ত জমি অধিগ্রহণ নয় |
ক্ষতিপূরণ |
• গ্রামে জমির বর্তমান বাজারদরের তিন গুণ, তার সঙ্গে জমিতে মোট সম্পদ-মূল্য মিলে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক, সঙ্গে সমপরিমাণ খেসারত |
•শহরে এককালীন আর্থিক প্যাকেজ জমির বাজারদরের দ্বিগুণের কম নয় |
•অধিগ্রহণের ১০ বছর পর্যন্ত যত বার জমি হাতবদল, বর্ধিত মূল্যের ২০% মূল মালিককে দিতে হবে |
•নির্ভরশীলদের জন্য এককালীন ৫০ হাজার টাকা অনুদান |
•পরিবার পিছু এক জনকে চাকরি, সম্ভব না হলে ২ লক্ষ টাকা |
• এক বছর ধরে পরিবার পিছু ৩ হাজার টাকা, ২০ বছর ধরে মাসিক দু’হাজার টাকা করে ‘অ্যানুইটি’, মূল্যবৃদ্ধির হার অনুযায়ী যা বাড়তে পারে |
• জমি অধিগ্রহণের পাঁচ বছরের মধ্যে প্রকল্প না হলে আসল মালিককে জমি ফেরত |
•এককালীন ক্ষতিপূরণের এক-চতুর্থাংশ সুদ সহ ফিরিয়ে নেওয়া হবে |
|