|
|
|
|
হিংসা অব্যাহত রাজ্যে |
তৃণমূলের সমালোচনা বিশিষ্টদের একাংশের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের হিংসা পরিস্থিতির জন্য তৃণমূলের নাম না করে তাদের সমালোচনা করল বিশিষ্ট জনেদের একাংশ। লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার তথা সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত নেতা সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, কবি শঙ্খ ঘোষ, নাট্যব্যক্তিত্ব কৌশিক সেন-সহ ছয় বিশিষ্ট ব্যক্তি শুক্রবার একটি প্রেস বিবৃতি মারফৎ রাজ্য সরকারের কাছে ‘শান্তি ও গণতন্ত্র রক্ষার’ আবেদন জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিপুল জনাদেশ নিয়ে নব নির্বাচিত রাজ্য সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর প্রত্যাশিত ছিল যে, রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ও মর্যাদা স্বীকৃত হবে এবং দায়িত্বশীল প্রশাসন জনজীবনের সমস্যা সমাধানে ব্রতী হবে। কিন্তু গভীর উদ্বেগের সঙ্গে আমরা লক্ষ করছি যে, মাসাধিক কাল পরেও রাজ্যে দলীয় সংঘর্ষ অব্যাহত আছে; খুন জখম এবং নানা দলীয় সন্ত্রাস চলছেই।’ এই প্রেক্ষিতেই শান্তি-গণতন্ত্র রক্ষায় দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন ওই বিশিষ্টরা।
প্রসঙ্গত, ওই বিশিষ্টদের মধ্যে শঙ্খবাবু এবং কৌশিক সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম পর্ব থেকে শুরু করে রাজ্যে বিধানসভা ভোট পর্যন্ত বহু বার পূর্বতন সরকার এবং শাসকদলের হিংসাত্মক আচরণ, বিরোধীদের সম্পর্কে অশ্লীল উক্তি-সহ নানা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। সে সময়ে তৎকালীন বিরোধী দল তৃণমূল তাঁদের উক্তিগুলি সিপিএম বিরোধী প্রচারে ব্যবহার করেছে এবং সিপিএমও তাঁদের ‘তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ’ বলে কটাক্ষ করেছে। এই প্রেক্ষিতে শঙ্খবাবু এবং কৌশিকের এ দিনের বক্তব্য যথেষ্ট ‘তাৎপর্যপূর্ণ’। বিবৃতি দেওয়ার পরে কৌশিক আরও বলেন, “এখন যাঁরা শাসনক্ষমতায়, ভোটের আগে তাঁরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তাঁরা ক্ষমতায় গেলে খুন-জখম বন্ধ হবে। আমরা সেই প্রতিশ্রুতিতে আস্থা রেখেছিলাম। এখনও রাখছি। তাই রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন, দায়িত্বশীল প্রশাসন শান্তি ও গণতন্ত্র রক্ষায় আরও দ্রুত ব্যবস্থা নিক।” কৌশিকের আরও বক্তব্য, “মফস্সলে খুন-জখম অব্যাহত। যাঁরা নিহত বা আহত হচ্ছেন, তাঁদের অপরাধ তাঁরা কোনও না কোনও রাজনৈতিক মতে বিশ্বাস করেন। কিন্তু গণতান্ত্রিক কাঠামোয় সমস্ত মানুষেরই তো এই অধিকার থাকা উচিত!” |
আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব আগামী বছর থেকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আদলে প্রতি বছর ‘আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের অধীন শিশু কিশোর অ্যাকাডেমি। আগামী জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে ওই উৎসব হবে। শুক্রবার শিশু কিশোর অ্যাকাডেমির বৈঠকের পরে সংস্থার সভাপতি তথা নাট্যব্যক্তিত্ব অর্পিতা ঘোষ জানান, প্রথম বছর কলকাতা, বর্ধমান এবং উত্তরবঙ্গে একই সময়ে ওই
উৎসব হবে। পরের বছর থেকে তা অন্যান্য জেলাতেও ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রসঙ্গত, পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের আমলেও ওই অ্যাকাডেমি শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করত। কিন্তু অর্পিতার বক্তব্য, বর্তমানে যে ভাবে ওই উৎসব করার কথা ভাবা হচ্ছে, তা আগের তুলনায় অনেকটাই আলাদা। অর্পিতার কথায়, “আগে ওই উৎসব হত ছোট করে জেলাস্তরে। কিন্তু আমরা করব বড় করে। কলকাতায় প্রতি বছর যে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব হয়, একেবারে তার আদলে।”
|
১০% আসন বাড়ল কলেজে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের সব কলেজে, সব বিষয়েই স্নাতক স্তরে ১০ শতাংশ হারে আসন বাড়ানোর নির্দেশ দিল নতুন সরকার। এই নির্দেশ অবিলম্বে বলবৎ করতে বলা হয়েছে। এর ফলে ছাত্র ভর্তির চলতি মরসুমেই কলেজগুলিতে আসন বাড়বে। ছাত্রছাত্রীদের চাহিদার কথা মাখায় রেখেই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু শুক্রবার জানান। তিনি বলেন, “অনেক কলেজেই আসনের তুলনায় বেশি ছাত্র ভর্তি হতে চাইছেন। মুখ্যমন্ত্রীও চান, সব পড়ুয়াই যেন ভর্তির সুযোগ পান।” অনার্স, জেনারেল সব শাখায় আসন বাড়ানোর নির্দেশিকা এ দিনই রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। |
|
|
|
|
|