|
|
|
|
টুকরো খবর |
বাধা, রাজনগরে বন্ধ রাস্তার কাজ
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাজনগর |
আগে বেহাল রাস্তা সংস্কার করতে হবে। এই দাবিতে অন্য একটি রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ করে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটে রাজনগর পঞ্চায়েতের বড়বাজার এলাকায়। পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজনগর দুর্গামন্দির থেকে সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির যাওয়ার রাস্তার ৪৭৮ ফুট ঢালাইয়ের কাজ শুরু হচ্ছিল। সেই সময় এলাকার কিছু বাসিন্দা সেই কাজে বাধা দেন। তাঁদের দাবি, ওই রাস্তা থেকে মসজিদ পর্যন্ত একটি রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বহুবার পঞ্চায়েতে বলেও লাভ হয়নি। বাসিন্দাকের আরও দাবি, ওই রাস্তা ধরে শুধু নমাজ পড়তে মসজিদে যাওয়া হয়, তা নয়। পাশাপাশি ডামপাড়া, মালিপাড়া এবং আড়ালি-সহ বেশ কিছু বাসিন্দা যাতায়াত করেন। দুর্গামন্দির থেকে সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির পর্যন্ত রাস্তার ওই অংশ কংক্রিটের হয়ে গেলে মসজিদ যাওয়ার রাস্তাটি উপেক্ষিত থেকে যাবে বলে মনে করছেন বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা শেখ নুরে ইসলাম, শেখ মুস্তাকিম, শরৎ নন্দী, মালাকার বৈদ্যরা বলেন, “যে রাস্তাটি তৈরি হচ্ছে সেটি গুরুত্বপূর্ণ ঠিকই। আর যে রাস্তাটি পাকা করার দাবিতে এ দিন প্রতিবাদ জানানো হয়েছে, সেটিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দাবি, আগে মসজিদ পর্যন্ত ১৭০ ফুট রাস্তা সংস্কার করুক পঞ্চায়েত। যতদিন না আমাদের দাবি পূরণ হচ্ছে, ততদিন নতুন কাজ বন্ধ থাক।” রাজনগর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সিপিএমের মানিক সেন বলেন, “আমরা ১৫ দিন সময় চেয়েছিলাম ওই রাস্তাটি সংস্কার করতে। কিন্তু বাসিন্দারা তা মানেননি। কারণ একই সময় কাজ করার ক্ষেত্রে আইনগত জটিলতা হয়েছে। সেটি হল মসজিদ যাওয়ার রাস্তাটির জন্য পৃথক দরপত্র ডাকতে হবে। বিষয়টি রাজনগরের বিডিও প্রভাংশু হালদারকেও জানানো হয়েছে।” |
অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি
নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়ূরেশ্বর |
২৪ ঘণ্টার মধ্যে আবেদনকারী সমস্ত ছাত্রছাত্রীকে ভর্তি নেওয়ার দাবিতে কলেজের অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি দিল ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। ঘটনাটি ময়ূরেশ্বরের মল্লারপুর টুরকু হাঁসদা লেপসা হেমব্রম কলেজের। বুধবার এই দাবিতে অধ্যকে স্মারকলপি দেওয়া ছাড়া, তারা কলেজে ছাত্র ভর্তির ক্ষেত্রে কোনও গ্রুপ করে বিষয় দেওয়া চলবে না। পাস ও অনার্সে আসন সংখ্যা বাড়ানো, কলেজে সাইকেল স্ট্যান্ড করা-সহ বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে। অধ্যক্ষ অমিত চক্রবর্তী বলেন, “ভর্তির নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। সেই সময় মেনে ভর্তির প্রক্রিয়া চালু রেখেছিলাম। এর পরেও কেউ আবেদন করে থাকলে তা বিবেচনা করে দেখছি। এবং অনেক আগেই আসন বাড়ানো হয়েছে।” তিনি জানান, দর্শন ও শারীরবিদ্যার যে নতুন বিষয় চালু হয়েছে, তার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে শিক্ষকের দাবি জানানো হয়েছে। যত দিন না তা পাওয়া যাচ্ছে অতিথি শিক্ষক দিয়ে কাজ চালানো হবে। গ্রন্থাগার ও পানীয় জলের ভাল ব্যবস্থা আছে বলে অধ্যক্ষ জানিয়েছেন। |
পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • হিড়বাঁধ |
১০০ দিনের প্রকল্পে এলাকার শ্রমিকদের আরও বেশি কাজ, বিপিএল তালিকা সংশোধন, প্রত্যেক গরিব পরিবারকে দু’টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বুধবার হিড়বাঁধ পঞ্চায়েত অফিসে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল। পরে দলের পঞ্চায়েত প্রধান ফণি ভুঁইয়া’র কাছে একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। হিড়বাঁধ অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি কার্ত্তিক মণ্ডল ও তৃণমূল নেতা দীনবন্ধু মণ্ডলের অভিযোগ, “১০০ দিনের প্রকল্পে এলাকার শ্রমিকেরা ঠিকমতো কাজ পাচ্ছেন না। বিপিএল তালিকায় বহু গরিব মানুষের নাম নেই। সিপিএম পরিচালত ওই পঞ্চায়েত উন্নয়নের কাজে পুরোপুরি ব্যর্থ।” তিনি বলেন, “এলাকার মানুষের স্বার্থেই আমরা দলের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে বিভিন্ন দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছি।” পঞ্চায়েত প্রধান সিপিএমের ফণি ভুঁইয়া অবশ্য দাবি করেন, “সরকারি নিয়ম মেনেই সব প্রকল্পে কাজ হচ্ছে। একইসঙ্গে তিনি বলেন, “তৃণমূলের স্মারকলিপি পেয়েছি। যে সব দাবি পঞ্চায়েতে পূরণ করা সম্ভব সেগুলি মেটানো হবে। বাকি দাবিগুলি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।” |
গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু দু’জনের
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
পৃথক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দু’জনের। মৃতেরা হলেন মুরারই থানার ভোগপুরের বাসিন্দা গঙ্গারাম মাল (৬০) এবং নলহাটি থানার বাহাদুরপুরের বাসিন্দা পবীত্র ঘোষ (২৫)। কাজ সরে মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ি ফেরার পথে নলহাটি থানার পাসিনালা এলাকায় একটি মোটরবাইক গঙ্গারামবাবুকে ধাক্কা মারে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি ভর্তি করানো হয়েছিল। পরে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। অন্য দিকে, সোমবার বিকেলে রামপুরহাট থানার মাঝছখণ্ড গ্রামের কাছে পবীত্রবাবুর বাইকে একটি গাড়ি ধাক্কা মারে। জখম অবস্থায় তাঁকে বর্ধমানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার রামপুরহাট হাসপাতালে নিয়া আসার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। |
উপপ্রধানের বিরুদ্ধে নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
তৃণমূল পরিচালিত রামপুরহাট পুরসভার উপ-পুরপ্রধানের পদত্যাগের দাবি জানাল বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। লিখিত ভাবে মহকুমাশাকের কাছে স্মারকলপি দিয়েছেন। বিজেপির জেলা নেতৃত্বের দাবি, তিন মহিলাকে কান ধরে ওঠবোস করানোর জন্য তাঁদের সামনে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে উপপুরপ্রধানকে। পাশাপাশি তাঁকে কাউন্সিলর পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। এ ছাড়া, কান ধরে ওঠবোস করানোর ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। মহকুমাশাসক (ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট) মহম্মদ ইব্রাহিম বলেন, “পুরপ্রধানের কাছে বিষয়টি জানতে চাইব। তার পরে ব্যবস্থা নেব।” |
|
|
|
|
|